Skip to content
Home » ভাববাদী ঈসা আল মসীহর (আঃ) প্রকৃতির উপরে কর্তৃত্ব

ভাববাদী ঈসা আল মসীহর (আঃ) প্রকৃতির উপরে কর্তৃত্ব

  • by

সূরা আয-যারিয়াত (সূরা ৫১ – ঝাড়াই করা বাতাস) বর্ণনা করে কিভাবে হযরত মুসা (আঃ) কে ফেরাউনের কাছে পাঠানো হয়েছিল

আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম,

সুরাহ আধ-ধারিয়াত ৫১:৩৮

হযরত মুসা লোহিত সাগরের বিভাজন সহ প্রকৃতির উপরে তার অলৌকিক ক্ষমতার দ্বারা তার কর্তৃত্বকে প্রকাশ করলেন বা দেখালেন I যখনই কেউ একজন নবি বলে দাবি করে (যেমন মুসা করলেন) তাকে বিরোধিতার সম্মুখীন করতে হয়েছিল এবং প্রমান করতে হয়েছিল যে তিনি একজন ভাববাদী হওয়ার ভরসার যোগ্য ছিলেন I সূরা আশ-শো’আরা (সূরা ২৬-কবি সমূহ) হিসাবে নমুনাটিকে লক্ষ্য করুন যা প্রত্যাখ্যান এবং প্রমাণের এই চক্রকে বর্ণনা করে যার মধ্য দিয়ে ভাববাদীদের যেতে হয়েছে I

নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখান করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি ভয় করবে না (আল্লাহকে)? আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল।

সূরা আশ-শো’আরা ২৬:১০৫-১০৭

‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যে সাব্যস্ত করেছিল। যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না? আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) এক বিশ্বস্ত রসুল। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।

সূরা আশ-শো’আরা ২৬:১২৩-১২৬

সামূদ জাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল- তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না? আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রসূল। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।

সূরা আশ-শো’আরা ২৬:১৪১-১৪৪

লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না? আমি তো তোমাদের জন্য (প্রেরিত) একজন বিশ্বস্ত রসূল। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।

সূরা আশ-শো’আরা ২৬: ১৬০-১৬৩

বনের অধিবাসীরা রসূলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। যখন শু‘আয়ব তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না? আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।

সূরা আশ-শো’আরা ২৬: ১৭৬-১৭৯

এই ভাববাদীরা সকলে প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হয়েছিল এবং এটি তাদের বোঝ ছিল প্রমাণ করা যে তারা ভরসার যোগ্য ভাববাদী ছিলেন I হযরত ঈসা আল মসীহর পক্ষেও এটি সত্য ছিল I

হযরত ঈসা আল মসীহর (আঃ) কাছে ‘একটি বাক্যের সাহায্যে’ শিক্ষাদান এবং নিরাময়ের কর্তৃত্ব ছিল I তার কাছে প্রকৃতির উপরেও কর্তৃত্ব  ছিল I ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তিনি তার শিষ্যদের সাথে হ্রদকে অতিক্রম করেছিলেন যা তাদেরকে ‘ভয় এবং আশ্চর্যে’ পরিপূর্ণ করেছিল I এখানে বিবরণটি রয়েছে:

22একদিন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “চলো আমরা সাগরের ওপারে যাই।” এতে তারা একটি নৌকায় উঠে বসে যাত্রা করলেন। 23তাঁরা নৌকা চালানো শুরু করলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। এমন সময় সাগরে প্রচণ্ড ঝড় উঠল, নৌকা জলে ভর্তি হতে লাগল। তাঁরা এক ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হলেন।

24শিষ্যেরা কাছে গিয়ে তাঁকে জাগালেন, “প্রভু, প্রভু, আমরা যে ডুবতে বসেছি!”

তিনি উঠে বাতাস ও উত্তাল জলরাশিকে ধমক দিলেন, ঝড় থেমে গেল। সবকিছু শান্ত হল। 25তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস কোথায় গেল?”

ভয়ে ও বিস্ময়ে তাঁরা পরস্পর বলাবলি করলেন, “ইনি তাহলে কে, যিনি বাতাস ও জলকে আদেশ দেন, ও তারা তাঁর কথা মেনে চলে?”

লুক ৮:২২-২৫

ঈসা আল মসীহর বাক্য এমনকি বাতাস এবং ঢেউদের নির্দেশ দিত! আশ্চর্যের কিছু ছিল না তার সাথী শিষ্যরা ভয়ে পরিপূর্ণ হত I নির্দেশ দেওয়ার এই ধরণের কর্তৃত্ব তাদেরকে অবাক করত যে তিনি কে ছিলেন I অন্য আর একটি ঘটনায় যখন তিনি সহস্রাধিক লোকেদের সঙ্গে ছিলেন তিনি অনুরূপ কর্তৃত্বকে দেখালেন I এই সময় তিনি বাতাস এবং ঢেউকে নির্দেশ দেন নি – কিন্তু  খাদ্যকে I এখানে বিবরণটি রয়েছে:

1এর কিছুদিন পর, যীশু গালীল সাগরের (অর্থাৎ, টাইবেরিয়াস সাগরের) দূরবর্তী তীরে, লম্বালম্বি ভাবে পার হলেন। 2অসুস্থদের ক্ষেত্রে তিনি যে চিহ্নকাজ সাধন করেছিলেন, তার পরিচয় পেয়ে অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল। 3যীশু তখন শিষ্যদের নিয়ে এক পর্বতে উঠলেন ও তাঁদের নিয়ে সেখানে বসলেন। 4তখন ইহুদিদের নিস্তারপর্ব উৎসবের সময় এসে গিয়েছিল।

5যীশু চোখ তুলে অনেক লোককে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ফিলিপকে বললেন, “এসব লোককে খাওয়াবার জন্য আমরা কোথা থেকে রুটি কিনব।” 6তিনি তাঁকে শুধু পরীক্ষা করার জন্যই একথা জিজ্ঞাসা করলেন, কারণ তিনি যে কি করবেন সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন।

7ফিলিপ তাঁকে উত্তর দিলেন, “প্রত্যেকের মুখে কিছু খাবার দেওয়ার জন্য আট মাসের বেতনের বিনিময়ে কেনা রুটিও পর্যাপ্ত হবে না।”

8তাঁর অপর একজন শিষ্য, শিমোন পিতরের ভাই, আন্দ্রিয়কে বললেন, 9“এখানে একটি ছেলের কাছে যবের পাঁচটি ছোটো রুটি ও দুটি ছোটো মাছ আছে। কিন্তু এত লোকের মধ্যে ওতে কী হবে?”

10যীশু বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেখানে প্রচুর ঘাস ছিল এবং প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ বসে পড়ল। 11তখন যীশু রুটিগুলি নিয়ে ধন্যবাদ দিলেন এবং যারা বসেছিলেন তাদের মধ্যে চাহিদামতো ভাগ করে দিলেন। মাছগুলি নিয়েও তিনি তাই করলেন।

12সকলে তৃপ্তি করে খাওয়ার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “অবশিষ্ট রুটির টুকরোগুলি এক জায়গায় জড়ো করো। কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়।” 13তাই তাঁরা সেই পাঁচটি যবের রুটির অবশিষ্ট অংশ সংগ্রহ করলেন। লোকদের খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া রুটির টুকরোগুলি দিয়ে তাঁরা বারোটি ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।

14যীশুর করা এই চিহ্নকাজ দেখে লোকেরা বলতে লাগল, “পৃথিবীতে যাঁর আসার কথা, ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী।” 15যীশু বুঝতে পারলেন যে লোকেরা তাঁকে জোর করে রাজা করতে চায়, তখন তিনি নিজে একটি পাহাড়ে চলে গেলেন।

যোহন ৬:১-১৫

যখন লোকেরা দেখল যে ঈসা আল মসীহ (আঃ) খাদ্যকে বহুগুণিত করতে পারে যাতে পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছের সাহায্যে ৫০০০ মানুষদের খাওয়াতে পারে এবং তখনও পড়ে থাকা গুঁড়ো-গাঁড়া সরবরাহ করতে পারে তখন তারা জানলো যে তিনি একজন অন্যন্য নবি ছিলেন I তারা অবাক হ’ল তিনি সেই নবি কিনা যার সম্বন্ধে মুসা (আঃ) এর তাওরাত দীর্ঘ সময় পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল তিনি আসবেন I

18আমি তাদের ইস্রায়েলী ভাইদের মধ্য থেকে তাদের জন্য তোমার মতো একজন ভাববাদী উঠাব, এবং আমি তার মুখে আমার বাক্য দেব। তাকে আমি যা বলতে আদেশ দেব সে তাই বলবে। 19সেই ভাববাদী আমার নাম করে যে কথা বলবে কেউ আমার সেই কথা যদি না শোনে, তবে আমি নিজেই সেই লোককে প্রতিফল দেব।

দ্বিতীয় বিবরণ ১৮: ১৮-১৯

এই নবির চিহ্ন ছিল যে আল্লাহ এই নবির ‘মুখে তার বিশেষ বাক্য সমূহ’ রাখবেন I মানুষের বাণী থেকে আল্লাহর বাণীকে কি আলাদা করে? উত্তরটিকে নিম্নলিখিত আয়াতের মধ্যে পুনরুক্তি করা হয়েছে যা সুরাহ আন-নাহল (সুরাহ 16 – মৌমাছিটি) দিয়ে শুরু হয়েছে:

কোন বিষয়ে আমি ইচ্ছে করলে বলি, ‘হয়ে যাও’, ফলে তা হয়ে যায়।

সূরা নাহল  ১৬:৪০

তাঁর কাজকর্ম কেবল এ রকম যে, যখন তিনি কোন কিছুর ইচ্ছে করেন তখন তাকে হুকুম করেন যে হয়ে যাও, আর অমনি তা হয়ে যায়।

সূরা ইয়াসীন ৩৬:৮২

তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত করেন, তার জন্য তিনি বলেন- হও, তখন তা হয়ে যায়।

সূরা আল-মু’মিন ৪০ :৬৮

ভাববাদী ঈসা আল মসীহ (আঃ) ‘কেবলমাত্র একটি বাক্যের সাহায্যে’ রোগ সমূহের নিরাময় করেন এবং দুষ্ট আত্মাদের বের করেন I এখন আমরা দেখি যে তিনি একটি কথা বলেন এবং বাতাস ও ঢেউ মান্য করে I তারপরে তিনি কথা বলেন এবং রুটি বহুগুণিত হয় I তাওরাত এবং কুররানের মধ্যে এই চিহ্ন গুলো ব্যাখ্যা করে কেন ঈসা আল মসীহ যখন কথা বলেন তখন তা সম্ভব হয় – কেননা তার কাছে কর্তৃত্ব ছিল I তিনি মসীহ ছিলেন!

বুঝতে পারার হৃদয়

কিন্তু শিষ্যরা নিজেরা এইটি বুঝতে এক কঠিন সময় নিয়েছিল I তারা রুটির বহুগুণিত করার তাত্পর্যকে বুঝতে পারে নি I আমরা এটি জানি কারণ ইঞ্জিল 5000কে খাওয়ানোর ঠিক পরে তাকে লিপিবদ্ধ করে যে:

45পর মুহূর্তেই যীশু তাঁর শিষ্যদের নৌকায় তুলে দিয়ে তাঁর যাওয়ার আগেই তাঁদের বেথসৈদায় যেতে বললেন, ইতিমধ্যে তিনি সকলকে বিদায় দিলেন। 46তাঁদের বিদায় করে তিনি প্রার্থনা করার জন্য একটি পাহাড়ে উঠে গেলেন।

47সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে। নৌকা ছিল সাগরের মাঝখানে, কেবলমাত্র তিনি একা স্থলে ছিলেন। 48তিনি দেখলেন, প্রতিকূল বাতাসে শিষ্যেরা অতিকষ্টে নৌকা বইছিল। রাত্রি চতুর্থ প্রহরে তিনি সাগরে, জলের উপরে হেঁটে শিষ্যদের কাছে চললেন। তিনি তাঁদের পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলেন। 49কিন্তু তাঁকে সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখে তাঁরা তাঁকে কোনও ভূত মনে করলেন। 50তাঁরা চিৎকার করে উঠলেন, কারণ তাঁরা সবাই তাঁকে দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি তক্ষুনি তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, “সাহস করো! এ আমি! ভয় পেয়ো না।” 51তারপর তিনি তাঁদের কাছে নৌকায় উঠলেন। বাতাস থেমে গেল। তাঁরা সম্পূর্ণরূপে বিস্মিত হলেন, 52কারণ তাঁরা সেই রুটির বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারেননি, তাঁদের হৃদয় কঠিন হয়ে পড়েছিল।

53তাঁরা সাগরের অপর পারে গিয়ে গিনেষরৎ প্রদেশে নৌকা থেকে নামলেন ও নৌকা নোঙর করলেন। 54তাঁরা নৌকা থেকে নামা মাত্রই লোকেরা যীশুকে চিনতে পারল। 55তারা সেখানকার সমগ্র অঞ্চলে ছুটে গেল এবং যেখানেই যীশু আছেন শুনতে পেল, তারা সেখানেই খাটে করে পীড়িতদের বয়ে নিয়ে এল। 56আর যেখানেই তিনি গেলেন—গ্রামে, নগরে বা পল্লি-অঞ্চলে—সেখানেই তারা পীড়িতদের বাজারের মধ্যে এনে রাখল। তারা মিনতি করল, তিনি যেন তাঁর পোশাকের আঁচলও তাদের স্পর্শ করতে দেন। আর যারাই তাঁকে স্পর্শ করল, তারা সবাই সুস্থ হল।

মার্ক ৬:৪৫-৫৬

পুনরায়, হযরত ঈসা আল মসীহ কর্তৃত্বের একটি বাক্য বললেন এবং তা সত্য হ’ল I কিন্তু শিষ্যরা ‘বুঝতে পারল না’ I তাদের না বুঝতে পারার কারণ ছিল না যে তারা বুদ্ধিমান ছিল না; এটি কারণ ছিল না যে তারা সেখানে ছিল না; না কারণ ছিল যে তারা মন্দ শিষ্য ছিল; নাতো তারা অবিশ্বাসী ছিল I না, এটি বলে যে তাদের ‘হৃদয় কঠোর ছিল’ I হযরত যিরমিয় (আঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে একটি নতুন নিয়ম আসতে চলেছে – সাথে ব্যবস্থাকে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে লেখা হতে যাচ্ছে I যতক্ষণ না সেই নিয়ম কাউকে পরিবর্তন করছে ততক্ষণ তাদের হৃদয় কঠোর থাকছে – এমনকি নবির ঘনিষ্ট অনুগামীদের হৃদয়ও! এবং আমাদের নিজস্ব কঠোর হৃদয়ও আমাদেরকে  নবীগণদের দ্বারা প্রকাশিত আত্মিক সত্যকে বুঝতে বিরত রাখে I

এই জন্যই হযরত যাহায়ার (আঃ) প্রস্তুতকারী কার্য এতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ I তিনি লোকেদের আহ্বান করলেন এটিকে লুকিয়ে রাখার পরিবর্তে তাদের পাপের জন্য অনুতাপ করতে I যদি ঈসা আল মসীহর শিষ্যদের কঠোর হৃদয় ছিল এবং তাদের প্রয়োজন ছিল অনুতাপ করার এবং পাপ স্বীকার করার তবে আপনার এবং আমার জন্য তা কতটা অধিক প্রয়োজন হবে! হয়ত আপনি আমার সঙ্গে আল্লাহর কাছে আপনার হৃদয়ের নীরব প্রার্থনায় যোগ দেবেন (তিনি এমনকি আমাদের চিন্তাধারা জানেন তাই আমরা শুধুমাত্র ভেবে প্রার্থনা করতে পারি) দাউদ (আঃ) দ্বারা প্রদত্ত স্বীকারোক্তির মধ্যে: 

1হে ঈশ্বর, তোমার অবিচল প্রেম অনুযায়ী আমার উপর দয়া করো; তোমার অপার করুণা অনুযায়ী আমার সমস্ত অপরাধ মার্জনা করো। 2আমার সমস্ত অন্যায় মুছে দাও আর আমার পাপ থেকে আমাকে শুচি করো। 3কারণ আমি আমার অপরাধসকল জানি, আর আমার পাপ সর্বদা আমার সামনে আছে। 4তোমার বিরুদ্ধে, তোমারই বিরুদ্ধে, আমি পাপ করেছি আর তোমার দৃষ্টিতে যা অন্যায় তাই করেছি; অতএব তুমি তোমার বাক্যে ধর্মময় আর যখন বিচার করো তখন ন্যায়পরায়ণ।

10হে ঈশ্বর, আমার মধ্যে এক বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করো, আর এক অবিচল আত্মা আমার মধ্যে সঞ্জীবিত করো। 11আমাকে তোমার সান্নিধ্য থেকে দূর কোরো না আর তোমার পবিত্র আত্মাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে নিয়ো না। 12তোমার পরিত্রাণের আনন্দ আবার আমাকে ফিরিয়ে দাও আর আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে এক ইচ্ছুক আত্মা দাও।

গীতসংহিতা ৫১:১-৪, ১০-১২

আমি এটি প্রার্থনা করি এবং আমি এছাড়াও আপনাকে তা করতে উৎসহিত করি যে ভাববাদীদের বার্তা সমূহ নরম এবং খাঁটি হৃদয়ের দ্বারা বুঝতে পারা যাবে আমাদের ইঞ্জিলের মধ্য দিয়ে চলার সাথে সাথে I   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *