আমরা দেখলাম কিভাবে ঈসা আল মসীহ অন্যন্য কর্তৃত্বের সাথে শিক্ষা দিলেন I তিনি আবারও গল্প ব্যবহার করে শিক্ষা দিলেন যা সত্য নীতিগুলোকে ব্যাখ্যা করেছে I উদাহরণস্বরূপ, আমরা দেখলাম কিভাবে তিনি এক মহা ভোজসভার গল্পকে ব্যবহার করে স্বর্গ রাজ্যসম্বন্ধে শিক্ষা দিলেন, এবং কিভাবে তিনি নির্মম দাসটির গল্পের মাধ্যমে ক্ষমার সম্বন্ধে শিক্ষা দিলেন I এই গল্পগুলোকে দৃষ্টান্ত বলা হয়, এবং ঈসা আল মসীহ ভাববাদীদের মধ্যে তিনি শিক্ষা দিতে কতটা বেশি দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেছিলেন তা অনন্য, এবং তার দৃষ্টান্তগুলো কতটা আকর্ষণীয় I
সুরাহ আল-‘আনকাবুত (সূরা – মাকড়সা) আমাদের বলে যে আল্লাহও দৃষ্টান্তের ব্যবহার করেন I এটি বলে,
এ সব দৃষ্টান্ত আমি মানুষদের জন্য বর্ণনা করছি, কেবল জ্ঞানীরাই তা বুঝে।
সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪৩
সূরা ইব্রাহিম (সূরা ১৪) আমাদের বলে আমাদের শিক্ষা দিতে আল্লাহ কিভাবে একটি গাছের দৃষ্টান্তকে ব্যবহার করেছেন I
তুমি কি দেখ না কীভাবে আল্লাহ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন? উৎকৃষ্ট বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট গাছের ন্যায় যার মূল সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত আর শাখা-প্রশাখা আকাশপানে বিস্তৃত। তার প্রতিপালকের হুকুমে তা সব সময় ফল দান করে। মানুষদের জন্য আল্লাহ দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। মন্দ বাক্য মন্দ বৃক্ষের সঙ্গে তুলনীয়, ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগেই যাকে মূল থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।
সূরা ইব্রাহিম ১৪:২৪-২৬
ঈসা আল মসীহর দৃষ্টান্ত সমূহ
তার শিষ্যরা এক সময়ে তাকে জিজ্ঞাসা করল তিনি দৃষ্টান্ত ব্যবহার করে কেন শিক্ষা দেন I ইঞ্জিল তার ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করে:
10শিষ্যেরা তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি লোকদের কাছে রূপকের মাধ্যমে কথা বলছেন কেন?”
11উত্তরে তিনি বললেন, “স্বর্গরাজ্যের গুপ্তরহস্য তোমাদের জানতে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে নয়। 12যার কাছে আছে, তাকে আরও দেওয়া হবে ও তার অনেক হবে। যার কাছে নেই, তার কাছে যা আছে, তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে। 13এই কারণে আমি তাদের কাছে রূপকের মাধ্যমে কথা বলছি:
মথি ১৩:১০-১৩
তার শেষ বাক্যটি হযরত যিশাইয়র (আঃ) থেকে একটি পাঠ ছিল যিনি ৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বাস করতেন এবং আমাদের হৃদয়ের এক কঠোরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন I অন্য কথায়, মাঝে মাঝে আমরা কিছু বুঝি না কারণ আমরা ব্যাখ্যাকে মিস করি বা এটিকে হৃদয়ঙ্গম করা অত্যন্ত জটিল হয় I এই ধরণের কোনো পরিস্থিতিতে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা বিভ্রান্তি দূর করে I তবে সেখানে অন্য সময় হয় যখন আমরা বুঝি না কারণ আমাদের হৃদয়ের গভীরে আমরা বুঝতে চাই না I আমরা হয়ত এটিকে স্বীকার না করতে পারি, তাই আমরা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকি যেন একটি মানসিক বোধগম্যতার একটি অভাব আমাদের বাধা হয় I কিন্তু বিভ্রান্তি যদি আমাদের হৃদয়ে হয় এবং আমাদের মনে না হয় তাহলে যে কোনো ব্যাখ্যা পর্যাপ্ত হবে না I তখন সমস্যাটি হয় যে আমরা সমর্পণ করতে অনিচ্ছুক হই, এরকম নয় যে আমরা মানসিকভাবে বুঝতে পারি না I
যখন হযরত ঈসা আল মসীহ (আঃ) দৃষ্টান্তের মধ্যে শিক্ষা দিতেন, তখন ভিড়ের উপরে প্রভাব নাটকীয় হত I তারা যারা শুধুমাত্র তাদের মন দিয়ে বুঝত না তারা গল্পের থেকে কৌতুহলী হত এবং আরও অনুসন্ধান করত, বুদ্ধি লাভ করত, যখন তারা যারা সমর্পণ করতে অনিচ্ছুক ছিল তারা গল্পটিকে অবজ্ঞাপূর্ণতা এবং নিরুৎসাহের সাথে ব্যবহার করত এবং আর কোনো বুদ্ধি পেত না I দৃষ্টান্ত ব্যবহার করা প্রভু শিক্ষকের কাছে একটি উপায় ছিল লোকেদের আলাদা করতে যেমন কৃষক ঝাড়াই করার দ্বারা ভুষির থেকে গমকে আলাদা করে I যারা সমর্পণ করতে ইচ্ছুক ছিল তাদেরকে তাদের থেকে আলাদা করা হয়েছিল যারা ইচ্ছুক ছিল না I সমর্পণ করতে অনিচ্ছুক সেই লোকেরা দৃষ্টান্তটিকে বিভ্রান্তিকর দেখত যেহেতু তাদের হৃদয়ের সত্যের প্রতি সমর্পণ করতে অনিচ্ছুক ছিল I যদিও দেখা যেত, তবুও তারা বিষয়টিকে দেখত না I
বপনকারী ও চারটি মাটির দৃষ্টান্ত
যখন শিষ্যরা হযরত ঈসাকে (আঃ) দৃষ্টান্তের মধ্যে তার শিক্ষা সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিল, তিনি ঈশ্বরের রাজ্য এবং লোকেদের উপর এর প্রভাবের উপরে শিক্ষা দিচ্ছিলেন I এখানে প্রথমটি রয়েছে:
3তখন তিনি রূপকের মাধ্যমে তাদের অনেক কথা বলতে লাগলেন। তিনি বললেন, “একজন কৃষক তার বীজবপন করতে গেল। 4সে যখন বীজ ছড়াচ্ছিল, কিছু বীজ পথের ধারে পড়ল, আর পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেলল। 5কিছু বীজ পাথুরে জমিতে পড়ল, যেখানে মাটি গভীর ছিল না। মাটি অগভীর থাকাতে সেগুলো দ্রুত অঙ্কুরিত হল, 6কিন্তু যখন সূর্য উঠল চারাগুলি ঝলসে গেল এবং মূল না থাকাতে সেগুলি শুকিয়ে গেল। 7অন্য কিছু বীজ পড়ল কাঁটাঝোপের মধ্যে। সেগুলি বৃদ্ধি পেলে কাঁটাঝোপ তাদের চেপে রাখল। 8তবুও কিছু বীজ উৎকৃষ্ট জমিতে পড়ল ও ফসল উৎপন্ন করল—যা বপন করা হয়েছিল তার শতগুণ, ষাটগুণ বা ত্রিশগুণ পর্যন্ত। 9যাদের কান আছে, তারা শুনুক।”
মথি ১৩:৩-৯
তাহলে এই দৃষ্টান্তটির অর্থ কি? আমাদের অনুমান করতে হবে না, যেহেতু যারা সমর্পণ করতে ইচ্ছুক ছিল তারা দৃষ্টান্তের দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়েছিল এবং এর অর্থ জিজ্ঞাসা করল, যা তিনি দিলেন:
18“তাহলে শোনো, বীজবপকের রূপকের তাৎপর্য কী: 19যখন কেউ স্বর্গরাজ্যের বার্তা শোনে অথচ বোঝে না, তখন সেই পাপাত্মা এসে তার হৃদয়ে যা বপন করা হয়েছিল, তা হরণ করে নেয়। এ সেই বীজ, যা পথের ধারে বপন করা হয়েছিল। 20আর পাথুরে জমিতে বপন করা বীজের সম্বন্ধে বলা হয়েছে, যে বাক্য শোনামাত্র তা সানন্দে গ্রহণ করে, 21কিন্তু যেহেতু তার অন্তরে মূল নেই, সে অল্পকালমাত্র স্থির থাকে। আর বাক্যের কারণে যখন কষ্ট বা অত্যাচার আসে, সে দ্রুত পিছিয়ে যায়। 22আর যে বীজ কাঁটাঝোপে বপন করা হয়েছিল, সে সেই মানুষ যে বাক্য শোনে কিন্তু এই জীবনের সব দুশ্চিন্তা ও ধনসম্পদের প্রতারণা তা চেপে রাখে, এতে তা ফলহীন হয়। 23কিন্তু উৎকৃষ্ট জমিতে যে বীজবপন করা হয়েছিল, সে সেই ব্যক্তি যে বাক্য শোনে ও তা বোঝে। যা বপন করা হয়েছিল সে তার শতগুণ, ষাটগুণ বা ত্রিশগুণ ফসল উৎপন্ন করে।”
মথি ১৩:১৮-২৩
ঈশ্বরের রাজ্যের বার্তা সম্পর্কে চারটি প্রতিক্রিয়া আছে I প্রথমটির কোনো ‘বুদ্ধি’ নেই আর তাই শয়তান (ইবলিস) বার্তাটিকে তাদের হৃদয় থেকে হরণ করে নিয়ে যায় I বাকি তিনটি প্রতিক্রিয়াগুলো সব প্রথমে খুব ইতিবাচক এবং তারা আনন্দের সাথে বার্তাটিকে গ্রহণ করে I তবে এই বার্তাটি অবশ্যই আমাদের হৃদয়ের মধ্যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া উচিতI এটিকে কেবলমাত্র আমাদের মনের মধ্যে স্বীকার করা নয় আর পরে আমাদের ইচ্ছা মত আমাদের জীবন যাপন করতে থাকা I অতএব প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে দুটি, যদিও তারা প্রাথমিকভাবে বার্তাটি গ্রহণ করল, তারা এটিকে বৃদ্ধি পেতে অনুমতি দিল না I কেবল চতুর্থ হৃদয়টি, যে ‘বাক্যটি শোনে এবং এটিকে বোঝে’ সেইভাবে প্রকৃতপক্ষে সমর্পণ করত যেভাবে আল্লাহ খুঁজছিলেন I
এই দৃষ্টান্তের একটি বিন্দু আমাদেরকে প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করতে বলে: ‘এই ব্যক্তিগুলোর মধ্যে কোনটি আমি?’ কেবল তারা যারা প্রকৃতপক্ষে ‘বোঝে’ একটি উত্তম শস্য হবে I বুদ্ধিকে শক্তিশালী করার একটি উপায় হ’ল স্পষ্টভাবে দেখা পূর্ববর্তী ভাববাদীরা আদমের সাথে শুরু করে, ঈশ্বরের পরিকল্পনা সম্বন্ধে তাওরাত এবং যাবুরের মধ্যে কি প্রকাশিত করেছিল I আদমের পরে তাওরাতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নগুলো ইব্রাহিমের (আঃ) প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং তার বলিদান, মুসার (আঃ) দশ আজ্ঞা সমূহ থেকে আসে I যাবুরের মধ্যে হারুণ মসীহর উৎপত্তিকে ‘বোঝা’ এবং যিশাইয়, যিরমিয়, দানিয়েল এবং মালাখির প্রকাশন সমূহ আমাদের ‘ঈশ্বরের রাজ্যের বার্তাকে’ বুঝতে প্রস্তুত করবে I
আগাছার দৃষ্টান্ত
এই দৃষ্টান্তটির ব্যাখ্যার পরে ভাববাদী ঈসা আল মসীহ (আঃ) আগাছার সম্বন্ধে দৃষ্টান্ত শেখালেন।
24যীশু তাদের আর একটি রূপকের কথা বললেন: “স্বর্গরাজ্য এমন একজন মানুষের মতো, যিনি তার মাঠে উৎকৃষ্ট বীজবপন করলেন। 25কিন্তু সবাই যখন নিদ্রাচ্ছন্ন, তার শত্রুরা এসে গমের সঙ্গে শ্যামাঘাসেরও বীজবপন করে চলে গেল। 26পরে গম অঙ্কুরিত হয়ে যখন শিষ দেখা দিল, তখন শ্যামাঘাসও দেখা গেল।
27“এতে সেই মনিবের দাসেরা তার কাছে এসে বলল, ‘মহাশয়, আপনি কি আপনার ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট বীজবপন করেননি? তাহলে এই শ্যামাঘাসগুলি কোথা থেকে এল?’
28“ ‘কোনো শত্রু এরকম করেছে,’ তিনি উত্তর দিলেন।
“দাসেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি কি চান, আমরা গিয়ে শ্যামাঘাসগুলি উপড়ে ফেলি?’
29“ ‘না,’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘কারণ শ্যামাঘাস উপড়ানোর সময়, তোমরা হয়তো তার সঙ্গে গমও শিকড়শুদ্ধ তুলে ফেলবে। 30শস্য কাটার দিন পর্যন্ত উভয়কে একসঙ্গে বাড়তে দাও। সেই সময়ে, আমি শস্যচয়নকারীদের বলে দেব: প্রথমে শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে পোড়াবার জন্য আঁটি বাঁধো; তারপরে গম সংগ্রহ করে আমার গোলাঘরে এনে মজুত করো।’ ”
মথি ১৩:২৪-২৯
তার দেওয়া ব্যাখ্যাটি এখানে রয়েছে
36এরপর তিনি সকলকে বিদায় দিয়ে ঘরে ঢুকলেন। তাঁর শিষ্যেরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “মাঠের শ্যামাঘাসের রূপকটি আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করুন।”
37তিনি উত্তর দিলেন, “যিনি উৎকৃষ্ট বীজবপন করেন তিনি মনুষ্যপুত্র। 38মাঠ হল জগৎ এবং উৎকৃষ্ট বীজ হল স্বর্গরাজ্যের সন্তানেরা। শ্যামাঘাস হল সেই পাপাত্মার সন্তানেরা। 39আর যে শত্রু তাদের বপন করেছিল সে হল দিয়াবল। শস্য কাটার সময় হচ্ছে যুগের শেষ সময় এবং যাঁরা শস্য কাটবেন তাঁরা হলেন সব স্বর্গদূত।
40“যেমনভাবে শ্যামাঘাস উপড়ে ফেলে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল যুগের শেষ সময়েও সেরকমই হবে। 41মনুষ্যপুত্র তাঁর দূতদের পাঠাবেন। তাঁরা তাঁর রাজত্ব থেকে যা কিছু পাপের কারণস্বরূপ ও যারা অন্যায় আচরণ করে তাদের উৎখাত করবেন। 42তাঁরা তাদের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করবেন, যেখানে হবে কেবলই রোদন ও দন্তঘর্ষণ। 43তখন ধার্মিকেরা তাদের পিতার রাজ্যে সূর্যের মতো দীপ্যমান হবে। যার কান আছে, সে শুনুক।
মথি ১৩:৩৬-৪৩
সরিষার বীজ এবং খামিরের দৃষ্টান্ত
এছাড়াও ঈসা আল মসীহ (আঃ) কিছু অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত দৃষ্টান্ত সমূহের শিক্ষা দিয়েছিলেন I
31তিনি তাদের অন্য একটি রূপক বললেন: “স্বর্গরাজ্য এমন একটি সর্ষে বীজের মতো, যা একজন ব্যক্তি নিয়ে তার মাঠে রোপণ করল। 32যদিও সব বীজের মধ্যে ওই বীজ ক্ষুদ্রতম, তবুও তা যখন বৃদ্ধি পেল তা অন্য সব গাছপালাকে ছাড়িয়ে গেল ও একটি গাছে পরিণত হল। ফলে আকাশের পাখিরা এসে তার শাখাপ্রশাখায় বাসা বাঁধল।”
33তিনি তাদের আরও একটি রূপক বললেন: “স্বর্গরাজ্য এমন খামিরের মতো, যা একজন স্ত্রীলোক তিন পাল্লা ময়দার সঙ্গে মেশালো, ফলে সমস্ত তালটিই ফেঁপে উঠল।”
মথি ১৩:৩১-৩৩
ঈশ্বরের রাজ্য এই জগতে অল্প এবং তুচ্ছভাবে শুরু হবে তবে এরপরে খামিরের মাখা ময়দার তালের মধ্য দিয়ে কাজ করার মতন এবং এক ক্ষুদ্র বীজের বৃহৎ গাছে বেড়ে ওঠার মতন সারা বিশ্ব জুড়ে বৃদ্ধি পাবে I এটি শক্তির দ্বারা, অথবা হঠাৎ করে ঘটে না, এর বৃদ্ধি অদৃশ্য তবে সর্বত্র এবং অপ্রতিরোধ্য I
গুপ্ত খাজানা এবং মূল্যবান মুক্তার দৃষ্টান্ত
44“স্বর্গরাজ্য হল মাঠে লুকোনো ধনসম্পদের মতো। যখন কোনো মানুষ তার সন্ধান পায় সে পুনরায় তা লুকিয়ে রাখে। পরে আনন্দে সে গিয়ে সর্বস্ব বিক্রি করে ও মাঠটি কিনে নিল।
45“আবার স্বর্গরাজ্য এমন এক বণিকের মতো, যে উৎকৃষ্ট সব মুক্তার অন্বেষণ করছিল। 46যখন সে অমূল্য এক মুক্তার সন্ধান পেল সে ফিরে গিয়ে সর্বস্ব বিক্রি করে তা কিনে নিল।
মথি ১৩:৪৪-৪৬
এই দৃষ্টান্তগুলো স্বর্গ রাজ্যের মূল্যের উপে ফোকাস করে I একটি খাজনার কথা ভাবুন যেটি একটি ক্ষেত্রের মধ্যে লুকানো আছে I যেহেতু এটি লুকানো আছে ক্ষেত্রের পাস দিয়ে যাওয়া প্রত্যেকে ভাবে ক্ষেত্রটির মূল্য কম আর তাই এর মধ্যে তাদের কোনো আকর্ষণ নেই I তবে কেউ উপলব্ধি করে যে সেখানে একটি খাজানা থাকায় ক্ষেত্রটিকে মূল্যবান করেছে – এটিকে কেনার জন্য এবং খাজানা পেতে সর্বস্য বিক্রী করার পক্ষে যথেষ্ট মূল্যবান I সুতরাং এটি ঈশ্বরের রাজ্যের সাথে রয়েছে – একই মূল্য যা বেশিরভাগ লোকেদের নজরে পড়ে না, তবে কম যারা এর মূল্যকে দেখে তারা মহা মূল্যকে অর্জন করবে I
জালের দৃষ্টান্ত
47“আবার স্বর্গরাজ্য এমন এক টানা-জালের মতো যা সাগরে নিক্ষেপ করা হলে সব ধরনের মাছ ধরা পড়ল। 48জালটি পূর্ণ হলে জেলেরা তা টেনে তীরে তুলল। তারপর তারা বসে ভালো মাছগুলি ঝুড়িতে সংগ্রহ করল, কিন্তু মন্দগুলিকে ফেলে দিল। 49যুগের শেষ সময়ে এরকমই ঘটনা ঘটবে। স্বর্গদূতেরা এসে ধার্মিকদের মধ্যে থেকে দুষ্টদের পৃথক করবেন এবং 50জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে তাদের নিক্ষেপ করবেন, যেখানে হবে কেবলই রোদন ও দন্তঘর্ষণ।”
মথি ১৩:৪৭-৫০
স্বর্গ রাজ্য লোকেদের আলাদা করবে I বিচ্ছিনতা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হবে বিচারের দিনে – যখন হৃদয় খালি রাখা হয় I
স্বর্গ রাজ্য রহস্যজনকভাবে বৃদ্ধি পায়, মাখা ময়দার তালের মধ্যে খামিরের ন্যায়, যে এর মহা মূল্য থাকে যা বেশিরভাগের থেকে গুপ্ত থাকে, এবং যে এটি লোকেদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে I এছাড়াও এটি সেই লোকেদের আলাদা করে যারা বোঝে এবং যারা বোঝে না I এই দৃষ্টান্তগুলোর শিক্ষা দেবার পরে ভাববাদী ঈসা আল মসীহ পরে তার শ্রোতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন I
51যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এসব বিষয় বুঝতে পেরেছ?”
তারা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ।”
মথি ১৩:৫১
আপনার কি ব্যাপার?