ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাসকে অনুসরণ করতে আরও সহজ করে তুলতে আমি টাইমলাইন সমূহের এক শৃঙ্খলাকে তৈরি করতে যাচ্ছি যা তাদের ইতিহাসকে বর্ণনা করবে I একটি টাইমলাইনের মধ্যে ঈসা আল মসীহর সময় পর্যন্ত বাইবেলের অত্যন্ত পরিচিত ভাববাদীদের স্থাপন করে আমরা ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাস আরম্ভ করছি I
এই টাইম লাইন পাশ্চাত্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে (এবং এটিকে মনে রাখুন সমস্তটি খ্রীষ্টপূর্বাব্দ বা খ্রীষ্টাব্দের তারিখে আছে) I বারগুলোর প্রস্থ দেখায় কত দীর্ঘ সময় অবধি ভাববাদীগণ বসবাস করেছিল I দাউদ (বা ডেভিড – আঃ) যাবুর আরম্ভ করার কারণে পরিচিত হয়েছিলেন এবং তিনি একটি রাজবংশের প্রথম রাজা ছিলেন যিনি যিরূশালেম থেকে শাসন করতেন I ঈসা আল মসীহ গুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনি ইঞ্জিলের কেন্দ্রবিন্দু I
আমরা সবুজ যুগে দেখি যে ইস্রায়েলীয়রা মিসরে দাস রূপে জীবন যাপন করতে থাকছিল I
এই সময়কাল শুরু হয়েছিল যখন ইউসুফ (বা যোষেফ) ইব্রাহিমের প্রপৌত্র তার লোকেদের মিসরে নিয়ে গেল, কিন্তু তারা সেখানে দাসে পরিণত হ’ল I মুসা(আঃ) ইস্রায়েলীয়দের নিস্তারপর্বের চিহ্নর সাথে মিসরের বাইরে নিয়ে গেল I
তাই মুসা আঃ এর সাথে ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাস বদলে গেল এবং এটিকে এখন হলুদের মধ্যে দেখানো হয় I
তারা ইস্রায়েলের (বা পলেষ্টিয়) দেশে বাস করে I মুসা আঃ তার জীবনের শেষ সময়কালে তাদের উপরে আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ ঘোষণা করেন – যখন টাইমলাইন সবুজ থেকে হলুদে যায় I অতএব সাত শত বছর ধরে ইব্রাহিমের ১ ন. চিহ্নর মধ্যে ইস্রায়েলীয়রা এই প্রতিশ্রুত দেশে বাস করে I যাইহোক, তাদের কোনো রাজা ছিল না, নাতো তাদের কাছে যিরূশালেমের রাজধানী নগর ছিল – এটি এই সময়কালের মধ্যে অন্য লোকেদের কাছে ছিল I
যাইহোক, প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ইস্রায়েলীয়দের কাছে দায়ূদকে প্রেরণ করার সঙ্গে এটির পরিবর্তন ঘটে I
যিরুশালেম থেকে শাসনকারী রাজা দায়ূদের সঙ্গে বাস করছে
দাউদ (আঃ) যিরূশালেমকে জয় করেন এবং এবং এটিকে তার রাজধানী নগর তৈরী করেন যেখানে রাজার রাজপ্রাসাদ ছিল এবং তিনি ভাববাদী শমুয়েলের (আঃ) দ্বারা রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হলেন I এবং তার পুত্র সুলেমান (বা শলোমন), যিনি আবারও তার প্রজ্ঞার জন্য প্রসিদ্ধ, তার উত্তরাধিকারী হিসাবে শাসন করেন I শলোমন যিরূশালেমে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক চমৎকার মন্দির নির্মাণ করেন I রাজা দায়ূদের বংশধর প্রায় 400 বচ্ছর ধরে শাসন করতে থাকল আর এই সময়কালকে হালকা নীলে দেখানো হয়েছে (1000-600 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) এটি ইস্রায়েলীয়দের জন্য গৌরবময় যুগ ছিল – তারা প্রতিশ্রুত আশীর্বাদ সমূহকে দেখে চমকিত হল I তারা এক বিশ্ব শক্তি ছিল, এক অগ্রণী সমাজ ছিল, সংস্কৃতি ছিল, একটি মন্দির ছিল এবং এই একটি যুগ যখন ভাববাদীগণ আল্লাহর থেকে বার্তা পেয়েছিলেন এবং সেগুলো দায়ূদের আরম্ভ করা যাবুরের মধ্যে নথিভুক্ত আছে I অনেক ভাববাদীদের প্রেরণ করার কারণ হ’ল ইস্রায়েলীয়রা মুর্তিপুজা করে, দশ আজ্ঞা সমূহকে উল্লঙ্ঘন করে অধিকরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠলো I তাই আল্লাহ তাদের কাছে ভাববাদীদের প্রেরণ করলেন তাদের সাবধান করতে এবং মনে করিয়ে দিতে যে মশির অভিশাপ তাদের উপরে নেমে আসবে I কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা শুনলো না I
অতএব অবশেষে৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের আশেপাশে অভিশাপগুলো সত্য হ’ল I নবুখদনিৎসর, বাবিল থেকে এক শক্তিশালী রাজা এলেন – এবং ঠিক যেমন মশি তার অভিশাপের মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যখন তিনি লিখলেন
49সদাপ্রভু দূর থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে এমন এক জাতিকে তোমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবেন, যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, আর তোমরা তাদের ভাষা বুঝবে না। 50সেই জাতি হিংস্র চেহারার যারা বয়স্কদের সম্মান করবে না কিংবা ছোটদের প্রতি করুণা দেখাবে না। 51তারা তোমাদের পশুপালের শাবকগুলি ও ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলবে যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও। তারা তোমাদের কোনও শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস কিংবা জলপাই কিংবা গরুর বাছুর বা মেষশাবক অবশিষ্ট রাখবে না যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও। 52তারা তোমাদের নগরগুলি ঘিরে রাখবে আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের উঁচু প্রাচীরগুলি ভেঙে পড়বে যার উপর তোমরা এত ভরসা করছ। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের সমস্ত নগর তারা ঘেরাও করে রাখবে।
দ্বিতীয় বিবরণ 28
নবুখদনিৎসর যিরূশালেম জয় করলেন, একে পুড়িয়ে দিলেন, এবং মন্দির ধ্বংশ করলেন যাকে সুলেমান নির্মান করেছিল I তিনি তখন ইস্রায়েলীয়দের নিয়ে অধিকাংশদের তার বিশাল বাবিল জুড়ে নির্বাসিত করলেন I কেবলমাত্র দরিদ্র ইস্রায়েলীয়রা পেছনে পড়ে রইল I এইভাবে মুসার ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হ’ল যে
63যে আনন্দে সদাপ্রভু তোমাদের মঙ্গল করেছেন এবং তোমাদের লোকসংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, তেমনি তিনি তোমাদের সর্বনাশ ও ধ্বংস করে আনন্দ পাবেন। যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ সেখান থেকে তোমরা নির্মূল হবে। 64তারপর সদাপ্রভু তোমাদের সমস্ত জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সেখানে তোমরা অন্যান্য দেবতাদের উপাসনা করবে—কাঠ এবং পাথরের তৈরি দেবতা, যাদের তোমরা কিংবা তোমাদের পূর্বপুরুষেরা জানতে না।
দ্বিতীয় বিবরণ 28
সুতরাং ৭০ বছর ধরে, সময়কালকে লালে দেখানো হয়েছে, ইস্রায়েলীয়রা প্রতিশ্রুত দেশের বাইরে বন্দী রূপে বাস করল I
তার পরে, পারস্য সম্রাট কোরস বাবিলকে জয় করলেন এবং কোরস পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী ব্যক্তি হলেন I এবং তিনি একটি আদেশ জারি করলেন যা ইস্রায়েলীয়দের তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দিল I
যাইহোক তারা একটি স্বতন্ত্র দেশ আর রইলো না, তারা বিশাল পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে এখন একটি প্রদেশ I এটি 200 বছর ধরে চলল এবং এটিকে টাইম লাইনের মধ্যে গোলাপীতে দেখান হয়েছে I এই সময়কালের মধ্যে মন্দিরকে (দ্বিতীয় মন্দির রূপে পরিচিত) পুনর্নির্মাণ করা হ’ল এবং পুরনো নিয়মের শেষ ভাববাদীদের কাছে তাদের বার্তাগুলো ছিল I
আর তখন মহান আলেক্সান্দার পারস্য সাম্রাজ্যকে জয় করল এবং তার সাম্রাজ্যের মধ্যে ইস্রায়েলীয়দের এক প্রদেশে পরিণত করল যেটা আবারও আরও ২০০ বছর ধরে চলল I এটিকে গাড় নীলে দেখানো হয়েছে I
তারপরে রোমীয়রা গ্রীক সাম্রাজ্যকে পরাজিত করল এবং তারা শক্তিশালী রোমান সাম্রাজ্যে পরিণত হ’ল I ইস্রায়েলীয়রা পুনরায় এই সাম্রাজ্যের এক প্রদেশে পরিণত হ’ল এবং এটিকে হাল্কা হলুদে দেখানো হয়েছে I ভাববাদী ঈসা আল মসীহ এই সময়ে ইস্রায়েলে থাকতেন I ইঞ্জিলের বিবরণের মাধ্যমে এটি ব্যাখ্যা করা হয় কেন সেখানে রোমীয় রাজ্যপাল এবং রোমীয় সেনারা ছিল – কারণ ঈসা আল মসীহর জীবনকালে রোমীয়রা যিহূদিদের উপরে শাসন করত I রোমীয় সাম্রাজ্যের অংশ হিসাবে দেশটির মধ্যে বাস করছ
যাইহোক, বাবিলের সময় থেকে (৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) ইস্রায়েলীয়রা (বা যিহূদি যেমন এখন তাদের ডাকা হয়) রাজা দায়ূদের অধীনে থাকার মতন আর কখনও স্বাধীন হয় নি I তারা অন্য লোকেদের অন্য সরকারদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল I তারা এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং ঈসা আল মসীহর চলে যাবার পরে তারা রোমীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল I স্বাধীনতার এক যুদ্ধ আরম্ভ হ’ল I কিন্তু যিহূদিরা যুদ্ধে পরাজিত হল I কার্যত রোমীয়রা এলো এবং যিরূশালেমকে ধ্বংশ করল, দ্বিতীয় মন্দিরকে পুড়িয়ে দিল এবং দাস হিসাবে যিহূদিদের রোমীয় সাম্রাজ্য জুড়ে নির্বাসিত করল I যেহেতু এই সাম্রাজ্য এত বিশাল ছিল তাই যিহূদিরা প্রভাবশালীভাবে সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল I
আর এইভাবেই প্রায় ২০০০ বছর ধরে তারা বাস করল: বিক্ষিপ্ত, টুকরো টুকরো হয়ে বিদেশে জীবন যাপন করল এবং এই দেশগুলোতে কখনোই স্বীকৃত হ’ল না I অভিশাপের মধ্যে দেওয়া মশির কথা গুলো পূরণ হল যেন এটিকে লেখা হয়েছিল
আর তুমি সেই জাতিদের মধ্যে কিছু সুখ পাবে না ও তোমার পায়ের জন্য বিশ্রামের জায়গা থাকবে না, কিন্তু সদাপ্রভু সেই জায়গায় তোমাকে হৃদয়ের কম্পতা, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শোক দেবেন।
65সেই জাতিদের মধ্যে তোমরা শান্তি পাবে না, আর তোমাদের পায়ের গোড়ালি রাখার কোনও জায়গা থাকবে না। সেখানে সদাপ্রভু তোমাদের মনে দুশ্চিন্তা, আশা করে চেয়ে থাকা চোখ এবং এক হতাশার হৃদয় দেবেন।
দ্বিতীয় বিবরণ 28
তাহলে মশির অভিশাপগুলো কি পূরণ হয়েছিল? হ্যাঁ তারা পূরণ হয়েছিল, এবং প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে I ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে অভিশাপগুলো দেওয়া হয়েছিল আমাদেরকে তৈরী করতে যারা যিহূদি নয় জিজ্ঞাসা করে:
24সমস্ত জাতি জিজ্ঞাসা করবে “সদাপ্রভু কেন এই দেশটির এই দশা করেছেন? কেন তাঁর এই ভয়ংকর জ্বলন্ত ক্রোধ?” 25আর তার উত্তর হবে “কারণ এই জাতি তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম ত্যাগ করেছে, যে নিয়ম মিশর দেশ থেকে তাদের বের করে আনবার পর তিনি তাদের জন্য স্থাপন করেছিলেন।
দ্বিতীয় বিবরণ 29
আমাদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন ভাববাদীদের সাবধান বাণীকে গম্ভীরভাবে গ্রহণ করা – কারণ আমাদের জন্যও সেখানে সাবধান বাণী হবে I
অবশ্যই এই ঐতিহাসিক নিরীক্ষণ কেবল প্রায় ২০০০ বছর পূর্ব অবধি যায় I হযরত মুসা আঃ আশীর্বাদ এবং