আল কিতাব (বাইবেল) আক্ষরিকভাবে ‘বইকে’ বোঝায় I বাইবেল ইতিহাসের প্রথম রচনা যাকে বই আকারে স্থাপন করা হয়েছে যা আমরা আজ দেখি I বাইবেল একট বিশ্ব স্বীকৃত বই যা এর পরিধির মধ্যে সমস্ত লোক এবং পৃথিবীর জাতিদের অন্তর্ভুক্ত করেI এই হিসাবে, এই মহান বইটিকে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে I অনেক জাতিগণের উপরে বাইবেলের গভীর প্রভাব রয়েছে, এবং গ্রহের সর্বাধিক পঠিত বই I তবে এই বইটি একটি জটিল গল্প সহ আবারও এক দীর্ঘ বই I তাই আমাদের মধ্যে অনেকে এই বইয়ের বিষয়টিকে জানেনা বা বোঝেনা I এই নিবন্ধটি এই ক্লাসিক বইয়ের গল্পকে ব্যাখ্যা করতে বাইবেলের বই থেকে একটি বাক্য গ্রহণ করবে – ঈসা আল মসীহর (আঃ) কার্য I
আমাদের ভবিষ্যতের একটি প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে বাইবেলকে দেওয়া হয়েছিল I এই সমস্যাটিকে সুরা আল-মুজাদালাহতে (সুরা ৫৮ – আবেদনকারী মহিলা) ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা আসন্ন বিচারের দিনের দিকে দেখে
সেদিন, যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে আবার জীবিত করে উঠাবেন এবং তাদের কৃতকর্মের সংবাদ তাদেরকে জানিয়ে দিবেন, আল্লাহ তা হিসেব করে রেখেছেন যদিও তারা (নিজেরা) ভুলে গেছে। আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী। তুমি কি জান না যে, যা আকাশে আছে আর যা যমীনে আছে আল্লাহ সব জানেন। তিনজনের মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থজন আল্লাহ হন না, আর পাঁচজনেও হয় না, ষষ্ঠজন তিনি ছাড়া, এর কম সংখ্যকেও হয় না, আর বেশি সংখ্যকেও হয় না, তিনি তাদের সঙ্গে থাকা ব্যতীত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। অতঃপর ক্বিয়ামত দিবসে তিনি জানিয়ে দেবেন যা তারা ‘আমাল করেছিল। আল্লাহ সকল বিষয়ে পূর্ণভাবে অবগত।
সুরা আল-মুজাদালাহ ৫৮:৬-৭
সুরা আল-মুজাদালাহ আমাদের বলে যে এমন কোনো গোপনতা নেই যা আল্লাহ আমাদের সম্পর্কে জানেন না, এবং তিনি আমাদের বিচার করতে তার জ্ঞান ব্যবহার করবেন I
সুরা আল-কেয়ামাহ (সুরা ৭৫ – পুনরুত্থান) এই দিনটিকে ‘পুনরুত্থান দিন’ বলে ডাকে এবং এছাড়াও সাবধান করে কিভাবে মানুষকে তার জীবনের জন্য জবাব দিতে সামনে নিয়ে আসা হবে I
সেদিন মানুষ বলবে- ‘আজ পালানোর জায়গা কোথায়?’ মোটেই না, আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই। সেদিন ঠাঁই হবে (একমাত্র) তোমার প্রতিপালকেরই নিকট। সেদিন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হবে সে কী (‘আমাল) আগে পাঠিয়েছে আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছে। আসলে মানুষ নিজেই নিজের সম্পর্কে চাক্ষুসভাবে অবগত।
সুরা আল-কেয়ামাহ ৮৫:১০-১৫
তাহলে আমরা কি করব আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং কাজকর্মগুলোর জন্য আমরা যদি লজ্জিত হই? বাইবেলের বার্তা তাদের জন্য যারা এই উদ্বিগ্নতা বহন করে I
বইটির বার্তা
আমরা নবী ঈসা আল মসীহর (আঃ) শেষ সপ্তাহকে পরীক্ষা করলাম I ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে যে তিনি ষষ্ঠ দিনে – শুভ শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, এবং তাঁকে পরের রবিবারে আবার জীবনে ওঠানো হয়েছিল I এটিকে তাওরাত এবং গীতসংহিতা ও নবীদের উভয়ের মধ্যে পূর্বাভাষ করা গিয়েছিল I কিন্তু কেন এটি ঘটল এবং আজকে আপনার এবং আমার জন্য এটির অর্থ কি? এখানে আমরা বুঝতে চাই ঈসা আল মসীহর দ্বারা আমাদেরকে কি দেওয়া হয়েছে এবং আমরা কিভাবে করুণা এবং ক্ষমা পেতে পারি I এটি আমাদেরকে এমনকি ইব্রাহিমের মুক্তিপণকে বুঝতে সাহায্য করবে যাকে সুরা আস-সাফফাত (সুরা ৩৭), সুরা আল ফাতিয়া (সুরা ১ – উদ্ঘাটক) এর মধ্যে বর্ণিত করা হয়েছে, যখন এটি আল্লাহকে ‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাতে’ বলে পাশাপাশি উপলব্ধি দিতে কেন ‘মুসলিমের’ অর্থ ‘একজন যে সমর্পণ করে’, এবং কেন ধর্মকর্ম পালন যেমন বুদু, যাকাত এবং হালাল খাওয়া ভাল তবে বিচারের দিনের জন্য নিজেদের মধ্যে অপর্যাপ্ত ভাল উদ্দেশ্য I
খারাপ সংবাদ – আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের সম্বন্ধে নবীরা কি বলে
তাওরাত শিক্ষা দেয় যে যখন আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করলেন তিনি
27অতএব ঈশ্বর তাঁর নিজস্ব প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করলেন, ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তিনি তাকে সৃষ্টি করলেন; পুরুষ ও স্ত্রী করে তিনি তাদের সৃষ্টি করলেন।
আদি পুস্তক 1
“প্রতিমূর্তি” শারীরিক অর্থে বোঝায় না, তবে বরং সেই অর্থে যাতে আমাদেরকে তৈরী করা হয় তাঁকে প্রতিফলিত করতে এমনভাবে যাতে আমরা আবেগপূর্ণভাবে, মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে, এবং আত্মিকভাবে কার্যকলাপ করি I তাঁর সাথে সম্পর্কের মধ্যে হতে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছিল I আমরা এই সম্পর্ককে নিচের স্লাইডের মধ্যে দেখতে পারি I সৃষ্টিকর্তাকে, অসীম শাসক হিসাবে, উপরে রাখা হয়েছে যেখানে পুরুষ এবং স্ত্রীকে স্লাইডের নিচে রাখা হয়েছে যেহেতু আমরা সীমিত প্রাণী I সংযোগকারী তীরের দ্বারা সম্পর্ককে দেখানো হয়েছে I
আল্লাহ চরিত্রের দিক দিয়ে সিদ্ধ – তিনি পবিত্র I এই কারণে যাবুর বলে
4কারণ তুমি এমন ঈশ্বর নও যিনি দুষ্টতায় সন্তুষ্ট হন; কারণ তুমি দুষ্টদের পাপ সহ্য করতে পারো না। 5দাম্ভিকেরা তোমার সামনে দাঁড়াতে পারে না। যারা অধর্ম করে তাদের তুমি ঘৃণা করো;
গীত 5
আদম অবাধ্যতার একটি কার্য করেছিল – কেবলমাত্র একটি – আর ঈশ্বরের পবিত্রতায় তার বিচারের প্রয়োজন হয়েছিল I তাওরাত এবং কোরআন লিপিবদ্ধ করে যে আল্লাহ তাকে মরণশীল করলেন এবং তাঁর উপস্থিতি থেকে বিতাড়িত করলেন I সেই একই পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিদ্যমান I যখন আমরা পাপ করি বা অমান্য করি তখন আমরা যে কোনো উপায়ে আল্লাহকে অসম্মান করি যেহেতু আমরা প্রতিমূর্তি অনুসারে কাজ করি না যাতে আমাদের তৈরী করা হয়েছে I আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় I এর ফলে পাথরের মতন শক্ত এক বাধার সৃষ্টি হয় যা আমাদের এবং সৃষ্টিকর্তার মধ্যে আসে I
ধর্মীয় যোগ্যতার দ্বারা পাপের বাধাকে বিদ্ধ করা
আমাদের মধ্যে অনেকে আমাদের এবং আল্লাহর মধ্যে এই বাধাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহ বা কার্যাবলীর দ্বারা বিদ্ধ করতে চেষ্টা করে যা বাধাকে ভাঙতে যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে I প্রার্থনা, উপবাস, হজ্জ, মসজিদে যাওয়া, যাকাত, ভিক্ষা দান, সেই পথগুলো যার দ্বারা আমরা বাধাকে বিদ্ধ করতে যোগ্যতা অর্জন করতে চাই যাকে পরে চিত্রিত করা হয়েছে I আশা হলো যে ধর্মীয় যোগ্যতা কিছু পাপকে বাতিল করবে I আমাদের অনেক কাজগুলো যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে আমরা আমাদের পাপগুলোকে বাতিল করতে এবং করুণা ও ক্ষমা পেতে আশা করি I
কিন্তু পাপ বাতিল করতে কতটা যোগ্যতা আমাদের প্রয়োজন? আমাদের কি আশ্বাস যে আমাদের যোগ্যতাপূর্ণ কাজগুলো পাপ বাতিল করতে এবং বাধাকে বিদ্ধ করতে পর্যাপ্ত হবে যা আমাদের এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তার মধ্যে এসেছে? আমরা কি জানি যে আমাদের ভাল উদ্দেশ্যগুলো পর্যাপ্ত হবে? আমাদের কাছে কোন আশ্বাস নেই আর তাই আমরা যতটা সম্ভব পারি চেষ্টা করি করতে এবং আশা করি বিচারের দিনে এটি পর্যাপ্ত হবে I
কার্যকলাপ সমূহের দ্বারা যোগ্যতা অর্জন করার পাশাপাশি, ভালো উদ্দেশ্যের জন্য প্রচেষ্টায়, আমাদের মধ্যে অনেকে পরিষ্কার থাকতে কঠিন পরিশ্রম করে I প্রার্থনার পূর্বে আমরা অধ্যবসায়ের সাথে বুদু অনুষ্ঠিত করি I অশুচিকারী লোকেদের থেকে, বস্তুগুলোর থেকে এবং খাদ্যের থেকে দুরে থাকতে আমরা কঠিন পরিশ্রম করি I কিন্তু নবী যিশাইয় প্রকাশ করলেন যে:
6আমরা সবাই অশুচি মানুষের মতো হয়েছি, আমাদের ধার্মিকতার যত কাজ, সব নোংরা কাপড়ের মতো; আমরা সবাই পাতার মতো শুকিয়ে যাই, আমাদের পাপগুলি বাতাসের মতো আমাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়।
যিশাইয় 64
নবী আমাদের বলেন যে এমনকি যদি আমরা সমস্তকিছুকে এড়িয়ে চলি যা আমাদের অশুচি করে, আমাদের পাপ সমূহ আমাদের ‘ধার্মিক কার্যকলাপ’ আমাদের পরিষ্কার করতে ‘নোংরা নেকড়ার’ মতন অকেজো করে তুলবে I ওটি খারাপ সংবাদ I তবে এটি আরও খারাপ হয় I
আরও খারাপ সংবাদ: পাপ এবং মৃত্যুর ক্ষমতা
নবী মুসা (আঃ) স্পষ্টভাবে ব্যবস্থার মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন যে সম্পূর্ণ বাধ্যতার প্রয়োজন ছিল I ব্যবস্থা কখনোই এরকম বলেনি যে “বেশিরভাগ অজ্ঞাগুলোকে অনুসরণ করতে চেষ্টা কর” I আসলে ব্যবস্থাটি বারবার বলেছিল পাপের প্রতিদানের একমাত্র কাজ মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছিল I নোহের(আঃ) সময়ে এবং এমনকি লোটের (আঃ) স্ত্রীর সাথে আমরা দেখেছিলাম যে মৃত্যু পাপের পরিণাম স্বরূপ ছিল I
ইঞ্জিল এই সত্যটিকে নিম্নলিখিত উপায়ে সংক্ষিপ্তসার করে:
23কারণ পাপের বেতন মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।
রোমীয় 6
“মৃত্যু” আক্ষরিক অর্থে ‘বিচ্ছিনতা’ I আমাদের আত্মা যখন আমাদের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয় আমরা শারীরিকভাবে মারা যাই I অনুরূপভাবে আমরা এমনকি এখন ঈশ্বরের থেকে আত্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং মৃত হয়েছি এবং তাঁর দৃষ্টিতে অশুচি I
এটি পাপের মূল্যের জন্য যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের আশার সমস্যাকে প্রকাশ করে I সমস্যা হল যে আমাদের কঠিন প্রচেষ্টা সমূহ, যোগ্যতাগুলো, ভালো উদ্দেশ্য সমূহ, এবং কাজগুলো, যদিও ভুল নয়, তবুও অপর্যাপ্ত কারণ আমাদের পাপের জন্য প্রতিদান (‘বেতন’) হ’ল ‘মৃত্যু’ I কেবলমাত্র মৃত্যুই এই প্রাচীরকে বিদ্ধ করে কারণ এটি ঈশ্বরের ন্যায়কে সন্তুষ্ট করে I হালাল খাদ্য খাওয়ার দ্বারা যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলো ক্যান্সার (যার পরিণাম মৃত্যু) নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করার মতন I হালাল খাদ্য খারাপ নয়, ভাল – এবং একজনের হালাল খাওয়া ভাল – কিন্তু এটি ক্যান্সার নিরাময় করবে না I ক্যান্সারের জন্য আপনার এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজন যা ক্যান্সারের কোশিকাগুলোকে মারে I
তাই এমনকি আমাদের প্রচেষ্টা এবং ভাল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে যা ধর্মীয় যোগ্যতার জন্ম দেয় আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে আসলে মৃত এবং একটি মৃত দেহের মতন অশুচি I
ইব্রাহিম – সরল পথ দেখান
এটি নবী ইব্রাহিমের (আঃ) ক্ষেত্রে আলাদা I তাকে ‘ধার্মিকতা দেওয়া হয়েছিল’, তার যোগ্যতার কারণে নয় বরং তিনি তাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির উপরে বিশ্বাস এবং ভরসা করেছিলেন বলে I তিনি নিজের দ্বারা এটিকে অর্জন করার পরিবর্তে প্রয়োজনীয় মূল্য প্রদান করতে ঈশ্বরের উপরে ভরসা করেছিলেন I আমরা তার মহান কোরবানীর মধ্যে দেখলাম যে মৃত্যুর (পাপের জন্য মূল্য) অর্থ প্রদান করা হয়েছিল, তবে তার পুত্রের দ্বারা নয় বরং পরিবর্তে ঈশ্বরের দ্বারা প্রদত্ত এক মেষশাবকের দ্বারা I
কোরআন এটির সম্বন্ধে সুরা আস-সাফফাতে (সুরা 37 – তারা যারা মাত্রা স্থাপন করে) বলে যেখানে এটি বলে:
আমি এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক!
সুরা আস-সাফফাত:১০৭-১০৯
আল্লাহ ‘মুক্তিপণ (মূল্য প্রদান করলেন) দিলেন’ আর ইব্রাহিম আশীর্বাদ, করুণা এবং ক্ষমা পেলেন যা ‘শান্তিকে’ অন্তর্ভুক্ত করেছিল I
শুভ সংবাদ: আমাদের স্বপক্ষে ঈসা আল মসীহর কাজ
সেখানে আমাদের সরল পথ দেখাতে সুরা আল-ফাতিয়ার (সুরা ১ – উদ্ঘাটন) অনুরোধ অনুসারে নবীর উদাহরণ
যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা কেবল তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর ও তার প্রতি অটুট থাকার তাওফীক দান কর। তাদের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথ, যারা গযবপ্রাপ্ত (ইয়াহূদী) ও পথভ্রষ্ট (খ্রিস্টান) নয়।
ফাতিহা ১:৪-৭
ইঞ্জিল ব্যাখ্যা করে যে এটি একটি চিত্র যা দেখায় আল্লাহ কিভাবে পাপের জন্য মূল্য প্রদান করেন এবং মৃত্যু ও অশুচিতার জন্য একটি সরল কিন্তু শক্তিশালী উপায়ে নিরাময় যোগান দেন I
23কারণ পাপের বেতন মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।
রোমীয় 6
এতক্ষণ পর্যন্ত সব ‘খারাপ সংবাদ’ ছিল I তবে ‘ইঞ্জিল’ আক্ষরিক অর্থে ‘শুভ সংবাদ’ বোঝায় এবং সেটিকে ঘোষণা করার দ্বারা আমাদের এবং ঈশ্বরের মধ্যে এই বাধাকে বিদ্ধ করতে ঈসার মৃত্যু পর্যাপ্ত হয় আমরা দেখতে পারি কেন এটি শুভ সংবাদ যেমন দেখানো হয়েছে I
ঈসা আল মসীহর কোরবানী – ঈশ্বরের মেষশাবক – মৃত্যুর দ্বারা আমাদের পক্ষে পাপের জন্য মূল্য প্রদান করে যেমন ইব্রাহিমের মেষশাবক করেছিল I
নবী ঈসা আল মসীহ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং পরে প্রথম ফল হিসাবে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন যাতে করে তিনি আমাদেরকে এখন নতুন জীবন দান করেছেন I মৃত্যুর পাপের বন্দী হয়ে থাকার আমাদের আর কোনো দরকার নেই I
তাঁর কোরবানী এবং পুনরুত্থানের মধ্যে ঈসা আল মসীহ ঈশ্বরের থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নকারী পাপের বাধার মধ্যিখান দিয়ে দ্বারে পরিণত হলেন I এই জন্যই নবী বললেন:
9আমিই দ্বার, আমার মধ্য দিয়ে যে প্রবেশ করবে, সে রক্ষা পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে, আর চারণভূমির সন্ধান পাবে। 10চোর আসে কেবল চুরি, হত্যা ও ধ্বংস করতে, কিন্তু আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং তা পূর্ণরূপেই পায়।
যোহন 10
এই দ্বারের কারণে, আমরা এখন আমাদের পাপ বাধা হওয়ার পূর্বে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে পুনরায় অর্জন করতে পারি এবং করুণা এবং পাপের ক্ষমা পেতে আশ্বস্ত হতে পারি I
যেমন ইঞ্জিল ঘোষণা করে:
5কারণ ঈশ্বর যেমন এক তেমন ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী আছেন, তিনি মানুষ খ্রীষ্ট যীশু। 6তিনি সব মানুষের জন্য নিজেকে মুক্তিপণরূপে প্রদান করেছেন—এই সাক্ষ্য যথাসময়ে দেওয়া হয়েছে।
1 তিমথি 2
আপনার কাছে ঈশ্বরের উপহার
নবী ‘সকল লোকেদের’ জন্য ‘নিজেকে দিয়েছিলেন’ I তাই এটি অবশ্যই আপনাকে তথা আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে I তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তিনি একজন মধ্যস্থতাকারী হয়ে মূল্য প্রদান করেছেন এবং আমাদের জীবন প্রদান করেছেন I এই প্রদত্ত জীবনটি কিরকম?
23কারণ পাপের বেতন মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।
রোমীয় 6
লক্ষ্য করুন এটিকে কিভাবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে I এটিকে দেওয়া হয়েছে এক … ‘উপহার’ হিসাবে I উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I এতে কিছু এসে যায় না উপহারটি কি, যদি এটি প্রকৃতপক্ষে একটি উপহার হয় এটি এমনকিছু যার জন্য আপনি কাজ করেন না এবং যোগ্যতার দ্বারা অর্জন করেন না I যদি আপনি এটিকে অর্জন করতেন তবে উপহারটি আর একটি উপহার হত না – এটি একটি মজুরি হত! সেই একই ভাবে আপনি যোগ্য হতে বা ঈসা আল মসীহর কোরবানীকে অর্জন করতে পারেন না I এটিকে এক উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে I এটি ততটাই সরল I
আর উপহারটি কি? এটি ‘অনন্ত জীবন’ I তার অর্থ যে পাপ আপনাকে এবং আমাকে মৃত্যুতে নিয়ে এসেছে তার মূল্য এখন চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে I ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে অধিক ভালবাসেন I এটি ততটাই শক্তিশালী I
অতএব অপনি এবং আমি কিভাবে অনন্ত জীবন পাব? আবার, উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I কেউ যদি আপনাকে একটি উপহার দিতে চায় আপনি অবশ্যই এটিকে ‘গ্রহণ করবেন’ I যে কোনো সময় এক উপহার দিলে সেখানে কেবলমাত্র দুটি বিকল্প হয় I হয় উপহারটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয় (“না ধন্যবাদ আপনাকে”) বা এটিকে গ্রহণ করা হয় (“আপনার উপহারের অন্য ধন্যবাদ I আমি এটিকে গ্রহণ করব”) I অতএব এই উপহারটিকেও অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে I এটিকে কেবল মানসিকভাবে বিশ্বাস করতে, অধ্যয়ন করতে বা বুঝতে পারা যায় না I উপকার পেতে গেলে, যে কোনো উপহারকে আপনাকে অবশ্যই ‘গ্রহণ করতে হবে’ I
12তবু যতজন তাঁকে গ্রহণ করল, যারা তাঁর নামে বিশ্বাস করল, তাদের তিনি ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার দিলেন। 13তারা স্বাভাবিকভাবে জাত নয়, মানবিক ইচ্ছা বা পুরুষের ইচ্ছায় নয়, কিন্তু ঈশ্বর থেকে জাত।
যোহন 1
আসলে ইঞ্জিল ঈশ্বরের সম্পর্কে বলে যে
3আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বরের সামনে এটাই উত্তম ও সন্তোষজনক। 4তিনি চান, সব মানুষ যেন পরিত্রাণ পায় এবং সত্যের তত্ত্বজ্ঞান উপলব্ধি করতে পারে।
1 তিমথি 2
তিনি একজন উদ্ধারকর্তা এবং তাঁর ইচ্ছা যে ‘সকল লোকেরা’ তাঁর উপহার গ্রহণ করুক এবং পাপ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাক I এটি যদি তাঁর ইচ্ছা হয়, তবে তাঁর উপহার গ্রহণ করতে হলে শুধুমাত্র তাঁর ইচ্ছার প্রতি সমর্পণ করতে হবে – ‘মুসলিম’ শব্দটির বিশেষ অর্থ – একজন যে সমর্পণ করে I
কিভাবে আমরা এই উপহারটি পাই? ইঞ্জিল বলে যে
12কারণ ইহুদি ও অইহুদির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই; সেই একই প্রভু সকলের প্রভু এবং যতজন তাঁকে ডাকে, তাদের সকলকে তিনি পর্যাপ্ত আশীর্বাদ করেন।
রোমীয় 10
লক্ষ্য করুন যে এই প্রতিশ্রুতি ‘প্রত্যেকের’ জন্য I যেহেতু তিনি মৃত্যু থেকে উঠলেন ঈসা আল মসীহ এমনকি এখনও জীবিত I অতএব আপনি যদি তাঁকে ডাকেন তিনি শুনবেন এবং তাঁর উপহার আপনাকে দেবেন I আপনি তাঁকে ডাকুন এবং তাঁকে বলুনI আপনি হয়ত কখনও এইরকম করেন নি I নিচে একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে I কোনো যাদু মন্ত্র নয় I এটি কোনো নির্দিষ্ট কথা নয় যা শক্তি দিতে পারে I এটি ইব্রাহিমের যেমন ছিল সেইরকম বিশ্বাস যাকে আমরা এই উপহারটি দেওয়ার জন্য ঈসা আল মসীহর উপরে রাখতে পারি I তাঁকে বিশ্বাস করার সাথে সাথে তিনি আমাদের কথা শুনবেন এবং উত্তর দেবেন I ইঞ্জিল শক্তিশালী, তবুও সহজও বটে I যদি আপনি এটিকে উপযোগী পান, এই নির্দেশনাকে অনুসরণ করতে স্বচ্ছন্দ অনুভব করুন I
প্রিয় নবী এবং ঈসা আল মসীহ I আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার পাপের কারণে আমি আমার সৃষ্টিকর্তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি I যদিও আমি কঠিনভাবে চেষ্টা করি, আমার প্রচেষ্টাগুলো এই বাধাকে বিদ্ধ করে না I তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনার মৃত্যু আমার সমস্ত পাপ ধুতে এবং আমাকে শুদ্ধ করতে একটি কোরবানী ছিল I আমি জানি যে আপনি আপনার কোরবানীর পরে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন তাই আমি বিশ্বাস করি যে আপনার কোরবানী পর্যাপ্ত ছিল এবং তাই আমি আপনার কাছে সমর্পণ করি I আমি আপনার কাছে অনুরোধ করি দয়া করে আমার পাপের থেকে শুদ্ধ করুন এবং আমার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মধ্যস্থতা করুন যাতে করে আমি অনন্ত জীবন পেতে পারি I আমার এই সমস্ত করার জন্য ঈসা আল মসীহ, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং এখন এমনকি আপনি আমার জীবনে ক্রমাগত পথ প্রদর্শন করতে থাকবেন যাতে আমি আপনাকে আমার প্রভু হিসাবে অনুসরণ করতে পারি I
অত্যন্ত করুনাময়, ঈশ্বরের নামে