সুরা আল-ইনশিকাক (সুরা ৮৪ – বিসর্জন) বর্ণনা করে কিভাবে পৃথিবী এবং আকাশ কেঁপে যাবে এবং বিচারের দিনে ধ্বংস হবে I
তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। যেদিন আকাশ প্রচন্ডভাবে কাঁপবে, আর পর্বত হবে দ্রুত চলমান, ধ্বংস সেদিন সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
আল-ইনশিকাক ৮৪:১-১২
সুরা আল-ইনশিকাক সাবধান করে যে যাদের কাজের রেকর্ড তার ‘দক্ষিন হস্তে’ দেওয়া না হয়, তারা সেই দিনে এক ‘জ্বলন্ত আগুনে’ প্রবেশ করবে I
আপনি কি জানেন আপনার কাজের রেকর্ড কি আপনার দক্ষিন হস্তে দেওয়া হবে কিম্বা আপনার পেছনে?
সূরা আত্ব তূর (সুরা ৫২ – পর্বত) বিচারের দিনে পৃথিবীর ঝাঁকুনি এবং লোকের সম্বদ্ধে বিস্তৃত ভাবে বর্ণনা করে
45 তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে। 46 সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। 47 গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
সূরা আত্ব তূর ৫২:৪৫-৪৭
7তাই যীশু তাদের আবার বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমিই মেষদের দ্বার। 8যারা আমার আগে এসেছিল, তারা সবাই ছিল চোর ও দস্যু, তাই মেষেরা তাদের ডাকে কান দেয়নি। 9আমিই দ্বার, আমার মধ্য দিয়ে যে প্রবেশ করবে, সে রক্ষা পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে, আর চারণভূমির সন্ধান পাবে। 10চোর আসে কেবল চুরি, হত্যা ও ধ্বংস করতে, কিন্তু আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং তা পূর্ণরূপেই পায়।
11“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক। উৎকৃষ্ট মেষপালক মেষদের জন্য তাঁর প্রাণ সমর্পণ করেন। 12বেতনজীবী লোক মেষপালক নয়, সে মেষপালের মালিকও নয়। তাই সে নেকড়ে বাঘকে আসতে দেখে, মেষদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেকড়ে তখন মেষপালকে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। 13বেতনজীবী বলেই সে পালিয়ে যায়, মেষপালের জন্য কোনো চিন্তা করে না।
14“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক, আমার মেষদের আমি জানি ও আমার নিজেরা আমাকে জানে— 15যেমন পিতা আমাকে জানেন ও আমি পিতাকে জানি—আর মেষদের জন্য আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি। 16এই খোঁয়াড়ের বাইরেও আমার অন্য মেষ আছে। তারা আমার কণ্ঠস্বর শুনবে। তখন একটি পাল এবং একজন পালক হবে। 17আমার পিতা এজন্য আমাকে প্রেম করেন, কারণ আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি, যেন আবার তা পুনরায় গ্রহণ করি। 18কেউ আমার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে পারে না। আমি স্বেচ্ছায় আমার প্রাণ সমর্পণ করি। সমর্পণ করার অধিকার এবং তা ফিরে পাওয়ারও অধিকার আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকে আমি এই আদেশ লাভ করেছি।”
যোহন 10
19একথায় ইহুদিদের মধ্যে আবার মতভেদ দেখা দিল। 20তাদের অনেকেই বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে; তাই ও পাগলের মতো কথা বলছে। ওর কথা শুনছ কেন?”
21কিন্তু অন্যেরা বলল, “এসব কথা তো ভূতের পাওয়া লোকের নয়! ভূত কি অন্ধদের চোখ খুলে দিতে পারে?”
ইহুদিদের অবিশ্বাস
22এরপর জেরুশালেমে মন্দির-উৎসর্গের পর্ব এসে গেল। তখন শীতকাল। 23যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। 24ইহুদিরা তাঁকে ঘিরে ধরে বলল, “আর কত দিন তুমি আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, সেকথা আমাদের স্পষ্ট করে বলো!”
25উত্তরে যীশু বললেন, “আমি বলা সত্ত্বেও তোমরা বিশ্বাস করোনি। আমার পিতার নামে সম্পাদিত অলৌকিক কাজই আমার পরিচয় বহন করে। 26কিন্তু তোমরা তা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও। 27আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আমি তাদের জানি, আর তারা আমাকে অনুসরণ করে। 28আমি তাদের অনন্ত জীবন দান করি; তারা কোনোদিনই বিনষ্ট হবে না। আর কেউ তাদের আমার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। 29আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবার চেয়ে মহান। আমার পিতার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতে পারে না। 30আমি ও পিতা, আমরা এক।”
31ইহুদিরা তাঁকে আবার পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য পাথর তুলে নিল। 32কিন্তু যীশু তাদের বললেন, “পিতার দেওয়া শক্তিতে আমি তোমাদের অনেক মহৎ অলৌকিক কাজ দেখিয়েছি। সেগুলির মধ্যে কোনটির জন্য তোমরা আমাকে পাথর মারতে চাইছ?”
33ইহুদিরা বলল, “এসব কোনো কারণের জন্যই নয়, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার জন্য আমরা তোমাকে পাথর মারতে উদ্যত হয়েছি, কারণ তুমি একজন সামান্য মানুষ হয়েও নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করছ।”
34যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধানপুস্তকে কি লেখা নেই, ‘আমি বলেছি, তোমরা “ঈশ্বর”’? 35যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদের ‘ঈশ্বর’ নামে অভিহিত করে থাকেন—এবং শাস্ত্রের তো পরিবর্তন হতে পারে না— 36তাহলে পিতা যাকে তাঁর আপনজনরূপে পৃথক করে জগতে পাঠিয়েছেন, তাঁর বিষয়ে কী বলবে? তবে ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র,’ একথা বলার জন্য কেন তোমরা আমাকে ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করছ? 37আমার পিতা যা করেন, আমি যদি সে কাজ না করি, তাহলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কোরো না। 38কিন্তু আমি যদি তা করি, তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই অলৌকিক কাজগুলিকে বিশ্বাস করো, যেন তোমরা জানতে ও বুঝতে পারো যে, পিতা আমার মধ্যে ও আমি পিতার মধ্যে আছি।” 39তারা আবার তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের কবল এড়িয়ে গেলেন।
40এরপর যীশু জর্ডন নদীর অপর পারে ফিরে গেলেন, যেখানে যোহন আগে লোকেদের বাপ্তিষ্ম দিতেন। তিনি সেখানে থেকে গেলেন এবং বহু লোক তাঁর কাছে এল। 41তারা বলল, “যোহন কখনও চিহ্নকাজ সম্পাদন না করলেও, এই মানুষটির বিষয়ে তিনি যথার্থ কথাই বলেছেন।” 42সেখানে বহু মানুষ যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করল।
যোহন 10