সুরা ৬২ (সমাবেশ, শুক্রবার – আল-জুমু’আহ আমাদের বলে যে মুসলমানের জন্য প্রার্থনার দিন শুক্রবার I আল-জুমূ’আহ প্রথমে একই চ্যালেঞ্জ দেয় – যেটিকে নবী ঈসা আঃ মসীহ হিসাবে তাঁর ভূমিকার মধ্যে স্বীকার করেছিলেন I শুক্রবারকে প্রার্থনার দিন বলে ঘোষনা করার ঠিক পূর্বে, আল-জুমু’আহ ঘোষনা করল:
বল- ‘হে ইয়াহূদী হয়ে যাওয়া লোকেরা! তোমরা যদি মনে কর যে, অন্য সব লোককে বাদ দিয়ে কেবল তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, তাহলে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। কিন্তু তাদের হাত যে সব (কৃতকর্ম) আগে পাঠিয়েছে, সে কারণে তারা কক্ষনো মৃত্যুর কামনা করবে না। আর আল্লাহ যালিমদেরকে খুব ভাল করেই জানেন।
সুরা ৬২ আল- জুমু’আহ: ৬-৭জুমু’আহর মধ্যে এই আয়াতগুলোর অর্থ হল যে আমরা আল্লাহর প্রকৃত বন্ধু তাহলে আমাদের কোনো মৃত্যু ভয় থাকবে না I তবে যেহেতু তাদের (এবং আমরা) মধ্যে আমাদের উত্তম কার্যগুলো সম্বন্ধে সন্দেহ আছে আমরা বড় মূল্য দিয়ে মৃত্যুকে এড়িয়ে চলি I তবে এই শুক্রবারের দিনে – তাঁর শেষ সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে, একজন ইহূদি হিসাবে ঈসা আল মসীহ এই সঠিক পরীক্ষাটির সম্মুখীন হলেন – এবং তিনি এটি প্রার্থনা দিয়ে শুরু করলেন I ইঞ্জিল নবীর সম্পর্কে যেমন ব্যাখ্যা করে:
37তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই পুত্রকে তাঁর সঙ্গে নিলেন। তিনি ক্রমেই দুঃখার্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন। 38তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং আমার সঙ্গে জেগে থাকো।”
39আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।”
মথি 26এই শুক্রবারের ঘটনাগুলোকে চালিয়ে যাওয়ার পূর্বে, আমরা এই শুক্রবারের প্রার্থনার অভিমুখে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোকে পর্যালোচনা করব I আমাদের প্রকাশ্য শত্রু, শয়তান পঞ্চম দিনে নবী ঈসা আল মসীহ (আঃ) কে বিশ্বাসঘাতকতা করতে যুদার ভেতরে প্রবেশ করল I ষষ্ঠ দিনের পরবর্তী সন্ধ্যায় নবী তার শেষ নৈশ ভোজ তার সঙ্গীদের (তাঁর শিষ্য বলেও ডাকা হয়) সাথে ভাগ করলেন I সেই ভোজনে তিনি উদাহরণ এবং শিক্ষার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করলেন কিভাবে আমাদের একে অপরকে প্রেম করা উচিত এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের মহান প্রেম সম্পর্কে I ঠিক কিভাবে তিনি এটি করলেন তা ইঞ্জিল থেকে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে I তারপরে তিনি সকল বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করলেন – যাকে আপনি এখানে পড়তে পারেন I তাঁর শুক্রবারের প্রার্থনার পরে যা ঘটল সেই সম্বন্ধে ইঞ্জিল বর্ণনা করে:
বাগানের মধ্যে গ্রেফতার
যখন তিনি প্রার্থনা শেষ করলেন, যীশু তাঁর শিষ্যদের সাথে চলে গেলেন এবং কিদ্রন উপত্যকা অতিক্রম করলেন। অন্য দিকে একটি বাগান ছিল, তিনি এবং তাঁর শিষ্যরা তাতে ঢুকেছিলেন।
1প্রার্থনা শেষ করে যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই স্থান ত্যাগ করলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়ে গেলেন। অন্য পারে একটি বাগান ছিল। যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা সেখানে প্রবেশ করলেন।
2যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই স্থানটি সম্বন্ধে জানত, কারণ যীশু প্রায়ই সেখানে তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে মিলিত হতেন। 3তাই যিহূদা সৈন্যদল, প্রধান যাজকদের ও ফরিশীদের প্রেরিত কিছু কর্মচারীকে পথ দেখিয়ে সেই বাগানে প্রবেশ করল। তাদের সঙ্গে ছিল মশাল, লণ্ঠন এবং অস্ত্রশস্ত্র।
4তাঁর প্রতি যা কিছু ঘটতে চলেছে জানতে পেরে, যীশু এগিয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে খুঁজছ?”
5তারা উত্তর দিল, “নাসরতের যীশুকে।”
যীশু বললেন, “আমিই তিনি।” বিশ্বাসঘাতক যিহূদাও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। 6“আমিই তিনি,” যীশুর এই কথা শুনে তারা পিছিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
7তিনি তাদের আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে চাও?”
তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।”
8যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তো তোমাদের বললাম, আমিই তিনি। যদি তোমরা আমারই সন্ধান করছ, তাহলে এদের যেতে দাও।” 9এরকম ঘটল, যেন তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা পূর্ণ হয়, “যাদের তুমি আমাকে দান করেছ, তাদের একজনকেও আমি হারাইনি।”
10তখন শিমোন পিতর তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করলেন এবং তার ডানদিকের কান কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক।
11যীশু পিতরকে আদেশ দিলেন, “তোমার তরোয়াল কোষে রেখে দাও। পিতা আমাকে যে পানপাত্র দিয়েছেন, আমি কি তা থেকে পান করব না?”
12তখন সৈন্যদল, সেনাপতি এবং ইহুদি কর্মচারীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে বেঁধে ফেলল। 13প্রথমে তারা তাঁকে হাননের কাছে নিয়ে এল। তিনি ছিলেন সেই বছরের মহাযাজক, কায়াফার শ্বশুর।
যোহন 18যিরূশালেমের ঠিক বাইরে নবী বাগানের মধ্যে প্রার্থনা করতে গেলেন I সেখানে যুদাস তাকে গ্রেফতার করার জন্য সৈন্যদের নিয়ে এল I আমাদের যদি গ্রেফতারের সম্মুখীন হতে হয় তবে আমরা হয়ত সংঘর্ষ করতে, দৌড়াতে বা লুকোতে চেষ্টা করি I কিন্তু নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ সংঘর্ষ বা দৌড় কিছুই করেন নি I তিনি খুব স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন যে র্তিনিই বাস্তবিক সেই নবী যাকে তারা খুঁজছে I তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি (“আমিই সে”) সৈন্যদের হতচকিত করল এবং তাঁর সঙ্গীরা পলায়ন করল I নবী গ্রেফতার হতে সমর্পণ করলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হাননের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হ’ল I
প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ
নবীকে সেখানে কিভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ইঞ্জিল তা লিপিবদ্ধ করে:
যোহন 18১৯ তারপর মহাযাজক যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
19মহাযাজক ইতিমধ্যে যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।
20যীশু উত্তর দিলেন, “জগতের সামনে আমি প্রকাশ্যে প্রচার করেছি। ইহুদিরা সকলে যেখানে সমবেত হয়, সেই সমাজভবনে, অথবা মন্দিরে, আমি সবসময়ই শিক্ষা দিয়েছি, গোপনে কিছুই বলিনি। 21আমাকে প্রশ্ন করছ কেন? আমার শিক্ষা যারা শুনেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করো। আমি যা বলেছি, তারা নিশ্চয়ই তা জানে।”
22যীশুর একথা শুনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মচারী তাঁর মুখে চড় মারল। সে বলল, “মহাযাজকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কি এই রীতি?”
23যীশু উত্তর দিলেন, “আমি যদি অন্যায় কিছু বলে থাকি, তাহলে সেই অন্যায়ের বিপক্ষে সাক্ষ্য দাও। কিন্তু যদি আমি সত্যিকথা বলে থাকি, তাহলে তুমি আমাকে কেন আঘাত করলে?” 24হানন তখনই তাঁকে বাঁধন সমেত মহাযাজক কায়াফার কাছে পাঠালেন।
নবী ঈসা আল মসীহকে পিবিইউএইচ পূর্ব মহা যাজকের থেকে সেই বছরের মহা যাজকের কাছে এক দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হ’ল I
দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাবাদ
সেখানে তাঁকে সমস্ত নেতাদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে I ইঞ্জিল এই আরও জিজ্ঞাসাবাদকে লিপিবদ্ধ করে:
53তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল। আর সব প্রধান যাজকেরা, লোকদের প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা সমবেত হয়েছিল। 54পিতর দূর থেকে তাঁকে অনুসরণ করে মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত চলে গেলেন। সেখানে তিনি প্রহরীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।
55প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল, কিন্তু তারা সেরকম কিছুই পেল না। 56অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিল ঠিকই, কিন্তু তাদের সাক্ষ্যের মধ্যে কোনও মিল ছিল না।
57তখন কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল: 58“আমরা একে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরি এই মন্দির আমি ধ্বংস করতে ও তিনদিনের মধ্যে আর একটি মন্দির নির্মাণ করতে পারি, যা মানুষের তৈরি নয়।’ ” 59তবুও, এই সাক্ষ্যের মধ্যেও কোনো মিল খুঁজে পাওয়া গেল না।
60তখন মহাযাজক তাদের সামনে উঠে দাঁড়ালেন ও যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এনেছে, সেগুলি কী?” 61যীশু তবুও নীরব রইলেন, কোনও উত্তর দিলেন না।
মহাযাজক তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, পরমধন্য ঈশ্বরের পুত্র?”
62যীশু বললেন, “আমিই তিনি। আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
63তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। তিনি বললেন, “আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? 64তোমরা তো ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। তোমাদের অভিমত কী?”
তারা সবাই যীশুকে অপরাধী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে রায় দিল। 65তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুতু দিল, তারা তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে ঘুসি মারল ও বলল, “ভাববাণী বল!” আর প্রহরীরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে প্রহার করতে লাগল।
মার্ক 14
ইহূদি নেতারা নবী ঈসা আল মসীহকে মৃত্যু দণ্ডে দণ্ডিত করল I তবে যেহেতু যিরূশালেম রোমের দ্বারা শাসিত হত, একটি মৃত্যুদন্ড কেবলমাত্র রোমীয় অধ্যক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হতে পারত I অতএব তারা নবীকে রোমীয় অধ্যক্ষ পন্তীয় পীলাতের কাছে নিয়ে গেল I ইঞ্জিল আবারও লিপিবদ্ধ করে সেই একই সময়ে যুদাস ইস্করিতীয়র সাথে কি ঘটল, একজন যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল I
বিশ্বাসঘাতক যুদাসের প্রতি কি ঘটল?
1ভোরবেলায়, সমস্ত প্রধান যাজক ও লোকদের প্রাচীনবর্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। 2তারা তাঁকে বেঁধে প্রদেশপাল পীলাতের কাছে গেল ও তাঁর হাতে তাঁকে সমর্পণ করল।
3যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই যিহূদা যখন দেখল যে যীশুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে তীব্র বিবেক দংশনে বিদ্ধ হল। সে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছে গিয়ে সেই ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা ফিরিয়ে দিল।
4সে বলল, “নির্দোষ মানুষের রক্ত সমর্পণ করে আমি পাপ করেছি।” তারা উত্তরে বলল, “তাতে আমাদের কী? সে তোমার দায়।”
5তাই যিহূদা সেই অর্থ মন্দিরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল। তারপর গিয়ে নিজেকে ফাঁসি দিল।
6প্রধান যাজকেরা মুদ্রাগুলি তুলে নিয়ে বলল, “এই অর্থ ভাণ্ডারে রাখা বিধানবিরুদ্ধ, কারণ এটি রক্তের মূল্য।” 7তাই তারা স্থির করল, ওই অর্থ দিয়ে কুমোরের জমি কেনা হবে, যেন বিদেশিদের কবর দেওয়া যেতে পারে। 8এই কারণে একে আজও পর্যন্ত রক্তক্ষেত্র বলা হয়।
মথি 27
রোমীয় অধ্যক্ষের দ্বারা ঈসা আল মসীহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ’ল
11ইতিমধ্যে যীশুকে প্রদেশপালের সামনে দাঁড় করানো হল। প্রদেশপাল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহুদিদের রাজা?”
যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বললে।”
12প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে লাগল, তিনি কোনও উত্তর দিলেন না। 13তখন পীলাত তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার বিরুদ্ধে ওরা যে সাক্ষ্য এনেছে তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?” 14তবুও যীশু কোনো উত্তর দিলেন না, একটি অভিযোগেরও না। এতে প্রদেশপাল অত্যন্ত বিস্মিত হলেন।
15সেই সময়ে, পর্ব উপলক্ষে প্রদেশপালের একটি প্রথা ছিল, লোকসাধারণ যে কারাবন্দিকে চাইত, তিনি তাকে মুক্তি দিতেন। 16তখন যীশু-বারাব্বা নামে তাদের এক কুখ্যাত বন্দি ছিল। 17তাই লোকেরা সমবেত হলে পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের জন্য আমি কাকে মুক্তি দেব, বারাব্বাকে না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?” 18কারণ তিনি জানতেন, তারা ঈর্ষাবশত যীশুকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল।
19পীলাত যখন বিচারাসনে বসেছিলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে এই বার্তা পাঠালেন, “ওই নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি তুমি কিছু কোরো না, কারণ আজ আমি স্বপ্নে তাঁর কারণে ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”
20কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ লোকদের প্ররোচিত করে বলল, তারা যেন বারাব্বাকে মুক্তির জন্য চেয়ে নেয়, কিন্তু যীশুকে যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
21প্রদেশপাল জিজ্ঞাসা করলেন, “এই দুজনের মধ্যে তোমরা কাকে চাও যে আমি মুক্ত করি?”
তারা উত্তর দিল, “বারাব্বাকে।”
22পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, আমি তাকে নিয়ে কী করব?”
তারা সকলে মিলে উত্তর দিল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
23পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন? ও কী অপরাধ করেছে?”
কিন্তু তারা আরও জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
24পীলাত যখন দেখলেন, তাঁর সব প্রচেষ্টা নিষ্ফল হচ্ছে, বরং এক হট্টগোলের সৃষ্টি হচ্ছে, তিনি জল নিয়ে লোকদের সামনে তাঁর হাত ধুয়ে বললেন, “আমি এই মানুষটির রক্তপাত সম্পর্কে নির্দোষ। এই দায় তোমাদের!”
25লোকেরা সবাই উত্তর দিল, “ওর রক্ত আমাদের উপরে ও আমাদের সন্তানের উপরে বর্তাক।”
26তখন তিনি তাদের কাছে বারাব্বাকে মুক্ত করে দিলেন, কিন্তু যীশুকে চাবুক দিয়ে প্রহার করিয়ে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করলেন।
মথি 27নবী ঈসা আল মসীহর ক্রুশারোপন, মৃত্যু এবং সমাধি
ইঞ্জিল তখন অনেক বিস্তৃত ভাবে লিপিবদ্ধ করে কিভাবে নবী ঈসা আল মসীহকে ক্রুশবিদ্ধ করা হ’ল I এখানে বিবরণটি রয়েছে:
27এরপর প্রদেশপালের সৈন্যরা যীশুকে তাঁর প্রাসাদে নিয়ে গেল ও তাঁর চারপাশে সমস্ত সৈন্যদলকে একত্র করল। 28তারা তাঁর পোশাক খুলে একটি লাল রংয়ের পোশাক পরিয়ে দিল। 29তারপর কাঁটালতা দিয়ে পাকানো একটি মুকুট তৈরি করে তাঁর মাথায় স্থাপন করল। তারা তাঁর ডান হাতে নলখাগড়ার একটি ছড়ি দিল ও তাঁর সামনে নতজানু হয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করল, বলল, “ইহুদিদের রাজা, নমস্কার!” 30তারা তাঁর গায়ে থুতু দিল, ছড়িটি নিয়ে নিল এবং তা দিয়ে বারবার তাঁর মাথায় আঘাত করতে লাগল। 31তাঁকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করার পর, তারা তাঁর পোশাকটি খুলে নিল ও তাঁর নিজের পোশাক তাঁকে পরিয়ে দিল। তারপর তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য নিয়ে গেল।
যীশুকে ক্রুশার্পিত করা হল
32তারা যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা কুরীণ থেকে আগত শিমোন নামে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেল। তারা ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে তাকে বাধ্য করল। 33তারা গলগথা নামক এক স্থানে এল (নামটির অর্থ, “মাথার খুলির স্থান”)। 34তারা সেখানে যীশুকে পিত্তরসে মেশানো দ্রাক্ষারস পান করতে দিল; কিন্তু তিনি তার স্বাদ নিয়ে তা পান করতে চাইলেন না। 35তারা যখন তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করল, তারা গুটিকাপাত করে তাঁর পোশাকগুলি ভাগ করে নিল। 36আর সেখানে বসে, তারা তাঁকে পাহারা দিতে লাগল। 37তাঁর মাথার উপরে তারা তাঁর বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগপত্র টাঙিয়ে দিল:
এই ব্যক্তি যীশু, ইহুদিদের রাজা।
38দুজন দস্যুকে তাঁর সঙ্গে ক্রুশার্পিত করা হল, একজনকে তাঁর ডানদিকে, অন্যজনকে তাঁর বাঁদিকে। 39যারা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাদের মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁকে অপমান করে বলতে লাগল, 40“তুমি নাকি মন্দির ধ্বংস করে তিনদিনের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করতে চলেছিলে, এবার নিজেকে রক্ষা করো! তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এসো!” 41একইভাবে প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও প্রাচীনবর্গ তাঁকে বিদ্রুপ করল। 42তারা বলল, “ও অন্যদের বাঁচাত, কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারে না! ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ও ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরাও ওকে বিশ্বাস করব। 43ও ঈশ্বরে নির্ভর করে। ঈশ্বরই ওকে নিস্তার করুন, যদি তিনি ওকে চান, কারণ ও বলেছে, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র।’ ” 44একইভাবে, তাঁর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ দুই দস্যুও তাঁকে বিভিন্নভাবে অপমান করল।
যীশুর মৃত্যু
45দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশে অন্ধকার ছেয়ে গেল। 46প্রায় তিনটের সময় যীশু উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, “এলী, এলী, লামা শবক্তানী?” যার অর্থ, “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ?”
47সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন এমন কয়েকজন যখন একথা শুনল, তারা বলল, “ও এলিয়কে ডাকছে।”
48সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে একজন দৌড়ে গিয়ে একটি স্পঞ্জ নিয়ে এল। সে তা সিরকা মিশ্রিত দ্রাক্ষারসে পূর্ণ করে একটি নলের সাহায্যে যীশুকে পান করতে দিল। 49অন্যেরা সকলে বলল, “এখন ওকে একা ছেড়ে দাও। দেখি, এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।”
50পরে যীশু আবার উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে তাঁর আত্মাকে সমর্পণ করলেন।
51আর সেই মুহূর্তে মন্দিরের পর্দাটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চিরে দু-টুকরো হল। ভূমিকম্প হল ও পাথর শিলাগুলি বিদীর্ণ হল। 52কবরসকল উন্মুক্ত হল ও বহু পুণ্যজনের শরীর, যাঁরা পূর্বে নিদ্রাগত হয়েছিলেন, তাদের জীবনে উত্থাপিত করা হল। 53তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে এলেন ও যীশুর পুনরুত্থানের পর পবিত্র নগরে প্রবেশ করলেন এবং বহু মানুষকে দর্শন দিলেন।
54তখন সেই শত-সেনাপতি ও যারা তার সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, সেই ভূমিকম্প ও অন্য সব ঘটনা ঘটতে দেখে, তারা আতঙ্কগ্রস্ত হল ও বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠল, “নিশ্চিতরূপেই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন!”
55সেখানে বহু মহিলাও উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে সব লক্ষ্য করছিলেন। তাঁরা যীশুর পরিচর্যার জন্য গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে আসছিলেন। 56তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাগ্দালাবাসী মরিয়ম, যাকোব ও যোষির মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের পুত্রদের মা।
মথি 27
নবীর মৃত্যুর মুহুর্তে সুরা আজ-যিলযালের (সুরা ৯৯ – ভূমিকম্প) মতন একই বর্ণনা সহ ইঞ্জিল পৃথিবীর কাঁপুনি, পাথরের বিভাজন এবং সমাধির উন্মোচনের বর্ণনা করে I
পৃথিবীকে যখন তার প্রচন্ড কম্পনে কাঁপিয়ে দেয়া হবে, পৃথিবী তার (ভেতরের যাবতীয়) বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করবে, এবং মানুষ বলবে ‘এর কী হয়েছে?’ সে দিন পৃথিবী তার (নিজের উপর সংঘটিত) বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, কারণ তোমার প্রতিপালক তাকে আদেশ করবেন, সেদিন মানুষ বের হবে ভিন্ন ভিন্ন দলে যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো যায়,
সুরা আজ-যিলযাল ৯৯:১-৬
১ যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে, ২ যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে। ৩ এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? ৪ সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, ৫ কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন। ৬ সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
সুরা যিলযাল বিচারের দিনের প্রত্যাশা করে I ঈসা আল মসীহর মৃত্যুর বিস্তৃত বিবরণ যিলযালের অনুরূপ একটি চিহ্ন স্বরূপ যে তার মৃত্যু সেই আসন্ন দিনের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্য ছিল I
তাঁর ‘পার্শ্ব দিকে’ ছিদ্র করা হ’ল
যোহনের সুসমাচার ক্রুশারোপনের মধ্যে একটি আকর্ষনীয় বিবরণ লিপিবদ্ধ করে I এটি ব্যক্ত করে:
31সেদিন ছিল প্রস্তুতির দিন এবং পরদিন ছিল বিশেষ এক বিশ্রামদিন। ইহুদিরা চায়নি যে বিশ্রামদিনের সময় ওই দেহগুলি ক্রুশের উপর থাকে, তাই পা ভেঙে দিয়ে দেহগুলি ক্রুশের উপর থেকে নামাবার জন্য তারা পীলাতকে অনুরোধ করল। 32সৈন্যরা সেই কারণে এসে যীশুর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ প্রথম ব্যক্তির এবং তারপর অন্য ব্যক্তির পা ভেঙে দিল। 33কিন্তু তারা যীশুর কাছে এসে দেখল, ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই তারা তাঁর পা ভাঙল না। 34বরং, সৈন্যদের একজন বর্শা দিয়ে যীশুর বুকে বিদ্ধ করলে রক্ত ও জলের ধারা নেমে এল। 35যে এ বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী, সেই সাক্ষ্যদান করেছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য। সে জানে যে, সে সত্য কথা বলেছে এবং সে সাক্ষ্য দিচ্ছে যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পারো। 36শাস্ত্রের বচন পূর্ণ হওয়ার জন্য এই সমস্ত ঘটল, “তাঁর একটিও হাড় ভাঙা হবে না” এবং 37শাস্ত্রের অন্যত্র যেমন বলা হয়েছে, “তারা যাঁকে বিদ্ধ করেছে, তাঁরই উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে তারা।”
যোহন 19
যোহন দেখলেন রোমীয় সৈন্যরা একটি বর্শা দিয়ে ঈসা আল মসীহর পার্শ্ব দিক ছিদ্র করল I রক্ত বেরিয়ে এল এবং জল আলাদা হয়ে গেল, সংকেত দেয় যে নবী হৃদয় যন্ত্রের ব্যর্থতায় মারা গিয়েছিলেন I
সেই দিনের একটি চূড়ান্ত ঘটনা সম্পর্কে ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে – সমাধি কার্য I
57সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, সেখানে যোষেফ নামে আরিমাথিয়ার এক ধনী ব্যক্তি উপস্থিত হলেন। তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন। 58পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর দেহটি চাইলেন, পীলাত তা তাঁকে দেওয়ার আদেশ দিলেন। 59যোষেফ সেই দেহটি নিয়ে পরিষ্কার লিনেন কাপড়ে জড়ালেন 60ও পাথরে খোদাই করা তাঁর নিজের নতুন সমাধি গৃহে তা রাখলেন। তিনি সমাধির প্রবেশপথে একটি বড়ো পাথর গড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। 61সেখানে মাগ্দালাবাসী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরের উল্টোদিকে বসেছিলেন।
মথি 27
দিন 6 – শুভ শুক্রবার
ইহূদি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেকটি দিন সূর্যাস্ত দিয়ে শুরু হয় I যাতে করে সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনটি তাঁর শিষ্যদের সাথে নবীর শেষ নৈশ ভোজ দিয়ে আরম্ভ হল I দিনের শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হ’ল, অনেক বার বিচারে রাখা হ’ল, ক্রুশারোপন করা হ’ল, একটি বর্শা দিয়ে ছিদ্র করা হ’ল এবং সমাধিস্থ করা হ’ল I এই দিনটিকে প্রায়শই ‘শুভ শুক্রবার’ বলে উল্লেখ করা হয় I সেটি প্রশ্নকে উত্থাপন করে: কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতা, অত্যাচার এবং একজন নবীর মৃত্যুকে ‘শুভ’ বলে কখনও উল্লেখ করা যেতে পারে? কেন শুভ শুক্রবার এবং ‘খারাপ শুক্রবার’ নয়?
এটি একটি বড় প্রশ্ন যেটিকে পরবর্তী দিনগুলোতে ইঞ্জিলের বিবরণ চলতে থাকার দ্বারা আমরা উত্তর দিই I তবে একটি সূত্রকে দেখতে পাওয়া যায় আমরা যদি কালপঞ্জির মধ্যে লক্ষ্য করি এই শুক্রবার নীসন ১৪ তারিখের পবিত্র দিন ছিল, সেই একই নিস্তারপর্বের দিন যখন ইহূদিরা মিশরে ১৫০০ বছর পূর্বে মৃত্যু থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য একটি মেষশাবক বলি দিয়েছিলI
মানুষদের বেশিরভাগ বিবরণ সমূহ তাদের মৃত্যুতে শেষ হয়, তবে ইঞ্জিল চলতে থাকে যাতে আমরা বুঝতে পারি কেন এই দিনটিকে সর্বদা শুভ শুক্রবার বলে ভাবা যেতে পারে I পরের দিনটি ছিল বিশ্রাম বার – সপ্তম দিন I
তবে প্রথমে আমাদের অধ্যয়ন করা আয়াত থেকে শুরু করে সুরা আল-জুমু’আহর দিকে ফেরা যাক I
সুরা ৬২ আল-জুমু’আহ: ৮-৯বল- ‘তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাচ্ছ তা অবশ্যই তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করবে। অতঃপর তোমাদেরকে দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী (আল্লাহ)’র নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে; অতঃপর তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যা তোমরা করতে। হে মু’মিনগণ! জুমু‘আহর দিনে যখন নামাযের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে শীঘ্র ধাবিত হও, ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে!
ঈসা আল মসীহ সুরা আল-জুম্মু’আহর আয়াত ৬ এবং ৭ এর চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে, মৃত্যুর থেকে পলায়ন করেন নি, তবে প্রার্থনার সঙ্গে শুরু করে এই মহান পরীক্ষার মুখোমুখি হলেন, প্রমাণ করলেন তিনি একজন ‘ঈশ্বরের বন্ধু’ I এটি কি যথোচিত নয়, তখন, তাঁর সাহসিকতার স্মরণে, মুসলমানদের পরে আজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল শুক্রবারকে মসজিদের মধ্যে প্রার্থনার দিন হিসাবে আলাদা করতে? এটি যেন আল্লাহ চান না আমরা নবীর পরিষেবাকে ভুলে যাই I