Skip to content

দিন 1: ঈসা আল মসীহ – জাতিগনের প্রতি জ্যোতি

যিরূশালেমে ঈসা আল মসীহর তাল পাতার রবিবারের প্রবেশ তার চূড়ান্ত সপ্তাহ শুরু করল I সুরা আল-আন্বিয়া (সুরা 21 – নবীগণ) আমাদের বলে যে 

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।

সুরা আল-আন্বিয়া 21:91

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।

সুরা আল-আন্বিয়া স্পষ্টভাবে বলে যে আল্লাহ ঈসা আল মসীহকে পিবিইউএইচ সকল লোকেদের জন্য একটি ‘চিহ্ন’ রূপে প্রস্তুত করেছেন, না কেবল খ্রীষ্টান বা যিহূদিদের জন্য I কিভাবে নবী ঈসা আল মসীহকে আমাদের সকলের জন্য একটি ‘চিহ্ন’ রূপে প্রস্তুত করা হ’ল I আল্লাহর দ্বারা জগতের সৃষ্টি সকল লোকেদের জন্য সার্বজনীন ছিল I তাই এই চূড়ান্ত সপ্তাহের প্রত্যেক দিন ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ এমনভাবে কথা বললেন এবং কার্য্য করলেন যা সৃষ্টির ছয় দিনের দিকে নির্দেশ করল (কোরআন এবং তওরাত সেখায় যে আল্লাহ সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছিলেন) I     

ঈসা আল মসীহর চূড়ান্ত সপ্তাহের প্রত্যেক দিনের মধ্য দিয়ে গেলে, লক্ষ্য করি কিভাবে তাঁর সমস্ত শিক্ষা এবং কার্যাবলী সৃষ্টির দিকে নির্দেশকারী চিহ্ন হয় I এটি দেখাবে যে এই সপ্তাহের প্রত্যেক দিনের ঘটনাবলী সময়ের আরম্ভ থেকে আল্লাহর দ্বারা দৈবনির্দিষ্ট হয়েছিল – কোনো মানবীয় ধারণার দ্বারা নয় যেহেতু মানুষ কয়েক হাজার বছরের ব্যবধানের ঘটনা সমূহকে সমন্বয় করতে পারে   না I আমরা রবিবারে শুরু করি – দিন এক I    

দিন এক – অন্ধকারের মধ্যে জ্যোতি  

সুরা আন-নুর (সুরা 24 – জ্যোতি) ‘জ্যোতি’র একটি দৃষ্টান্ত দেয় I এটি ব্যক্ত করে:

আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

সুরা আন-নুর 24:35

আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টির প্রথম দিনের দিকে উল্লেখ করে যখন আল্লাহ জ্যোতি সৃষ্টি করলেন I তাওরাত ব্যক্ত করে:

3 তারপর ঈশ্বর বললেন, “আলো ফুটুক!” তখনই আলো ফুটতে শুরু করল|
4 আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল| তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন|
5 ঈশ্বর আলোর নাম দিলেন, “দিন” এবং অন্ধকারের নাম দিলেন “রাত্রি|”সন্ধ্যা হল এবং সেখানে সকাল হল| এই হল প্রথম দিন|
6 তারপর ঈশ্বর বললেন, “জলকে দুভাগ করবার জন্য আকাশমণ্ডলের ব্যবস্থা হোক|”

আদিপুস্তক 1:3-6

অন্ধকারকে মুছে দিতে সৃষ্টির প্রথম দিনে আল্লাহ বললেন জ্যোতির অস্তিত্ব   হোক I এই চিহ্নটি দেখাতে যেহেতু সৃষ্টির প্রথম দিন থেকেই সেই সময়ের ঘটনাগুলোকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল মসীহ অন্ধকারকে সরিয়ে তাঁর জ্যোতি হওয়ার কথা বলেছিলেন I 

অযিহূদিদের উপরে জ্যোতি উজ্বল হয়  

নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ সবেমাত্র একটি গাধার উপরে চড়ে যিরূশালেমে প্রবেশ করেছিলেন যেমন নবী সখরিয় পিবিইউএইচ 500 বছর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, সঠিক দিনে তাই করেন যা নবী দানিয়েল পিবিইউএইচ 550 বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I আসন্ন নিস্তারপর্বের উৎসবের জন্য অনেক দেশ থেকে যিহূদিরা উপস্থিত হচ্ছিল তাই যিরূশালেমে যিহূদি তীর্থযাত্রীদের ভীড় ছিল (হাজ্জের সময় মক্কার মতন) I অতএব নবীর আগমন যিহূদিদের মধ্যে এক আলোড়ন সৃষ্টি করল I তবে এটি কেবলমাত্র যিহূদিরাই নয় যারা ঈসা আল মসীহর আগমনকে লক্ষ্য করল I যিরূশালেমে তাঁর ঠিক প্রবেশ করার পরে যা ঘটল ইঞ্জিল তাকে লিপিবদ্ধ করে I       

  20 নিস্তারপর্ব উপলক্ষে উপাসনা করার জন্য যাঁরা জেরুশালেমে এসেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রীকও ছিল৷
21 তারা গালীলের বৈত্‌সৈদা থেকে য়ে ফিলিপ এসেছিলেন, তাঁর কাছে গেল, আর তাঁকে অনুরোধের সুরে বলল, ‘মহাশয় আমরা যীশুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাই৷’
22 ফিলিপ এসে একথা আন্দরিয়কে জানালেন৷ তখন আন্দরিয় ও ফিলিপ এসে যীশুকে তা বললেন৷

যোহন 12:20-22

নবীর সময়ে গ্রীক এবং যিহূদিদের মধ্যে বাধা

গ্রীকদের (অর্থাৎ পরজাতি বা অযিহূদি) পক্ষে যিহূদি উৎসবে উপস্থিত হওয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ছিল I সেই সময়ের গ্রীক এবং রোমীয়দের, যেহেতু তারা বহু-ঈশ্বরবাদী ছিল, অশুচি বিবেচনা করা হত এবং যিহূদিদের দ্বারা পরিহার করা হত I আর বেশিরভাগ গ্রীকরা কেবলমাত্র এক (অদেখা) ঈশ্বরে বিশ্বাসী যিহূদি ধর্ম এবং এর উৎসবগুলোকে বোকামি বলে মনে করত I সেই সময়ে কেবলমাত্র যিহূদিরা একেশ্বরবাদী ছিল I তাই এই লোকেরা নিয়মিতভাবে একে অপরের থেকে আলাদা থাকত I যেহেতু পরজাতি বা অ-যিহূদি সমাজ যিহূদি সমাজ থেকে বহুগুন বড় ছিল তাই যিহূদিরা জগতের অধিকাংশের থেকে এক প্রকারের বিচ্ছিনতার মধ্যে বাস করত I তাদের আলাদা ধর্ম, তাদের হালাল আহার, নবীদের তাদের একচেটিয়া বই যিহূদি এবং অযিহূদিদের মধ্যে এক বাধার সৃষ্টি করেছিল, এক পক্ষের অপর পক্ষের প্রতি শত্রুতার সাথে I  

আমাদের সময়ে, বহু-ঈশ্বরবাদ এবং মূর্তি পূজা জগতের অনেকের দ্বারা অস্বীকৃত হওয়ার সাথে, আমরা সহজেই ভুলতে পারি এই নবীর সময়ে এটি কিরকম  আলাদা ছিল I আসলে, আব্রাহামের পিবিইউএইচ সময়ে, ওই নবী ছাড়া প্রায় প্রত্যেকে বহু-ঈশ্বরবাদী ছিল I নবী মশির পিবিইউএইচ সময়ে, অন্য সমস্ত জাতিগুলো মূর্তির উপাসনা করত, সাথে ফরৌণ স্বয়ং ঈশ্বরদের একজন বলে নিজেকে দাবি করত I সমস্ত পরিবেষ্টিত জাতিগুলোর মূর্তি উপাসনার মহাসাগরের মধ্যে ইস্রায়েলীয়রা একেশ্বরবাদের একটি ছোট দ্বীপ ছিল I তবে নবী যিশাইয়কে  পিবিইউএইচ (750 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) ভবিষ্যতের মধ্যে দেখতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আর তিনি এই সমস্ত জাতিগুলোর জন্য একটি পরিবর্তন আগে থেকেই দেখেছিলেন I তিনি লিখলেন: 

  রবর্তী স্থানের সব লোকরা আমার কথা শোন| পৃথিবীবাসী সবাই আমার কথা শোন! আমি জন্মাবার আগেই প্রভু আমাকে তাঁর সেবা করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন| আমি মাতৃজঠরে থাকার সময়েই প্রভু আমার নাম ধরে ডাক দেন|
2 প্রভু আমাকে তাঁর কথা বলতে ব্যবহার করেন! তিনি আমার মুখকে ধারালো তরবারির মতো তৈরী করেছেন| তিনি আমাকে নিজের হাতে লুকিয়ে রেখে আমাকে রক্ষাও করেছেন| প্রভু আমাকে একটি ধারালো তীরের মতো ব্যবহার করলেও, তিনি আমাকে তাঁর তীরের থলিতে লুকিয়ে রাখেন|
3 প্রভু আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল তুমি আমার ভৃত্য! তোমার জন্য আমি যা করি তার জন্য আমি সম্মানিত হব|”
4 আমি বললাম, “আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি| আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি, কিন্তু কোন প্রযো-জনীয কাজ করি নি| আমি আমার সমস্ত শক্তি ব্যয করেছি| কিন্তু আমি সত্যিকারের কিছুই করতে পারিনি| তাই প্রভুকেই ঠিক করতে হবে| তিনি আমাকে নিয়ে কি করবেন| ঈশ্বরই আমার পুরস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন|
5 প্রভু আমাকে আমার মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেছেন, যাতে আমি তাঁর দাস হতে পারি এবং যাকোব ও ইস্রায়েলকে পথ প্রদর্শন করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি| প্রভু আমাকে সম্মান দেবেন| ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি আমার শক্তি পাব|”প্রভু আমাকে বলেন,
6 “তুমি আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাস| ইস্রায়েলের লোকরা এখন বন্দী| কিন্তু তাদের আমার কাছে আনা হবে| যাকোবের পরিবারগোষ্ঠী আমার কাছেই ফিরে আসবে| কিন্তু তোমার অন্য কাজ আছে, এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজ! আমি তোমাকে সমস্ত জাতির আলো হিসেবে তৈরি করব| বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে তুমিই হবে আমার পথ|”

যিশাইয় 49:1,5-6

রুশালেম, আমার আলো উঠে পড়! তোমার আলো (ঈশ্বর) আসছেন| তোমার উপর প্রভুর মহিমা প্রতিভাত হবে|
2 অন্ধকার পৃথিবীকে ঢেকে দিয়েছে| লোকরা অন্ধকারাচ্ছন্ন| কিন্তু প্রভু তোমার উপর তাঁর কিরণ বিকীরণ করবেন| তাঁর মহিমা তোমার উপর দেখা যাবে|
3 সব জাতি তোমার আলোর কাছে আসবে| রাজারাও তোমার উজ্জ্বল আলোর (ঈশ্বর) কাছে আসবেন|

যিশাইয় 60: 1-3

তাই নবী যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে সদাপ্রভুর আসন্ন ‘দাস’, যদিও যিহূদি (‘যাকোবের গোত্রের’) ‘পরজাতিদের (সমস্ত অযিহূদি) জন্য এক জ্যোতি’ হবে এবং এই জ্যোতি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছবে I তবে এটি যিহূদি এবং অযিহূদের মধ্যে কয়েকশত বছর ধরে স্থায়ী এই বাধার সাথে কিভাবে ঘটতে পারে?    

সেই দিন যখন নবী ঈসা যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন তখন জ্যোতি প্রথম পরজাতিদের নিকটে নিয়ে আসতে শুরু করল যেমন আমরা কিছুকে নবীকে কাছে আসতে দেখি I এখানে এই যিহূদি উৎসবে গ্রীকরা ছিল যারা নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ সম্বন্ধে জানতে যিরূশালেমে যাত্রা করেছিল I তবে যিহূদিদের দ্বারা বিবেচিত হারাম, তারা কি নবীকে দেখতে সক্ষম হবে? তারা ঈসার সঙ্গীদের জিজ্ঞাসা করল, যারা নবীর কাছে অনুরোধটি নিয়ে এসেছিল I তিনি কি বলবেন? তিনি কি এই গ্রীকদের অনুমতি দেবেন সাক্ষাৎ করতে, যারা যথাযথ ধর্ম সম্বন্ধে খুব কম জানত? ইঞ্জিল চলতে থাকে     

 

23 যীশু তখন তাদের বললেন, ‘মানবপুত্রের মহিমান্বিত হওযার সময় হয়েছে৷
24 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, গমের একটি দানা যদি মাটিতে পড়ে মরে না যায়, তবে তা একটি দানাই থেকে যায়৷ কিন্তু তা যদি মাটিতে পড়ে মরে যায়, তবে তার থেকে আরো অনেক দানা উত্‌পন্ন হয়৷
25 য়ে ব্যক্তি নিজের জীবনকে ভালবাসে সে তা হারাবে; কিন্তু য়ে এই জগতে তার জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, সে তা রাখবে৷ সে অনন্ত জীবন পাবে৷
26 কেউ যদি আমার সেব করে তবে অবশ্যই সে আমাকে অনুসরণ করবে৷ আর আমি য়েখানে থাকি আমার সেবকও সেখানে থাকবে৷ কেউ যদি আমার সেবা করে তবে পিতা তাকে সম্মানিত করবেন৷
27 ‘এখন আমার অন্তর খুব বিচলিত৷ আমি কি বলব, ‘পিতা? এই কষ্ট ভোগের মুহূর্ত থেকে আমায় রক্ষা কর?’ না, কারণ সেই সময় এসেছে এবং কষ্ট ভোগ করার উদ্দেশ্যেই আমি এসেছি৷
28 পিতা, তোমার নামকে মহিমান্বিত কর!’তখন স্বর্গ থেকে এক রব ভেসে এল, ‘আমি এঁকে মহিমান্বিত করেছি, আর আমি আবার তাঁকে মহিমান্বিত করব৷’
29 য়ে লোকেরা সেখানে ভীড় করেছিল, তারা সেই রব শুনে বলতে লাগল, এটা তো মেঘ গর্জন হোল৷আবার কেউ কেউ বলল, ‘একজন স্বর্গদূত ওঁর সঙ্গে কথা বললেন৷’
30 এর উত্তরে যীশু বললেন, ‘আমার জন্য নয়, তোমাদের জন্যই ঐ রব৷
31 এখন জগতের বিচারের সময়৷ এই জগতের শাসককে দূরে নিক্ষেপ করা হবে৷
32 আর যখন আমাকে মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে, তখন আমি আমার কাছে সকলকেই টেনে আনব৷’
33 যীশুর কিভাবে মৃত্যু হতে যাচ্ছে, তাই জানাতে যীশু এই কথা বললেন৷
34 এর উত্তরে লোকেরা তাঁকে বলল, ‘আমরা মোশির দেওযা বিধি-ব্যবস্থা থেকে শুনেছি য়ে খ্রীষ্ট চিরকাল বাঁচবেন৷ তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন য়ে, ‘মানবপুত্রকে উঁচুতে তোলা হবে? এই ‘মানবপুত্র’ তবে কে?’
35 তখন যীশু তাদের বললেন, ‘আর সামান্য কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মধ্যে আলো থাকবে৷ যতক্ষণ তোমরা আলো পাচ্ছ, তারই মধ্য দিয়ে চল৷ তাহলে অন্ধকার তোমাদের আচ্ছন্ন করবে না৷ য়ে লোক অন্ধকারে চলে সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না৷
36 যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে, সেই আলোতে বিশ্বাস কর, তাতে তোমরা আলোর সন্তান হবে৷’ এই কথা বলে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন ও তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন৷
37 যদিও যীশু তাদের চোখের সামনেই প্রচুর অলৌকিক চিহ্নকার্য় করলেন, তবু তারা তাঁকে বিশ্বাস করল না৷
38 ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন:‘প্রভু, আমাদের এই বার্তা কে বিশ্বাস করেছে? আর কার কাছেই বা প্রভুর পরাক্রম প্রকাশ পেয়েছে?’যিশাইয় 53 :1
39 এই কারণেই তারা বিশ্বাস করতে পারে নি, কারণ যিশাইয় আবার বলেছেন,
40 ‘ঈশ্বর তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন৷ ঈশ্বর তাদের অন্তর কঠিন করেছেন যাতে তারা চোখ দিয়ে দেখতে না পায়, অন্তর দিয়ে বুঝতে না পারে এবং ভাল হবার জন্য আমার কাছে না আসে৷’যিশাইয় 6:10
41 যিশাইয় একথা বলেছিলেন, কারণ তিনি যীশুর মহিমা দেখেছিলেন আর তিনি তাঁর বিষয়েই বলেছিলেন৷
42 অনেকে, এমন কি ইহুদী নেতাদের মধ্যেও অনেকে, তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করল; কিন্তু তারা ফরীশীদের ভয়ে প্রকাশ্যে তা স্বীকার করল না, পাছে তারা ইহুদীদের সমাজ-গৃহ থেকে বহিষ্কৃত হয়৷
43 কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওযা প্রশংসা অপেক্ষা মানুষের কাছ থেকে পাওযা প্রশংসা বেশী ভালবাসত৷
44 যীশু চিত্‌কার করে বললেন, ‘য়ে আমাকে বিশ্বাস করে সে, প্রকৃতপক্ষে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই বিশ্বাস করে৷
45 আর য়ে আমায় দেখে সে, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই দেখতে পায়৷
46 আমি এ জগতে আলো রূপে এসেছি যাতে য়ে আমায় বিশ্বাস করে তাকে য়েন অন্ধকারে থাকতে না হয়৷
47 ‘আর য়ে কেউ আমার কথা শোনে অথচ তা মেনে চলে না, তার বিচার করতে আমি চাই না, কারণ আমি জগতের বিচার করতে আসিনি, এসেছি জগতকে রক্ষা করতে৷
48 য়ে কেউ আমাকে অগ্রাহ্য় করে ও আমার কথা গ্রহণ না করে, তার বিচার করার জন্য একজন বিচারক আছেন৷ আমি য়ে বার্তা দিয়েছি শেষ দিনে সেই বার্তাই তার বিচার করবে৷
49 কারণ আমি নিজে থেকে একথা বলছি না, বরং পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমাকে কি বলতে হবে বা কি শিক্ষা দিতে হবে তা আদেশ করেছেন৷
50 আমি জানি য়ে তাঁর আদেশ থেকেই অনন্ত জীবন আসে৷ আমি সেই সকল কথা বলি যা পিতা আমায় বলেছেন৷’

যোহন 12:23-50

এই নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্যে, স্বর্গের থেকে এমনকি একটি কন্ঠস্বর সহ, নবী বললেন যে তিনি ‘উত্থাপিত’ হবেন এবং এটি ‘সকল লোকেদের’ টেনে নিয়ে আসবে – না কেবল যিহূদিদের – তাঁর কাছে I অনেক যিহূদিরা, এমনকি যদিও তারা কেবলমাত্র এক ঈশ্বরের উপাসনা করত, নবী কি বলছেন, বুঝতে পারল না I নবী যিশাইয় বললেন এটি তাদের কঠোর হৃদয়ের কারণে – আল্লাহর কাছে তাদের সমর্পণের অনিচ্ছা – যেটি মূলে ছিল, এমনকি অন্যরা ভয়ের কারণে চুপচাপ বিশ্বাস করল I    

নবী ঈসা আল মসীহ বলিষ্ঠভাবে দাবি করলেন যে তিনি ‘এক জ্যোতি হিসাব জগতে এসেছেন’ (আয়াত 46) যার সম্বন্ধে পূর্ববর্তী নবীরা লিখেছিলেন যেটি সমস্ত জাতিগণের উপরে উজ্জ্বল হবে I সেই দিনে, যখন তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন, জ্যোতি প্রথমে পরজাতিদের উপরে উজ্জ্বল হতে শুরু করল I এই জ্যোতি কি সমস্ত জাতিগণের উপরে ছড়িয়ে যাবে? ‘উত্থাপিত হওয়া’ বলতে  নবী কি বোঝাতে চেয়েছিলেন? এই প্রশ্নগুলো বুঝতে আমরা এই শেষ সপ্তাহের মধ্য দিয়ে চলতে থাকব I 

নিম্নলিখিত চার্টটি এই সপ্তাহের প্রত্যেক দিনের মধ্যদিয়ে গেছে I রবিবারে. সপ্তাহের প্রথম দিনে পূর্ববতী তিনজন নবীদের দ্বারা প্রদত্ত তিনটি আলাদা আলাদা ভবিষ্যদ্বাণী তিনি পূর্ণ করলেন I প্রথমত, সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে তিনি একটি গাধার উপরে চড়ে যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন I দ্বিতীয়ত, তিনি এটি এমন সময়ে করলেন যা দানিয়েলের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I তৃতীয়ত, তাঁর বার্তা এবং অলৌকিক কার্যাবলী পরজাতিগণের মধ্যে একটি আগ্রহ প্রকাশ করতে শুরু করল – যা নবী যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে সমস্ত জাতিগণের কাছে একটি জ্যোতি রূপে আলোকিত হবে এবং জগতের চারিদিকের লোকেদের কাছে উজ্জ্বল হবে I  

আবেগের ঘটনাবলীর সপ্তাহ – দিন এক – রবিবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *