Skip to content

ঈসা আল মসীহ ক্ষমার উপরে শিক্ষা দেন

সুরাহ ঘাফির (সুরাহ 40 – ক্ষমাদাতা) শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ ক্ষমা করেন

 পাপ হামকারী, তওবা কবুলেক্টর, সংগ্রহকারী দুরন্তদিতা ও সমথ? 476; ান। তিনি ব্যতীত কোন উপসর্গ না। যখন পুনরায় প্রত্যাবর্তন করা হবে।কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি।এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে, তারা জাহান্নামী।

সুরাহ ঘাফির 40: 3&7

সুরাহ আল-হুজুরাত (সুরাহ 49 – ঘর সমূহ) আমাদের বলে এই করুণা পেতে একে অপরের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে

 মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।

সুরাহ আল-হুজুরাত 49:10

ঈসা আল মসীহ আল্লাহর থেকে ক্ষমা সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিলেন, এবং এছাড়া এটিকে একে অপরকে ক্ষমা করার সাথে সংযুক্ত করেছেন I 

অন্যদের ক্ষমা করার উপরে ঈসা আল মসীহ

বিশ্বের খবরগুলো আমার দেখার সাথে সাথে এটি মনে হয় যে রক্তপাত এবং হিংসা চতুর্দিকে বাড়ছে I আফগানিস্তানে বম ফেলা, লেবানন, সিরিয়া এবং ইরাক জুড়ে লড়াই, পাকিস্তানের হত্যাকান্ড, তুর্কীতে দাঙ্গা, নাইজেরিয়াতে অপহরণ, পলেস্তিয়ান এবং ইস্রায়েলের সাথে যুদ্ধ, কেনিয়াতে শহরের নৃসংশ হত্যাকান্ড – এবং এগুলোকে আমি খারাব খবরগুলো অনুসন্ধান না করে শুনেছি I তার উপরে আমরা বহু অন্যায় ক্ষত ও অভিযোগ একে অপরের উপরে চাপিয়ে দিয়েছি যা খবরের শিরোনাম হয় না – তবে যা আমাদের তবুও আঘাত করে I প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণের এই দিনে ক্ষমার বিষয়ে ঈসা আল মসীহর শিক্ষার সর্বাধিক গুরুত্ব রয়েছে I একদিন তার শিষ্যরা জিজ্ঞাসা করল কতবার তাদের ক্ষমা করা উচিত I এখানে ইঞ্জিল থেকে বিবরণটি রয়েছে I    

21 তখন পিতর যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, আমার ভাই আমার বিরুদ্ধে কতবার অন্যায় করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাত বার পর্যন্ত করব কি?’
22 যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমি তোমাকে বলছি, কেবল সাত বার নয়, কিন্তু সাতকে সত্তর দিয়ে গুণ করলে যতবার হয় ততবার৷’
23 ‘স্বর্গরাজ্য এভাবে তুলনা করা যায়, য়েমন একজন রাজা যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসাব মিটিয়ে দিতে বললেন৷
24 তিনি যখন হিসাব নিতে শুরু করলেন, তখন তাদের মধ্যে একজন লোককে আনা হল য়ে রাজার কাছে দশ হাজার রৌপ্যমুদ্রা ধারত৷
25 কিন্তু তার সেই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা ছিল না৷ তখন সেইমনিব রাজা হুকুম করলেন য়েন সেইলোকটাকে তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে আর তার যা কিছু আছে সমস্ত বিক্রি করে পাওনা আদায় করা হয়৷
26 ‘তাতে সেইদাস মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে মনিবের পা ধরে বলল, ‘আমার ওপর ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সমস্ত ঋণই শোধ করে দেব’
27 সেইকথা শুনে সেই দাসের প্রতি মনিবের অনুকম্পা হল, তিনি তার সব ঋণ মকুব করে দিয়ে তাকে মুক্ত করে দিলেন৷
28 ‘কিন্তু সেইদাস ছাড়া পেয়ে বাইরে গিয়ে তার একজন সহকর্মীর দেখা পেল, য়ে তার কাছে প্রায় একশো মুদ্রা ধারত৷ সেই দাস তখন তার গলাটিপে ধরে বলল, ‘তুই য়ে টাকা ধার করেছিস তা শোধ কর৷’
29 ‘তখন তার সহকর্মী তার সামনে উপুড় হয়ে অনুনয় করে বলল, ‘আমার প্রতি ধৈর্য্য ধর৷ আমি তোমার সব ঋণ শোধ করে দেব৷’
30 কিন্তু সে তাতে রাজী হল না, বরং ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটকে রাখল৷
31 তার অন্য সহকর্মীরা এইঘটনা দেখে খুবইদুঃখ পেল, তাই তারা গিয়ে তাদের মনিবের কাছে যা যা ঘটেছে সব জানাল৷
32 ‘তখন সেই মনিব তাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি দুষ্ট দাস! তুমি আমায় অনুরোধ করলে আর আমি তোমার সব ঋণ মকুব করে দিলাম৷
33 আমি য়েমন তোমার প্রতি দয়া দেখিয়েছিলাম তেমনি তোমার সহকর্মীর প্রতিও কি তোমার দয়া করা উচিত ছিল না?’
34 তখন তার মনিব ক্রুদ্ধ হয়ে সমস্ত ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে শাস্তি দিতে কারাগারে দিয়ে দিলেন৷
35 ‘তোমরা প্রত্যেকে যদি তোমাদের ভাইকে অন্তর দিয়ে ক্ষমা না কর, তবে আমার স্বর্গের পিতাও তোমাদের প্রতি ঠিক ঐভাবে ব্যবহার করবেন৷’

মথি: 18:21-35

তার গল্পের বিষয়টি হল যদি আমরা তার দয়াকে গ্রহণ করে থাকি, তবে আল্লাহ (রাজা) আমাদেরকে অনেক বেশি ক্ষমা করে দিয়েছেন I এটি দশ হাজার ব্যাগ সোনার প্রতীকী ছিল যা দাসের দ্বারা তার পাওনা ছিল I দাসটি ঘোষণা করেছিল যে এটিকে ফেরৎ দিতে তার আরও বেশি সময়ের দরকার ছিল I কিন্তু কখনও অর্থ পরিশোধ দেওয়ার জন্য সেটি একটি অনেক বড় পরিমাণ ছিল, তার রাজা পুরো ঋণটি কেবল বাতিল করে দিলেন I এইরকমই আল্লাহ আমাদের জন্য করেন আমরা যদি তার দয়া গ্রহণ করি I  

কিন্তু তারপরে এই একই দাস আর একজন দাসকে দেখল যার কাছে তার একশত রৌপ্য মুদ্রা পাওনা ছিল I সে পুরো মূল্য দাবী করল এবং অন্য দাসটিকে আর বেশি সময় দিল না I যখন আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাপ করি সেখানে আঘাত ও ক্ষতি হয়, তবে আমাদের পাপ আল্লাহকে দুঃখী ও আহত করার তুলনায় এটি তুচ্ছ – দশ হাজার ব্যাগের তুলনায় একশত রৌপ্য টুকরোর মতন I   

অতএব আল্লাহ (রাজা) তারপরে দাসটিকে সবকিছু ফেরৎ দিতে কারাগারে পাঠান I ঈসা আল মসীহর শিক্ষায়, আমাদের বিরুদ্ধে লোকেদের দ্বরা কৃত পাপ এবং অভিযোগকে ক্ষমা না করা আল্লাহর ক্ষমাকে বাজেয়াপ্ত করা এবং নরকে আমাদের দোষী করা I এর থেকে গুরুতর আর কিছু হতে পারে না I

চ্যালেঞ্জ হল ক্ষমার এই আত্মাকে বজায় রাখা I যখন কেউ আমাদের আহত করে থাকে তখন প্রতিশোধের কামনা খুব বড় হতে পারে I তাই কিভাবে আমরা এই আত্মাকে পেতে পারি যা ক্ষমা করতে পারে? ইঞ্জিলকে অন্বেষণ করে আমাদের চলতে থাকার প্রয়োজন I  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *