Skip to content

2 ন. চিহ্ন: ব্যবস্থা

মশির প্রথম চিহ্নতে আমরা দেখেছি – নিস্তারপর্ব – যে আল্লাহ সমস্ত প্রথমজাত পুত্রদের প্রতি মৃত্যু জারি করলেন কেবল তাদেরকে ছাড়া যারা এমন গৃহ সমূহের মধ্যে ছিল যেখানে এক মেষশাবকের বলি দেওয়ার পরে তার রক্তকে দরজার কপাটে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল I ফরৌণ সমর্পণ করলো না তাই তার পুত্র মারা গেল এবং মশি (মোসেসও বলা হয় – পি বি ইউ এইচ) ইস্রাযেলীয়দের মিসরের বাইরে নিয়ে গেল, এবং ফরৌণ তাদেরকে তাড়া করতে গিয়ে লোহিত সমুদ্রের মধ্যে জলমগ্ন হল I  

কিন্তু ভাববাদী হিসাবে মশির ভূমিকা কেবল তাদেরকে মিসর থেকে বার করার ছিল না, বরং তাদেরকে এক নতুন জীবন যাপনের দিকে পরিচালিত করার ছিল – আলাহর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শরিয়া কানুন অনুসারে জীবন যাপন করা I

সুরাহ আল-আলা (সুরাহ 87 – সর্বোচ্চ) আমাদের মনে করিয়ে দেয় আল্লাহ প্রাকৃতিক বিধান অনুসারে কিভাবে দুনিয়াকে চালিয়েছেন I 

আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুনযিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেনএবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেনঅতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।

সুরাহ আল –আ’লা 87:1-5

অনুরূপভাবে, তার ইচ্ছা মানবজাতি যেন নৈতিক বিধান অনুসারে চলে I 

অতএব মিসর ছাড়ার অল্প সময় পরে, মশি (পিবিইউএইচ) এবং ইস্রায়েলীয়রা সীনয় পর্বতে এলো I মশি (পিবিইউএইচ) শরিয়া কানুন গ্রহণ করতে 40 দিন ধরে পর্বতের উপরে রইল I সুরাহ আল-বাকরাহ এবং সুরা আল-আরাফ নিম্নলিখিত আয়াতের সাহায্যে এই সময়টির উল্লেখ করে I 

আর আমি যখন তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে ধরেছিলাম এই বলে যে, তোমাদিগকে যে কিতাব দেয়া হয়েছে তাকে ধর সুদৃঢ়ভাবে এবং এতে যা কিছু রয়েছে তা মনে রেখো যাতে তোমরা ভয় কর।

সুরাহ 2:63-গাভীটি

আর আমি মূসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলোকে পূর্ন করেছি আরো দশ দ্বারা। বস্তুতঃ এভাবে চল্লিশ রাতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। আর মূসা তাঁর ভাই হারুনকে বললেন, আমার সম্প্রদায়ে তুমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে থাক। তাদের সংশোধন করতে থাক এবং হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের পথে চলো না।

সুরাহ আল- আরাফ 7:142-উচ্চতা

সুতরাং মশি (পিবিইউএইচ) কি কানুন পেল? যদিও সম্পূর্ণ কানুন বেশ দীর্ঘ ছিল (613 আজ্ঞা এবং নিয়ম সমূহ নির্ণয় করে কোনটা মঞ্জুর আর কোনটা নয় – কোনটা হারাম আর কোনটা হালালের উপরে নিয়মগুলোর মতন) আর এই আজ্ঞা সমূহ তৌরাতের অধিকাংশকে স্থির করে I মশি প্রথমে আল্লাহ দ্বারা প্রস্তর ফলকে লিখিত একগুচ্ছ নির্দিষ্ট আজ্ঞা সমূহ পেল I এগুলো দশ আজ্ঞা বলে পরিচিত, যা সমস্ত অন্য নিয়মগুলোর জন্য ভিত্তি হ’ল I এই দশটি আইনের চূড়ান্ত অপরিহার্য অঙ্গ ছিল I – অন্য সকলদের পূর্বে পূরণীয় শর্ত ছিল I সুরাহ আল-আরাফ এটিকে আয়াতের মধ্যে উল্লেখ করে        

 আর আমি তোমাকে পটে লিখে দিয়েছি সর্বপ্রকার উপদেশ ও বিস্তারিত সব বিষয়। অতএব, এগুলোকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং স্বজাতিকে এর কল্যাণকর বিষয়সমূহ দৃঢ়তার সাথে পালনের নির্দেশ দাও।আমি আমার নিদর্শনসমূহ হতে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখি, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে গর্ব করে। যদি তারা সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে ফেলে, তবুও তা বিশ্বাস করবে না। আর যদি হেদায়েতের পথ দেখে, তবে সে পথ গ্রহণ করে না। অথচ গোমরাহীর পথ দেখলে তাই গ্রহণ করে নেয়। এর কারণ, তারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে মনে করেছে এবং তা থেকে বেখবর রয়ে গেছে।

সুরাহ আল-আরাফ 7: 145-146

দশ আজ্ঞা সমূহ

তাই সুরাহ আল-আরাফের মধ্য দিয়ে কোরান বলে যে প্রস্তর ফলকের উপরে লিখিত এই দশ আজ্ঞা সমূহ স্বয়ং আল্লাহর চিহ্ন ছিল I কিন্তু এই আজ্ঞা সমূহ কি ছিল? সেগুলোকে তৌরাতের যাত্রা পুস্তক থেকে হুবহু এখানে দেওয়া হয়েছে  যাকে মশি প্রস্তরের ফলক থেকে নকল করেছিল I     

1আর ঈশ্বর এই সকল কথা কহিলেন, 2আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ হইতে, দাস-গৃহ হইতে, তোমাকে বাহির করিয়া আনিলেন। 3আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক। 4তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্ম্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নীচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্ত্তি নির্ম্মাণ করিও না; 5তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্‌যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদিগের উপরে বর্ত্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্য্যন্ত বর্ত্তাই; 6কিন্তু যাহারা আমাকে প্রেম করে ও আমার আজ্ঞা সকল পালন করে, আমি তাহাদের সহস্র [পুরুষ] পর্য্যন্ত দয়া করি। 7তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক লইও না, কেননা যে কেহ তাঁহার নাম অনর্থক লয়, সদাপ্রভু তাহাকে নির্দ্দোষ করিবেন না। 8তুমি বিশ্রামদিন স্মরণ করিয়া পবিত্র করিও। 9ছয় দিন শ্রম করিও, আপনার সমস্ত কার্য্য করিও; 10কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন; সে দিন তুমি কি তোমার পুত্র কি কন্যা, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার পশু, কি তোমার পুরদ্বারের মধ্যবর্ত্তী বিদেশী, কেহ কোন কার্য্য করিও না; 11কেননা সদাপ্রভু আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সকলের মধ্যবর্ত্তী সমস্ত বস্তু ছয় দিনে নির্ম্মাণ করিয়া সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিলেন; এই জন্য সদাপ্রভু বিশ্রামদিনকে আশীর্ব্বাদ করিলেন, ও পবিত্র করিলেন। 12তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিবেন, সেই দেশে তোমার দীর্ঘ পরমায়ু হয়। 13নরহত্যা করিও না। 14ব্যভিচার করিও না। 15চুরি করিও না। 16তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না। 17তোমার প্রতিবাসীর গৃহে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর স্ত্রীতে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গোরুতে কি গর্দ্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না। 18তখন সমস্ত লোক মেঘগর্জ্জন, বিদ্যুৎ, তূরীধ্বনি ও ধূমময় পর্ব্বত দেখিল; দেখিয়া লোকেরা ত্রাসযুক্ত হইল, এবং দূরে দাঁড়াইয়া রহিল।

যাত্রা পুস্তক 20:1-18

প্রায়শই এটি মনে হয় যে আমাদের মধ্যে অনেকে যারা ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোতে থাকে তারা ভুলে যায় যে এগুলো ছিল আজ্ঞা I সেগুলো কোনো পরামর্শ নয় I সেগুলো সুপারিশ নয় I নাতো সেগুলো আলাপ-আলোচনাযোগ্য ছিল I সেগুলো মানার জন্য আজ্ঞা সমূহ ছিল – সমর্পণ করা I এটি শরিয়া কানুন ছিল I এবং ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের পবিত্রতার ভয়ে ছিল I

বাধ্যতার মানদণ্ড

সুরাহ আল-হাসর (সুরাহ 59 – নির্বাসন) উল্লেখ করে কোরানের প্রকাশের তুলনায় কিভাবে দশ আজ্ঞা সমূহকে দেওয়া হয়েছিল I কোরানের বিপরীত, এক আতঙ্কজনক প্রদর্শনের মধ্যে একটি পর্বতের উপরে দশ আজ্ঞা সমূহকে দেওয়া হয়েছিল I 

  তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।

সুরাহ আল-হাসর 59:21-22

কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকে যায় I কতটা বা কতগুলো আজ্ঞা সমূহকে তাদের মানতে ছিল? দশ আজ্ঞা দেওয়ার ঠিক আগে নিম্নলিখিত আয়াতটি আসে

2তাহারা রফীদীম হইতে যাত্রা করিয়া সীনয় প্রান্তরে উপস্থিত হইলে সেই প্রান্তরে শিবির স্থাপন করিল; ইস্রায়েল সেই স্থানে পর্ব্বতের সম্মুখে শিবির স্থাপন করিল। 3পরে মোশি ঈশ্বরের নিকটে উঠিয়া গেলেন, আর সদাপ্রভু পর্ব্বত হইতে তাঁহাকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি যাকোবের কুলকে এই কথা কহ, ও ইস্রায়েল সন্তানগণকে ইহা জ্ঞাত কর। 4আমি মিস্রীয়দের প্রতি যাহা করিয়াছি, এবং যেমন ঈগল পক্ষী পক্ষ দ্বারা, তেমনি তোমাদিগকে বহিয়া আপনার নিকটে আনিয়াছি, তাহা তোমরা দেখিয়াছ। 5এখন যদি তোমরা আমার রবে অবধান কর ও আমার নিয়ম পালন কর, তবে তোমরা সকল জাতি অপেক্ষা আমার নিজস্ব অধিকার হইবে, কেননা সমস্ত পৃথিবী আমার;()

যাত্রা পুস্তক 19:2,5

আর দশ আজ্ঞা সমূহ দেওয়ার ঠিক পরে এই আয়াতটি দেওয়া হল

7আর তিনি নিয়মপুস্তকখানি লইয়া লোকদের কর্ণগোচরে পাঠ করিলেন; তাহাতে তাহারা কহিল, সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব।

যাত্রাপুস্তক 24:7

তৌরাতের শেষ পুস্তকে (পাঁচটি আছে) যেটি মশির চূড়ান্ত বার্তা, সে ব্যবস্থার  প্রতি বাধ্যতাকে এইভাবে সংক্ষিপ্তসার করল I

24আর সদাপ্রভু আমাদিগকে এই সমস্ত বিধি পালন করিতে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে আজ্ঞা করিলেন, যেন যাবজ্জীবন আমাদের মঙ্গল হয়, আর তিনি অদ্যকার মত যেন আমাদিগকে জীবিত রাখেন। 25আর আমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে তাঁহার সম্মুখে এই সমস্ত বিধি যত্নপূর্ব্বক পালন করিলে আমাদের ধার্ম্মিকতা হইবে।

দ্বিতীয় বিবরণ 6:24-25

ধার্মিকতা অর্জন

এখানে পুনরায় ‘ধার্মিকতা’ শব্দটি দেখা যায় I এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  শব্দ I আমরা প্রথম এটিকে আদমের চিহ্নর মধ্যে দেখলাম যখন আল্লাহ আদমের সন্তানদের বললেন (আমাদের!)

হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। [সু]

র’আত আল-আরাফ 7:26 (উচ্চতা

পরে ইব্রাহিমের 2 ন. চিহ্নর মধ্যে আমরা এটিকে দেখলাম যখন আল্লাহ একটি পুত্র সন্তানের পতিশ্রুতি দিলেন, আর ইব্রাহিম (পিবি ইউএইচ) এই প্রতিশ্রুতির উপরে বিশ্বাস করলেন এবং এটি তখন বলে যে

আব্রাম সদাপ্রভুকে বিশ্বাস করলেন, আর তিনি [অর্থাৎ আল্লাহ] তার পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণনা করলেন  

আদিপুস্তক 15:6

 (ধার্মিকতার একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যার জন্য দয়া করে ইব্রাহিমের 2 ন. চিহ্ন দেখুন) 

ধার্মিকতা অর্জন করতে এখানে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি উপায় দেয় কারণ এটি বলে “আমরা যদি এই সকল ব্যবস্থাকে মেনে চলি … সেটি হবে আমাদের ধার্মিকতা

দ্বিতীয় বিবরণ 6:25

কিন্তু ধার্মিকতা অর্জন করার শর্ত কঠিন I এটি বলে আমাদের প্রয়োজন ‘এই  সমস্ত ব্যবস্থাকে মানা’ আর কেবল তখনই আমরা ধার্মিকতা পাই I এটি আমাদের আদমের চিহ্নর কথা স্মরণ করিয়ে দেয় I এটি কেবল একটি অবাধ্যতার কার্য ছিল আল্লাহর পক্ষে ন্যায়বিচার করা এবং স্বর্গ থেকে তাদের উচ্ছেদ করা I আল্লাহ বিভিন্ন অবাধ্য কার্যের জন্য অপেক্ষা করেন নি I লোটের চিহ্নর মধ্যে লোটের স্ত্রীর সাথে এটি সেই একই রকম ছিল I এটির গুরুত্বকে প্রকৃতপক্ষে বুঝতে আমাদের সাহায্য করতে এখানে লিংক করা অনেক আয়াতগুলো তৌরাতের মধ্যে আছে যা ব্যবস্থার প্রতি বাধ্যতার এই সঠিক স্তরের ওপরে জোর দেয় I     

আমাদের ভাবা যাক এটার মানে কি I বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমূহের মধ্যে আমি মাঝে মাঝে দেখি, অধ্যাপক পরীক্ষার মধ্যে আমাদের অনেক প্রশ্ন দিতেন (উদাহরণস্বরূপ 25 প্রশ্ন) আর তখন আমাদের পচ্ছন্দের প্রশ্নগুলোর মধ্যে কেবল কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হত I আমরা, উদাহরণস্বরূপ 25 এর মধ্যে 20 টি প্রশ্ন পছন্দ করে পরীক্ষায় উত্তর দিতে পারতাম I কেউ হয়ত একটি প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন দেখত এবং সে সেটিকে বাদ দিতে পারত কিন্তু আর একজন ছাত্র একটি ভিন্ন প্রশ্ন কঠিন দেখত আর সে সেটিকে বাদ দিত I এইভাবে অধ্যাপক আমাদের জন্য পরীক্ষা সহজ করে দিয়েছিলেন I

অনেক লোকেরা ব্যবস্থার দশ আজ্ঞার প্রতি সেই একই ভাবে আচরণ করে I তারা ভাবে যে আল্লাহ, দশ আজ্ঞা সমূহ দেওয়ার পরে, বোঝালেন, “তোমাদের পছন্দমত এই দশটির মধ্য থেকে যে কোন পাঁচটি চেষ্টা কর” I কিন্তু না, এইভাব এটিকে দেওয়া হয় নি I তাদের সকল  আজ্ঞা সমূহকে মানতে এবং পালন করতে ছিল, না কেবল তাদের ইচ্ছামত কয়েকটিকে I কেবল সমস্ত ব্যবস্থাক পালন করলেই এটি ‘তাদের ধার্মিকতা হবে’ I   

কিন্তু কেন কিছু লোকেরা ব্যবস্থার প্রতি এই ধরণের আচরণ করে? কারণ ব্যবস্থা পালন করা খুব কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু এটি কেবলমাত্র এক দিনের জন্য নয় বরং আপনার সমস্ত জীবনের জন্য I সুতরাং আমাদের পক্ষে নিজেদেরকে প্রবঞ্চিত করা এবং মানদণ্ডকে নিচু করা সহজ I আজ্ঞা সমূহের পর্যালোচনা করুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন “আমি কি এগুলোকে মান্য করতে পারি? সবগুলোকে? প্রতি দিন? ব্যর্থ না হয়ে?” আমাদের নিজেদের জন্য এই প্রশ্নটিকে জিজ্ঞাসা করা এই কারণে প্রয়োজন কেননা দশ আজ্ঞা সমূহ এখনও বলবৎ আছে I আল্লাহ সেগুলোকে শেষ করেন নি এমনকি অন্যান্য ভাববাদীরাও (ইসা আল মসীহ এবং মহম্মদ সহ – পিবিইউটি – এখানে দেখুন) মশির (পিবিইউএইচ) পরে চালিয়ে গেলেন I যেহেতু এগুলো মৌলিক আজ্ঞা সমূহ যা মূর্তি পূজা, এক ঈশ্বরের আরাধনা, ব্যভিচার, চুরি করা, হত্যা, মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদির আলোচনা করে যা চিরন্তন আর তাই আমাদের তাদেরকে মানার প্রয়োজন আছে I কেউ কারোর জন্য এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পার না – সে কেবল নিজের জন্য এটির উত্তর দিতে পারে I আর তাকে বিচারের দিনে আল্লাহর সামনে আবার সেগুলোর উত্তর দিতে হবে I 

আল্লাহর সামনে সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

অতএব আমি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করব, দ্বিতীয় বিবরণ 6:25 থেকে পরিমিত তাই এটি ব্যক্তিগত এবং আপনি নিজের জন্য উত্তর দিতে পারেন I আপনি কিভাবে ব্যবস্থার এই বক্তব্যের উপরে প্রতিক্রিয়া দেন তার উপরে নির্ভর কোরে, ব্যবস্থা আপনার উপরে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে I আপনার সম্বন্ধে যা সত্য বলে আপনি মনে করেন সেই উত্তর পছন্দ করুন I আপনার পক্ষে প্রযোজ্য উত্তরটির উপরে ক্লিক করুন I

দ্বিতীয় বিবরণ 6:24-25 আপনার জন্য স্বনির্বাচিত

সদাপ্রভু এই সমস্ত আদেশগুলো আমাকে মান্য করতে এবং সদাপ্রভু আমাদের ঈশ্বরকে ভয় করতে আজ্ঞা দিলেন, যেন সর্বদা আমার মঙ্গল হয় আর যেন অদ্যকার মতন জীবিত রাখেন I আর আমি আমার ঈশ্বর  সদাপ্রভুর সামনে আমাকে প্রদত্ত তাঁর আজ্ঞা অনুসারে এই বিধি সকল মান্য করতে যত্নশীল হয়েছি, আর সেটি আমার ধার্মিকতা হবে I”  

হ্যাঁ – এটি আমার সম্বন্ধে সত্য I  

না – আমি সকলকে মানি নি আর এটি আমার সম্বন্ধে সত্য নয় I 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *