Skip to content

আমি দুঃখিত I এটি ভালো খবর নয় I আসলে এটি খুব খারাপ খবর কারণ এর অর্থ আপনার (এবং আমিও কারণ আমারও একই সমস্যা আছে) কাছে ধার্মিকতা নেই I ধার্মিকতা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভিত্তি যা ঈশ্বরের রাজ্যকে এক স্বর্গে পরিণত করবে I এটি একে অপরের সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে (মিথ্যা কথা, চুরি, হত্যা, মুর্তিপুজা ইত্যাদি নয়) যথার্থতা এবং আল্লাহর প্রতি উপযুক্ত আরাধনা হবে যা স্বর্গ নিয়ে আসবে I এই কারণে যাবুর দেখায় দায়ূদের পবিত্র রাজ্যে প্রবেশের জন্য ধার্মিকতার প্রয়োজন I কেবল এই ধরণের বর্ণিত লোকেরাই পবিত্র রাজ্যে প্রবেশ করবে এবং সেই কারণে এটি স্বর্গ হবে I   

 

1হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে?তোমার পবিত্র পর্ব্বতে কে বসতি করিবে? 2যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্ম্মকর্ম্ম করে,এবং হৃদয়ে সত্য কহে। 3যে পরীবাদ জিহ্বাগ্রে আনে না,মিত্রের অপকার করে না,আপনার প্রতিবাসীর দুর্নাম করে না। 4যাহার দৃষ্টিতে পামর তুচ্ছনীয় হয়;যে সদাপ্রভুর ভয়কারীদিগকে মান্য করে,দিব্য করিলে ক্ষতি হইলেও অন্যথা করে না; 5সুদের জন্য টাকা ধার দেয় না,নির্দ্দোষের বিরুদ্ধে উৎকোচ লয় না;এই সকল কর্ম্ম যে করে, সে কখনও বিচলিত হইবে না।

গীতসংহিতা 15:1-5

পাপকে বুঝতে পারা

কিন্তু যেহেতু আপনি (এবং আমি) সর্বদা এইরকম নয়, যেহেতু আমরা সর্বদা আজ্ঞা সমূহ পালন করি না আমরা পাপ করি I পুরনো নিয়মের তৌরাতের ঠিক পরের বইয়ের একটি পদ একটি চিত্র দেয় যা আমাকে এটিকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে I পদটি বলে

16আবার এই সকল লোকের মধ্যে সাত শত মনোনীত লোক নেটা ছিল; তাহাদের প্রত্যেক জন কেশ লক্ষ্যে ফিঙ্গার পাথর মারিতে পারিত, লক্ষ্যচ্যুত হইত না।

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 20:16

এই পদটি সৈন্যদের বর্ণনা করে যারা গুলতির পাথর মারতে পারদর্শী ছিল এবং কখনও লক্ষ্যচ্যুত হত না I তৌরাত এবং পুরনো নিয়ম ভাববাদীদের দ্বারা হিব্রুতে লেখা হয়েছিল I উপরে হিব্রুর মধ্যে יַחֲטִֽא׃ শব্দটিকে ‘লক্ষ্যচ্যুত’বলে অনুবাদ করাহয় (খাও-তাও রূপে উচ্চারিত) I এই একই হিব্রু শব্দটিকে তৌরাতের মধ্যে আবারও পাপ  বলে অনুবাদ করা হয় I উদাহরণস্বরূপ, এই একই হিব্রু শব্দ ‘পাপ’ হয় যখন যোষেফ, যাকে মিসরের কাছে এক দাস রূপে বিক্রী করা হয়েছিল, তার মনিবের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করত না, এমনকি যদিও সে তার কাছে অনুনয় করল (কোরানের মধ্যেও সুরাত 12:22-29 – ইউসুফে বর্ণিত আছে) I সে তাকে বলল:   

9এই বাটীতে আমা অপেক্ষা বড় কেহই নাই; তিনি সমুদয়ের মধ্যে কেবল আপনাকেই আমার অধীনা করেন নাই, কারণ আপনি তাঁহার ভার্য্যা। অতএব আমি কিরূপে এই মহা দুষ্কর্ম্ম করিতে ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করিতে পারি?

আদিপুস্তক 39:9

এবং দশ আজ্ঞা দেওয়ার ঠিক পরে তৌরাত বলে:

20মোশি লোকদিগকে কহিলেন, ভয় করিও না; কেননা তোমাদের পরীক্ষা করণার্থে, এবং তোমরা যেন পাপ না কর, এই নিমিত্তে আপন ভয়ানকতা তোমাদের চক্ষুর্গোচর করণার্থে ঈশ্বর আসিয়াছেন।

যাত্রাপুস্তক 20:20

এই উভয় স্থানে এটি সেই একই হিব্রু শব্দ יַחֲטִֽא׃ যাকে ‘পাপ’ বলে অনুবাদ  করা হয় I এটি ‘লক্ষ্যচ্যুত’ এর জন্য সেই একই শব্দ সৈন্যদের সাথে ব্যবহৃত হয় যারা লক্ষ্যের প্রতি গুলতির পাথর মারে যেমনটি এই পদগুলোতে আছে যখন লোকেদের একে অপরের সঙ্গে আচরণের ব্যাপারে আলোচনা করে যার অর্থ হ’ল ‘পাপ’ I আল্লাহ আমাদেরকে এক চমৎকার চিত্র দিয়েছেন আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে ‘পাপ; কি হয় I সৈন্যরা একটি পাথর নেয় এবং লক্ষ্যকে আঘাত করতে এটিকে গুলতি মারে I এটি যদি লক্ষ্যচ্যুত হয় তবে এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ  হয় I সেই একইভাবে, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন লক্ষ্যকে আঘাত করতে কিভাবে আমাদের তার আরাধনা করা উচিত এবং কিভাবে আমাদের এক অপরের সাথে আচরণ করা উচিত I ‘পাপ করা’ লক্ষ্যচ্যুত করা এই উদ্দেশ্যকে, বা লক্ষ্যকে, যা আল্লাহ আমাদের জন্য ইচ্ছা করেন I এটিই সেই পরিস্থিতি যেখানে আমরা আমাদেরকে দেখি যখন আমরা সমস্ত আজ্ঞাগুলোকে পালন না করি – আমরা আমাদের জন্য আল্লাহর ইচ্ছা থেকে লক্ষ্যচ্যুত হয়েছি I       

মৃত্যু – তৌরাতের মধ্যে পাপের পরিণাম

অতএব এর পরিণাম কি ছিল? আদমের চিহ্নর মধ্যে আমরা এর প্রথম ইঙ্গিত দেখেছি I যখন আদম অমান্য করল (কেবল একবার!) আল্লাহ তাকে মরণশীল করল I অন্য কথায় সে মারা যাবে I এটি নোহের চিহ্নর সাথে চলতে থাকল I আল্লাহ বন্যার মধ্যে মৃত্যু দিয়ে লোকেদের বিচার করলেন I এবং এটি লোটের চিহ্নর সাথে চলতে থাকল যেখানে বিচার পুনরায় মৃত্যু ছিল I ইব্রাহিমের পুত্রকে বলিদানে মরার ছিল I নিস্তারপর্বের দশম মহামারী প্রথমজাতর মৃত্যু ছিল I এই প্রবণতা এখন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হ’ল যখন আল্লাহ মশির (পিবিইউএইচ) সাথে কথা বললেন I আমরা দেখি যে প্রস্তর ফলকের উপরে স্বয়ং আল্লাহ দ্বারা দশ আজ্ঞা সমূহ লেখার ঠিক আগে, তিনি নিম্নলিখিত আদেশগুলো দিলেন:  

  0তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি লোকদের নিকটে গিয়া অদ্য ও কল্য তাহাদিগকে পবিত্র কর, এবং তাহারা আপন আপন বস্ত্র ধৌত করুক, 11আর তৃতীয় দিনের জন্য সকলে প্রস্তুত হউক; কেননা তৃতীয় দিনে সদাপ্রভু সকল লোকের সাক্ষাতে সীনয় পর্ব্বতের উপরে নামিয়া আসিবেন। 12আর তুমি লোকদের চারিদিকে সীমা নিরূপণ করিয়া এই কথা বলিও, তোমরা সাবধান, পর্ব্বতে আরোহন কিম্বা তাহার সীমা স্পর্শ করিও না; যে কেহ পর্ব্বত স্পর্শ করিবে, তাহার প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে।

যাত্রাপুস্তক 19:10-12

এই নমুনা পুরো তৌরাত জুড়ে চলতে থাকে I পরে, ইস্রাযেলীয়রা আল্লাহকে পুরোপুরি মানল না (তারা পাপ করল) কিন্তু তাঁর পবিত্র স্থানের নিকটবর্তী হল I এখানে তাদের উদ্বিগ্নতাকে লক্ষ্য করুন যখন তারা পরিণাম সমূহকে   দেখল I

  12আর ইস্রায়েল-সন্তানগণ মোশিকে কহিল, দেখ, আমরা মারা পড়ি, বিনষ্ট হই, সকলেই বিনষ্ট হই। 13যে কেহ নিকটে যায়, সদাপ্রভুর আবাসের নিকটে যায়, সেই মরে; আমরা কি সকলেই মারা পড়িব?

গণনাপুস্তক 17:12-13

হারোণ (আরোণও – পিবিইউএইচ বলা হয়), মশির(পিবিইউএইচ) ভাই, যার নিজের পুত্ররা ছিল যারা পাপের সাথে আল্লাহর সর্বচ্চো স্থানের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে মারা গেল I    

 সদাপ্রভুর কাছে যাওয়ার সময় হারুনের দুই ছেলের মৃত্যুর পরে সদাপ্রভু মোশির সাথে কথা বলেছিলেন। সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন: “তোমার ভাই হারুনকে বল যে, তিনি যখনই সিন্দুকের প্রায়শ্চিত্তের coverাকনার সামনে পর্দার পিছনে পবিত্রতম স্থানটি বেছে নেবেন তখনই তিনি আসবেন না, তবে সে মারা যাবে। আমি প্রায়শ্চিত্তের কভারের উপরে মেঘে উপস্থিত হব।

লেবীয় 16:1-2

সুতরাং হারোণকে তার নিজের জন্য উপযুক্ত রূপে এই স্থানের নিকটবর্তী হতে নির্দেশ দেয়া হল I আর আল্লাহ তাকে এক যাজক রূপে নির্দেশ দিলেন:

  7অতএব তুমি ও তোমার সহিত তোমার পুত্রগণ তোমরা বেদি সম্পর্কীয় সকল বিষয়ে ও তিরস্করিণীর ভিতরের বিষয়ে নিজ যাজকত্ব পালন করিবে ও সেবাকর্ম্ম করিবে, আমি দানরূপে যাজকত্বপদ তোমাদিগকে দিলাম, কিন্তু যে অন্য গোষ্ঠীভুক্ত লোক নিকটবর্ত্তী হইবে, তাহার প্রাণদণ্ড হইবে।

গণনাপুস্তক 18:7

পরে কতিপয় কন্যা যাদের কোনো ভাই ছিল না মশিকে (পিবিইউএইচ) জমির উত্তরাধিকারের জন্য প্রস্তাব দিল I কেন তাদের পিতা মারা গিয়েছিল?

  3আমাদের পিতা প্রান্তরে মরিয়াছেন; তিনি কোরহের দলের মধ্যে, সদাপ্রভুর প্রতিকূলে চক্রান্তকারীদের দলের মধ্যে ছিলেন না; কিন্তু তিনি নিজ পাপে মরিয়াছেন, এবং তাঁহার পুত্র হয় নাই।

গণনাপুস্তক 27:3

সুতরাং সেখানে এক সার্বজনীন নমুনা স্থাপিত হ’ল, যাকে তৌরাতের শেষে সংক্ষিপ্তসার করা হল:

…প্রত্যেকে মারা যাবে তাদের নিজেদের পাপের জন্য

আল্লাহ ইস্রাযেলীয়দের শিক্ষা দিচ্ছিলেন (এবং আমাদের) যে পাপের পরিণাম মৃত্যু I

আল্লাহর করুণা

কিন্তু আল্লাহর করুণার কি হ’ল I তখন কোথাও কি তার স্বাক্ষ্য ছিল? আর আমরা কি এর থেকে শিখতে পারি? হ্যাঁ! এবং হ্যাঁ! এই করুণার প্রতি মনোযোগ দেওয়া  আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ যারা পাপ করেছি এবং ধার্মিকতার অভাব আছে I এটি আগেই পূর্ববর্তী একাধিক চিহ্নগুলোর মধ্যে ছিল I এখন এটিকে আরও স্পষ্টরূপে দেখা যাবে হারোণের চিহ্ন – একটি গাভী এবং দুটি ছাগলের মধ্যে I