হযরত ইব্রাহিমের (আঃ) সময় থেকে এখন পর্যন্ত থেকে প্রায় ৫০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আর এটি প্রায় ১৫০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দ হবে I ইব্রাহিমের মৃত্যুর পরে, তার বংশধররা তার পুত্র ইসহাকের মাধ্যমে, যাদেরকে এখন ইস্রায়েলী বলা হয়, এক বিশাল সংখ্যার লোক হয়ে উঠেছে কিন্তু এছাড়া মিশরের দাস সমূহে পরিণত হয়েছে I এটি ঘটল কারণ ইব্রাহিমের (আঃ) মহান পৌত্র যোষেফকে এক দাস রূপে মিশরের কাছে বিক্রী করে দেওয়া হল এবং তারপরে, বহু বছর পরে, তার পরিবার অনুসরণ করল I এর সবকিছুকে আদিপুস্তক ৪৫-৪৬ এর মধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে – তাওরাতের মধ্যে মুসার প্রথম বইটি I
অতএব আমরা এখন অন্য একজন মহান নবির চিহ্নতে এসে উপস্থিত হয়েছি – মুসা (আঃ) – তাওরাতের দ্বিতীয় বইয়ে বলা হয়েছে I মুসা (আঃ) কে মিশরের ফেরাউনের সাথে সাক্ষাৎ করতে ঈশ্বরের দ্বারা আজ্ঞা দেওয়া হল আর এটি মুসা (আঃ) এবং ফেরাউণের মায়াবীদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি করল I এই বিবাদ ফেরাউণের বিরুদ্ধে কুখ্যাত নয়টি মহামারী বা বিপর্যয় উৎপন্ন করল যেগুলো তার পক্ষে চিহ্ন সমূহ ছিল I তবে ফেরাউণ নিজেকে সদাপভুর ইচ্ছার নিকট সমর্পণ করলনা আর এই চিহ্নগুলোকে অবজ্ঞা করছিল I
সুরা আন-নাজি’আত (সুরা ৭৯ – তারা যারা সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়) এই ঘটনাগুলোকে এইভাবে বর্ণনা করে
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।,অতঃপর বল তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি?আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর। অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
সূরা আন-নাজি’আত সুরা ৭৯:১৫-২০
সুরা আল-মুজ্জাম্মিল (সুরা ৭৩ – আচ্ছাদিত এক) ফেরাউণের প্রতিক্র্য়ার বর্ণনা করে:
অতঃপর ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছি।
সুরা আল-মুজ্জাম্মিল 73:16
মুসার ‘বিরাট চিহ্ন’ কি ছিল যা সুরা আন-নাজি’আত এবং অউরা আল-মুজ্জাম্মিলে ফেরাউণের উপরে ‘প্রচন্ড শাস্তির মধ্যে উল্লিখিত হয়েছে? চিহ্ন এবং শাস্তি উভয়ই দশম মহামারীর মধ্যে রয়েছে I
দশম মহামারী
অতএব আল্লাহ একটি দশম এবং অত্যন্ত ভয়ংকর মহামারী (বিপর্যয়) নিয়ে আসতে যাচ্ছেন I দশম মহামারী আসার আগে এই বিন্দুতে তৌরাত কিছু প্রস্তুতি এবং ব্যাখ্যা দেয় I কুরআন আবারও এই বিন্দুটিকে নিম্নলিখিত পদের সাথে বিবরণের মধ্যে উল্লেখ করে
আপনি বণী-ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করুন, আমি মূসাকে নয়টি প্রকাশ্য নিদর্শন দান করেছি। যখন তিনি তাদের কাছে আগমন করেন, ফেরাউন তাকে বললঃ হে মূসা, আমার ধারনায় তুমি তো জাদুগ্রস্থ। তিনি বললেনঃ তুমি জান যে, আসমান ও যমীনের পালনকর্তাই এসব নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ প্রমাণস্বরূপ নাযিল করেছেন। হে ফেরাউন, আমার ধারণায় তুমি ধ্বংস হতে চলেছো।
সূরা বনী ইসরাঈল, রাত্রি যাত্রা: ১০১-১০২
অতএব ফেরাউণকে ‘সংহারের দন্ডাজ্ঞা’ দেওয়া হল I কিন্তু কিভাবে এটি ঘটতে ছিল? আল্লাহ পূর্বে বিভিন্ন উপায়ে বিনাশকে পাঠিয়েছিলেন I নোহের দিনে লোকেদের জন্য এটি বিশ্ব-ব্যাপী একটি বন্যা ছিল, আর লোটের স্ত্রীর জন্য এটি একটি নমকের স্তম্ভে পরিণত হওয়া ছিল I কিন্তু এই বিনাশ ভিন্ন হওয়ার ছিল কারণ এটিকে আবারও সমস্ত লোকেদের জন্য একটি চিহ্ন হওয়ার ছিল – এক মহান চিহ্ন I যেমনটি কোরান বলে
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
সূরা আন-নযিআ’ত ৭৯:২০
এখানে লিঙ্কে তাওরাতের যাত্রা পুস্তকের মধ্যে আপনি দশম মহামারীর ব্যাখ্যা পড়তে পারেন I এটি একটি সম্পূর্ণ বিবরণ আর এটি নীচে ব্যাখ্যাটিকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে I
নিস্তারপর্বের মেষশাবক মৃত্যু থেকে রক্ষা করে
শাস্ত্র আমাদের বলে যে আল্লাহর দ্বারা সংহারের আদেশ যে প্রত্যেক প্রথম জাত পুত্রকে সেই রাত্রিতে মরতে হবে কেবল সেই গৃহের মধ্যে তারা ছাড়া পাবে যেখানে একটি মেষ শাবককে বলি দেওয়া হবে এবং তার রক্তকে সেই বাড়ির দরজার চৌকাটে লাগিয়ে দেওয়া হবে I ফেরাউণের প্রতি সংহার, যদি সে না মানে, তবে তার পুত্র এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মারা যাবে I আর মিশরের প্রত্যেক গৃহ প্রথম জাত পুত্রকে হারাবে – যদি তারা একট মেষ শাবককে বলির দ্বারা সমর্পণ না করে এবং তার রক্ত তাদের দরজার চৌকাটে না লাগায় I সুতরাং মিশর এক জাতীয় বিপর্যের সম্মুখীন হল I
কিন্তু গৃহগুলোতে যেখানে একটি মেষশাবককে বলি দেওয়া হল এবং তার রক্তকে দরজার চৌকাটে লাগানো হল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো যে প্রত্যেকে নিরাপদ হবে I আল্লাহর বিচার সেই গৃহকে ছেড়ে এগিয়ে যাবে I অতএব এই দিন ও চিহ্নকে নিস্তার বলে ডাকা হল (যেহেতু সমস্ত গৃহগুলোকে নিস্তার দেওয়া হল যেখানে দরজার চৌকাটের উপরে মেষ শাবকের রক্ত লাগানো হয়েছিল) I কিন্তু দরজার উপরে রক্ত কাদের জন্য একটি চিহ ছিল? তাওরাত আমাদের বলে:
সদাপ্রভু মশিকে বললেন…”… আমিই সদাপ্রভু I অতএব তোমরা যে গৃহে থাক, [নিস্তারপর্বের মেশ শাবকের] ওই রক্ত তোমাদের পক্ষে চিহ্নস্বরূপ হয়ে সেই গৃহের উপরে থাকবে; আর আমি যখন রক্ত দেখব, আমি তোমাদের ছেড়ে এগিয়ে যাব I
যাত্রা পুস্তক ১২:১৩
তাই, যদিও সদাপ্রভু দরজার উপরে রক্ত খুঁজছিলেন, আর যখন তিনি তা দেখলেন তিনি ছেড়ে এগিয়ে যেতেন, টান জন্য রক্ত একটি চিহ্ন ছিল না I এটি বলে যে রক্ত ‘তোমাদের জন্য’ একটি চিহ্ন ছিল – লোকেদের জন্য I এবং বিস্তারিতভাবে এটি আমাদের সকলের জন্য একটি চিহ্ন যারা তাউরাতের মধ্যে এই বিবরণকে পড়ে I তাহলে এটি কিভাবে আমাদের জন্য একটি চিহ্ন হয়? এই অবশ্যম্ভাবী রাত্রির পরে সদাপ্রভু তাদেরকে আজ্ঞা দিলেন:
এই দিনটি পরবর্তী প্রজন্মের স্থায়ী অধ্যাদেশ হিসাবে উদযাপন করুন। আপনি যখন দেশে প্রবেশ করবেন … এই অনুষ্ঠানটি পালন করুন … এটি প্রভুর কাছে নিস্তারপর্বের উত্সর্গ ‘’
যাত্রা পুস্তক ১২;২৭
নিস্তারপর্ব য়িহূদি ক্যালেন্ডার দিয়ে আরম্ভ হয়
সুতরাং প্রত্যেকে বছরের একই দিনে ইস্রায়েলীদের নিস্তারপর্ব উদযাপন করতে আজ্ঞা দেওয়া হল I ইস্রায়েলী ক্যালেন্ডার পাশ্চাত্য একটির থেকে একটু ভিন্ন, তাই প্রত্যেক বছরে আপনি যদি এটিকে পাশ্চাত্য ক্যালেন্ডারের দ্বারা অনুসরণ করেন, তাহলে বছরের দিনটিতে অল্প একটু পরিবর্তন ঘটে, ঠিক রমদানের মতন, কারণ এটি ভিন্ন বছর-দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তিশীল, প্রতি বছর পাশ্চাত্য ক্যালেন্ডারের মধ্যে সরে যায় I কিন্তু আজ পর্যন্ত, ৩৫০০ বছর পরে এখনও ইহূদি লোকেরা মুসা (আঃ) এর সময় থেকে তাওরাতের মধ্যে সদাপ্রভুর দ্বারা প্রদত্ত আজ্ঞার বাধ্যতায় প্রতি বছর এই ঘটনার স্মৃতিতে নিস্তারপর্ব উদযাপন করতে থাকে I এখানে আসন্ন নিস্তারপর্বের জন্য য়িহূদিদের দ্বারা মেষশাবক বধ করার আজকের আধুনিক যুগের একটি দৃশ্য I এটি ঈদ উৎসবের অনুরূপ I
ইতিহাসের মাধ্যমে এই উৎসবকে অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা একেবারে অসাধারণ কিছু লক্ষ্য করতে পারি I আপনি এটিকে সুসমাচারে (ইঞ্জীলে) লক্ষ্য করতে পারেন, যেখানে এটি ভাববাদী ঈসা আল মসীহর (আঃ) গ্রেফতার ও বিচারকে বিশদভাবে নথিভুক্ত করে I
“পরে লোকেরা ইসাকে নিয়ে গেল…রোমীয় দেশাধক্ষ্য [পীলাতের] রাজপ্রাসাদে…আনুষ্ঠানিক অশুচিতাকে এড়িয়ে যেতে য়িহূদির রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলো না; তারা নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে সক্ষম হতে চাইল”…[পীলাত] বলল [ইহূদি নেতাদের] “…কিন্তু তোমাদের এমন এক রীতি আছে যে, আমি নিস্তারপর্বের সময়ে তোমাদের জন্য এক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিই; তোমরা কি ইচ্ছা কর যে আমি তোমাদের জন্য ‘ইহূদিদের রাজাকে’ ছেড়ে দিই [অর্থাৎ মসীহ]” তারা আবার চেঁচিয়ে বলল, ‘না ওকে নয়…”
যোহন ১৮:২৮, ৩৯-৪০
অন্য কথায়, ঈসা আল মসীহকে (আঃ) গ্রেফতার করা হল এবং ইহূদি ক্যালেন্ডার মধ্যে নিস্তারপর্বের দিনে প্রাণদণ্ডের জন্য পাঠানো হল I আপনি যদি ইব্রাহিমের ৩ নম্বর চিহ্নর থেকে স্মরণ করেন, ঈসার অন্যতম পদবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল যা হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) দ্বারা তাকে দেওয়া হয়েছিল
পরের দিন জন (ইয়াহিয়া) যীশুকে (অর্থাত্ ঈসা) তাঁর দিকে আসতে দেখলেন এবং বললেন, “দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি পৃথিবীর পাপকে সরিয়ে নিয়ে যান। এটিই আমি বোঝাতে চেয়েছি যখন আমি বলেছিলাম যে ‘আমার পরে একজন আসেন তিনি আমার আগে ছুঁড়েছিলেন কারণ তিনি আমার আগে ছিলেন’ “।
যোহন ১:২৯-৩০
ঈসা (আঃ) কে নিস্তারপর্বের দিনে প্রাণদণ্ড দেওয়া হল
এখানে আমরা এই চিহ্নর অনন্যতাকে দেখি I ঈসা (আঃ), ‘মেষ শাবককে’, প্রাণদণ্ডের (বলিদান) জন্য বিশেষ একই দিনে পাঠানো হল যেদিনে তখনকার ঈহূদি নিবাসীরা (পাশ্চাত্য ক্যালেন্ডারের মধ্যে ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ) প্রথম নিস্তারপর্বের স্মরণে একটি মেষ শাবকের বলি দিচ্ছিল যা ১৫০০ বছর পূর্বে ঘটেছিল I এই জন্যই ইহূদি নিস্তারপর্ব উৎসব ইস্টারের মতন সাধারণতঃ প্রতি বছর একই সপ্তাহে ঘটে – ঈসা আল মসীহর ছেড়ে যাওয়ার স্মরণে – কারণ ঈসাকে (আঃ) একই দিনে বলিদানের জন্য পাঠানো হয়েছিল I (ইস্টার এবং নিস্তারপর্ব ঠিক একই দিনে হয় না কারণ ইহূদি এবং পাশ্চাত্য ক্যালেন্ডারের বছরের দীর্ঘতাকে সমন্বয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, কিন্তু তারা সাধারণতঃ একই সপ্তাহে হয়) I
এখন এক মিনিটের জন্য ভাবুন ‘চিহ্নগুলো’ কি করে I
যখন আমরা ‘মাথার খুলি এবং হাড়ের’ চিহ্ন দেখি এটি আমাদের মৃত্যু ও বিপদের সম্বন্ধে ভাবায় I ‘সোনার খিলানের’ চিহ্ন আমাদেরকে বোধ হয় ম্যাক ডোনাল্ডসের কথা ভাবায় I
এর চিহ্নটি টেনিস খেলোয়াড় নাদালের বানদানার উপরে নাইকের জন্য চিহ্ন I নাইক আমাদের তাদের সম্বন্ধে ভাবাতে চায় যখন আমরা নাদালের উপরে এই চিহ্ন দেখি I অন্য কথায়, চিহ্নগুলো আমাদের মনের নির্দেশিকা যা আমাদের আকাঙ্খিত বস্তুর সম্বন্ধে চিন্তা করতে নির্দেশ করে I মুসা (আঃ) এর এই চিহ্নর সাহায্যে ইনি আল্লাহ যিনি আমাদের জন্য এই চিহ্ন দিয়েছেন I কেন তিনি এই চিহ্ন দিলেন? ভালো কথা চিহ্নটি, এই দিনে মেষ শাবকের বলি হওয়ার উল্লেখযোগ্য সময়ের সাথে ঈসা অবশ্যই ঈসা আল মসীহর বলিদানের প্রতি একটি নির্দেশিকা হবে (আঃ) I
এটি আমাদের মনে কার্য করে যেমনটি আমি চিত্রর মধ্যে দেখিয়েছি I সেখানে চিহ্নটি আমাদের ঈসা আল মসীহর সমর্পণের প্রতি ইঙ্গিত করে I প্রথম নিস্তারপর্বে মেষ শাবকদের বলিদান করা হয়েছিল আর রক্ত বয়েছিল ও ছড়িয়েছিল যাতে লোকেরা বাঁচতে পারে I আর এইরূপে, এই চিহ্ন ঈসার প্রতি ইঙ্গিত করে আমাদের বলতে যে তিনি ‘ঈশ্বরের মেষ শাবককেও’, মৃত্যুতে সমর্পণ করা হয়েছিল যাতে আমরা জীবন পেতে পারি I
৪ ইব্রাহিমের পুত্রের বলিদান ঈসা আল মসীহর প্রতি আমাদেরকে চিন্তা করতে ইঙ্গিত করে আমরা ইব্রাহিমের ৩ নম্বর চিহ্নর মধ্যে দেখি যে সেই স্থানটি যেখানে ইব্রাহিমের তার পুত্রের বলিদানের সাথে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেটি মোরিয়া পর্বত ছিল I কিন্তু সেই মুহুর্তে তার পুত্রের পরিবর্তে একটি মেষ শাবককে বলি দেওয়া হয়েছিল I একটি মেষ শাবক মারা গেল যাতে ইব্রাহিমের পুত্র বাঁচতে পারে I মোরিয়া পর্বত সেই বিশেষ একই স্থান ছিল যেখানে ঈসা (আঃ) কে বলি দেওয়া হয়েছিল I সেটি একটি চিহ্ন ছিল যা ঈসা আল মসীহর (আঃ) বলি হওয়ার জন্য সমর্পিত হতে স্থানটির প্রতি ইঙ্গিত করতে আমাদেরকে ভাবায় I এখানে মুসার এই চিহ্নর মধ্যে আমরা সেই একই ঘটনার প্রতি অন্য একটি নির্দেশিকাকে দেখি – বলিদানের জন্য ঈসা (আঃ) এর সমর্পণ – নিস্তারপর্বের বলিদানের ক্যালন্ডারের দিনকে ইঙ্গিত করে I একটি মেষ শাকবকে একই ঘটনাকে ইঙ্গিত করতে আর একবার ব্যবহার করা হয়I কেন? আমরা আরও উপলব্ধি পেতে মুসার পরবর্তী চিহ্নর সাথে চলতে থাকি I এই চিহ্ন সীনয় পর্বতের ব্যবস্থার দান I
কিন্তু এই কাহিনীটি শেষ করতে গিয়ে, ফেরাউনের প্রতি কি ঘটল? আমরা যেমন তাওরাতের অধ্যায়ে পড়ি, সে সতর্কতায় কান দেয় নি আর তার প্রথম জাত পুত্র সেই রাত্রে (উত্তরাধিকারী) মারা গেল I তাই অবশেষে সে ইস্রায়েলীদের মিশর ছেড়ে যেতে অনুমতি দিল I কিন্তু তারপরে সে তার মন পরিবর্তন করল আর তাদেরকে লোহিত সাগর পর্যন্ত তাড়া করল I সেখানে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সাগরের মধ্য দিয়ে যেতে দিলেন কিন্তু ফৌরণ তার সৈন্য বাহিনীর সাথে নিমজ্জিত হল I নয়টি মহামারীর পরে, নিস্তারপর্বের মৃত্যু, এবং সৈন্য বাহিনীর ক্ষতিতে, মিশর ভীষণভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত হল এবং আর কখনও পৃথিবীর বিশিষ্টতম শক্তি রূপে তার মর্যাদাকে ফিরে পেল না I আল্লাহ তার বিচার করলেন I