সুরাহ-আল-‘আলাক (সুরাহ 96 – চাপ) আমাদের বলে যে আল্লাহ আমাদের নতুন জিনিস সেখান যা আমরা আগে শিখি নি I
जिसने क़लम के ज़रिए तालीम दीउसीने इन्सान को वह बातें बतायीं जिनको वह कुछ जानता ही न था
সুরাহ আল-আলাক 96-4-5
সুরাহ আর-রাম (সুরাহ 30 – রোমীয়) আরও ব্যাখ্যা করে যে আল্লাহ ভাববাদীদের বার্তা দিয়ে এইরকম করে যাতে আমরা আমরা বুঝতে পারি ঈশ্বরের সত্য উপাসনা থেকে কোথায় আমরা ভুল করছি I
আমি কি তাদের কাছে এমন কোন দলীল নাযিল করেছি, যে তাদেরকে আমার শরীক করতে বলে?
সুরাহ আর-রাম 30:35
এই ভাববাদীদের ঈশ্বরের থেকে আমাদের কাছে প্রকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে ঈশ্বরের সাথে আমাদের ভুল সম্পর্কগুলো কোথায়, তা আমাদের চিন্তাভাবনায়, কথাবার্তায় বা আমাদের আচরণে I ভাববাদী ইসা আল মসীহ এই ধরণের একজন শিক্ষক ছিলেন এবং অনন্য কর্ত্তৃত্ব ছিল এমনকি আমাদের আন্তরিক চিন্তাভাবনাকে বার করে আনার যাতে আমরা আমাদের ভেতরের যে কোনো ভুল থেকে ফিরে আসতে পারি I আমরা এটিকে এখানে দেখব I পরে আমরা তার কর্তৃত্বের চিহ্নকে দেখব যা অলৌকিক নিরাময়ের মধ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল I
ঈসা আল মসীহ (পিবিইউএইচ) শয়তানের (ইবলিস) দ্বারা প্রলোভিত হওয়ার পরে তিনি একজন ভাববাদী রূপে শিক্ষা দানের মাধ্যমে সেবাকার্য আরম্ভ করলেন I ইঞ্জিলে লিপিবদ্ধ তার দীর্ঘতম শিক্ষাকে পাহাড়ের উপরে শিক্ষা বলা হয় I আপনি পাহাড়ের উপরে শিক্ষাটিকে সম্পূর্ণ রূপে এখানে পড়তে পারেন I আমরা নিচে লক্ষ্যণীয় বিষয়গুলো দিই, এবং তারপরে মসি তৌরাতে যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তার সাথে ঈসা অল মসীহর শিক্ষার সাথে একটি সংযোগ স্থাপন করি i
ঈসা আল মসীহ (পিবিইউএইচ) নিম্নলিখিত শিক্ষা দিলেন:
21 ‘তোমরা শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘নরহত্যা করো না;আর কেউ নরহত্যা করলে তাকে বিচারালয়ে তার জবাবদিহি করতে হবে৷
মথি 5:21-48
22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যদি কেউ কোনো লোকের প্রতি ক্রুদ্ধ হয় বিচারে তাকে তার জবাবদিহি করতে হবে৷ আর কেউ যদি কোন লোককে বলে, ‘ওরে মূর্খ’ (অর্থাত্ নির্বোধ) তবে তাকে ইহুদী মহাসভার সামনে তার জবাব দিতে হবে৷ কেউ যদি কাউকে বলে ‘তুমি পাষণ্ড,’ তবে তাকে নরকের আগুনেই তার জবাব দিতে হবে৷
23 ‘মন্দিরে যজ্ঞবেদীর সামনে নৈবেদ্য উত্সর্গ করার সময় যদি তোমার মনে পড়ে য়ে তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন অভিযোগ আছে,
24 তবে সেই নৈবেদ্য যজ্ঞবেদীর সামনে রেখে চলে যাও, প্রথমে গিয়ে তার সঙ্গে সে বিষয়ে মিটমাট করে নাও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উত্সর্গ কোরো৷
25 ‘তোমার শত্রু যদি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তবে আদালতে নিয়ে যাবার সময় পথেই তার সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিটমাট করে ফেল; তা না হলে সে তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেবে, বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে দেবে আর রক্ষীরা তোমাকে কারাগারে পাঠাবে৷
26 আমি তোমায় সত্যি বলছি, সেখান থেকে তুমি ছাড়া পাবে না, যতক্ষণ না তোমার দেনার শেষ পয়সাটা চুকিয়ে দাও৷
27 তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে: ‘য়ৌনপাপ করো না৷’
28 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি কেউ যদি কোন স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় তবে সে মনে মনে তার সঙ্গে য়ৌন পাপ করল৷
29 সেই রকম তোমার ডান চোখ যদি পাপ করার জন্য তোমায় প্ররোচিত করে তবে তা উপড়ে ফেলে দাও৷ সমস্ত দেহ নিয়ে নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অংশ হারানো তোমার পক্ষে ভালো৷
30 যদি তোমার ডান হাত পাপ করতে প্ররোচিত করে, তবে তা কেটে ফেলে দাও৷ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভালো৷
31 ‘আবার বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চায়, তবে তাকে ত্যাগপত্র দিতে হবে৷
32 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একমাত্র য়ৌনপাপের দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সে তাকে ব্যাভিচারিণী হবার পথে নামিয়ে দেয়৷ আর য়ে কেউ সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও য়ৌনপাপ করে৷
33 ‘তোমরা একথা ও শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে য়ে সব প্রতিশ্রুতি কর তা ভেঙ্গো না, তোমাদের কথা মতো সে সবই পূর্ণ করো৷’
34 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা কোন শপথইকরো না৷ স্বর্গের নামে করো না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন৷
35 পৃথিবীর নামে শপথ করো না, কারণ পৃথিবী ঈশ্বরের পাদপীঠ৷ জেরুশালেমের নামেও শপথ করো না, কারণ তা হল মহান রাজার নগরী৷
36 এমন কি তোমার মাথার দিব্যিও দিও না, কারণ তোমার মাথার একগাছা চুল সাদা কি কালো করার ক্ষমতা তোমার নেই ৷
37 তোমাদের কথার ‘হ্যাঁ’ য়েন ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’ য়েন ‘না’ হয়, এছাড়া অন্য আর যা কিছু তা মন্দের কাছ থেকে আসে৷
38 ‘তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে য়ে, ‘চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত৷’
39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, দুষ্ট লোকদের প্রতিরোধ করো না, বরং কেউ যদি তোমার ডান গালে চড় মারে, তবে তার দিকে অপর গালটিও বাড়িয়ে দিও৷
40 কেউ যদি তোমার পাজামা নেবার জন্য আদালতে মামলা করতে চায়; তবে তাকে তোমার ধূতিটাও ছেড়ে দিও৷
41 যদি কেউ তার বোঝা নিয়ে তোমাকে এক মাইল পথ য়েতে বাধ্য করে, তার সঙ্গে দু মাইল য়েও৷
42 কেউ যদি তোমার কাছ থেকে কিছু চায়, তাকে তা দিও৷ তোমার কাছ থেকে কেউ ধার চাইলে তাকে তা দিতে অস্বীকার করো না৷
43 ‘তোমরা তাদের বলতে শুনেছ, ‘তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো,শত্রুকে ঘৃণা করো৷
44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদের ভালবাসো৷ যাঁরা তোমাদের প্রতি নির্য়াতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো,
45 য়েন তোমরা স্বর্গের পিতার সন্তান হতে পার৷ তিনি তো ভাল মন্দ সকলের উপর সূর্য়্য়ালোক দেন, ধার্মিক অধার্মিক সকলের উপর বৃষ্টি দেন৷
46 আমি একথা বলছি, কারণ যাঁরা তোমাদের ভালবাসে তোমরা যদি কেবল তাদেরইভালবাস, তবে তোমরা কি পুরস্কার পাবে? কর আদায়কারীরাও কি তাইকরে না?
47 তোমরা যদি কেবল তোমাদের ভাইদেরইশুভেচ্ছা জানাও, তবে অন্যদের থেকে আর বেশী কি করলে? বিধর্মীরাও তো এমন করে থাকে৷
48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা য়েমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ হও৷
মসীহ এবং পাহাড়ের উপর শিক্ষা
ঈসা আল মসীহ ফর্ম দিয়ে শুরু করেছিলেন “তোমরা শুনেছ যে এটা বলা হয়েছিল … কিন্তু আমি তোমাদের বলছি …” I এই সংরচনার মধ্যে তিনি প্রথমে তৌরাত থেকে উদ্ধৃত করেন, এবং পরে আজ্ঞার ক্ষেত্রটিকে উদ্দেশ্য, চিন্তধারা এবং কথা সমূহের দিকে প্রসারিত করেন I ঈসা আল মসীহ ভাববাদী মশির কঠোর আজ্ঞা সমূহকে গ্রহণ করে শিখিয়েছিলেন এবং সেগুলোকে পালন করা এমনকি আরও কঠিন সেই রূপে প্রস্তুত করেছিলেন!
তবে এছাড়াও যেটি উল্লেখযোগ্য তা হল যে উপায়ে তিনি তৌরাতের আজ্ঞাগুলোকে প্রসারিত করেছেন I তিনি তার নিজের কর্তৃত্বের ভিত্তির উপরে এইটি করেন I তিনি শুধুমাত্র বলেন ‘কিন্তু আমি তোমাদের বলছি …’ এবং এটি দিয়ে তিনি আজ্ঞার পরিধিকে বিস্তার করেন I এটি একটি বিষয় যা তার শিক্ষার বিষয়ে খুব অনন্য ছিল I যেমনটি ইঞ্জিল বলেছে যখন তিনি এই উপদেশ শেষ করলেন I
28 যীশু যখন এই সব কথা বলা শেষ করলেন, তখন জনতা তাঁর এই সব শিক্ষা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে গেল৷
মথি 7:28-29
29 কারণ যীশু একজন ব্যবস্থার শিক্ষকের মতো শিক্ষা দিচ্ছিলেন না, বরং যার অধিকার আছে সেইরকম লোকের মতোইশিক্ষা দিচ্ছিলেন৷
প্রকৃতপক্ষে, ঈসা আল মসীহ এমন এক ব্যক্তির মতন শিক্ষা দিয়েছিলেন যার কাছে মহান কর্তৃত্ব ছিল I বেশিরভাগই ভাববাদীরা বার্তাবাহক ছিলেন যারা আল্লাহর থেকে পাওয়া একটি বার্তা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখানে এটি আলাদা ছিল I ঈসা আল মসীহ কেন এইরকম করলেন? যেরকম আমরা এখানে দেখলাম ‘মসীহ’ শিরোনামটিকে আগত একজনের সম্পর্কে যাবুরের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল, তার কাছে মহান কর্তৃত্ব ছিল I যাবুরের গীতসংহিতা 2, যেখানে ‘মসীহ’ শিরোনামটিকে প্রথমে দেওয়া হয়েছিল বর্ণনা করে আল্লাহ নিম্নলিখিত ভাবে মসীহর সাথে কথা বলছেন
8 যদি তুমি আমার কাছে চাও, আমি সমগ্র জাতিগুলি তোমার হাতে দিয়ে দেব!
গীতসংহিতা 2:8
মসীহকে জাতিগণের উপরে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছিল, এমনকি পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত I সুতরাং মসীহ হিসাবে ঈসা যেমন করেছিলেন সেইভাবে শিক্ষা দেওয়ার তার কাছে কর্তৃত্ব ছিল I
ভাববাদী এবং পাহাড়ের উপরে উপদেশ
বাস্তবে, আমরা এখানে যেরকম দেখেছি, তৌরাতের মধ্যে, ভাববাদী মশি (পিবিইউএইচ) ‘ভাববাদীর’ আগমন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যাকে তার শিক্ষাদানের আলোকে খেয়াল রাখা যাবে I মশি লিখলেন
18 আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব| এই ভাববাদী তাদের লোকদের মধ্যেই একজন হবে| সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব| আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে|
দ্বিতীয় বিবরণ 18:18-19
19 এই ভাববাদী আমার জন্যই বলবে এবং যখন সে কথা বলবে, যদি কোন ব্যক্তি আমার আদেশ না শোনে তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেব|’
যেভাবে তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন, ঈসা মসীহ হিসাবে তার কর্তৃত্বটি ব্যবহার করছিলেন এবং মশির আগত ভাববাদীর ভাববাণীকে পূরণ করছিলেন যিনি মহান কর্তৃত্বের সঙ্গে শিক্ষা দেবেন I তিনি ছিলেন উভয়ই মসীহ এবং ভাববাদী I
আপনি এবং আমি এবং পাহাড়ের উপর উপদেশ
কিভাবে আপনার আনুগত্য করা উচিত তা দেখার জন্য যদি আপনি এই পাহাড়ের উপরে উপদেশটি মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করেন তবে আপনি সম্ভবতঃ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন I কিভাবে কেউ এই প্রকারের আজ্ঞা সমূহের সাথে বসবাস করতে পারে যা আমাদের হৃদয় এবং উদ্দেশ্যকে সম্বোধন করে? এই উপদেশটিতে ঈসা আল মসীহর উদ্দেশ্য কি ছিল? উত্তরটি তার সমাপ্তি বাক্য থেকে আমরা দেখতে পাই I
48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা য়েমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ হও৷
থি 5:48
লক্ষ্য করুন যে এটি একটি আজ্ঞা, কোনো প্রস্তাব নয় I তার প্রয়োজনীয়তা হল আমরা যেন নিখুঁত হই! কেন? কারণ ঈশ্বর নিখুত এবং আমদের যদি তার সঙ্গে স্বর্গে থাকতে হয় তবে তার থেকে কম নিখুঁত হলে চলবে না I আমরা প্রায়শই ভাবি যে মন্দ কাজের চেয়ে সম্ভবতঃ উত্তম কাজ আরও ভাল – সেটি যথেষ্ট হবে না I তবে তা যদি সহজ হত, এবং আল্লাহ আমাদের স্বর্গে প্রবেশ করতে দিতেন, তাহলে আমরা স্বর্গের পরিপূর্ণতাকে ধ্বংস করতাম এবং এটিকে আমাদের জগতের মতন বিশৃঙ্খলায় পরিনত করতাম I এটি আমাদের লালসা, লোভ ক্রোধ যা আমাদের জীবনকে এখানে ধ্বংস করে দেয় I আমরা যদি স্বর্গে যাই এবং এখনও লালসা, লোভ এবং ক্রোধকে ধরে রাখি তাহলে সেই স্বর্গ দ্রুত এই পৃথিবীর মতন হবে – আমাদের দ্বারা তৈরী সমস্যায় পরিপূর্ণ I
আসলে, ঈসা আল মসীহর বেশিরভাগ শিক্ষাই আমাদের বাহ্যিক অনুষ্ঠানের চেয়ে আমাদের আন্তরিক হৃদয়কে ফোকাস করেছিল I বিবেচনা করুন, কিভাবে, আর একটি শিক্ষায় তিনি আমাদের আন্তরিক হৃদয়কে ফোকাস করেছেন I
20 তিনি আরও বললেন, ‘মানুষের অন্তর থেকে যা বার হয়, সেটাই মানুষকে কলুষিত করে৷
মার্ক 7:20-23
21 কারণ মানুষের ভেতর অর্থাত্ মন থেকে বার হয় কুত্সিত চিন্তা, লালসা, চুরি, খুন,
22 য়ৌন পাপ, লোভ, দুষ্টামি, প্রতারণা, অশ্লীলতা, ঈর্ষা, নিন্দা, অভিমান ও অহঙ্কার৷
23 এই সমস্ত খারাপ বিষয় মানুষের ভেতর থেকে বার হয় ও মানুষকে কলুষিত করে৷’
সুতরাং আমাদের মধ্যেকার শুচিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় মানদন্ড হ’ল পরিপূর্ণতা I আল্লাহ তার নিখুঁত স্বর্গে কেবলমাত্র ‘নিখুঁত’ কে আসতে দেবেন I তবে যদিও তাত্ত্বিকভাবে সেটি শুনতে ভালো লাগে এটি প্রচুর সমস্যার উদ্ভব করে; আমরা যদি নিখুঁত না হই তবে কিভাবে আমরা স্বর্গে প্রবেশ করব? আমাদের যথেষ্ট নিখুঁত হওয়ার সম্পূর্ণ অসম্ভবতা আমাদের হতাশ করতে পারে I
কিন্তু এটাই কি তিনি চান! যখন অমরা সর্বদা ভাল থাকতে গিয়ে হতাশ হই, যখন আমরা নিজেদের যোগ্যতার উপরে বিশ্বাস করা বন্ধ করি তখন আমরা ‘আত্মায় দরিদ্র’ হয়ে যাই I আর ঈসা আল মসীহ, সম্পূর্ণ উপদেশটি শুরু করতে গিয়ে বললেন:
3 ‘ধন্য সেই লোকেরা যাঁরা আত্মায় নত-নম্র, কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই৷
মথি 5:3
আমাদের জন্য প্রজ্ঞার শুরুটি এই শিক্ষাগুলো আমাদের প্রয়োগ না করে খারিজ করা নয় I তারা করে! মানদন্ড হ’ল ‘নিখুঁত হওয়া’ I যেহেতু সেই মানদণ্ডটিকে আমাদের মধ্যে ডুবতে দিয়েছি এবং বুঝতে পারি যে আমরা এর পক্ষে সক্ষম নই তারপরে আমরা সরল পথটি শুরু করছি I আমরা এই সরল পথটি শুরু করি, কারণ আমাদের অপ্রতুলতা স্বীকার করে আমরা যদি মনে করি যে আমরা আমাদের নিজস্ব যোগ্যতার দ্বারা করতে পারি তবে তার চেয়ে আমরা সাহায্য গ্রহণে আরও বেশি করে প্রস্তুত হতে পারি I