Skip to content

দিন 3 এবং 4 – ঈসা আল মসীহ ভবিষ্যত এবং তার প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দেন

ডুমুর গাছ এবং নক্ষত্রদের মধ্যে কি মিল আছে? উভয়ই দুর্দান্ত ঘটনা সমূহের আগমন এবং অপ্রস্তুতদের সতর্কতা দেওয়ার চিহ্ন স্বরূপ I সুরা আত-ত্বীন শুরু হয় এই দিয়ে:

শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের,

সুরা আত-ত্বীন 95:1

শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের,

আগমন তাত্পর্যপূর্ণ করে

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।

সুরা আত-ত্বীন: 95:4-5

4 আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। 5 অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।

সুরা আল-মুরসালাত (দূতগণ), সুরা আত=তাকভীর(উত্থিত), এবং সুরা আল-ইনফিতার(ক্লিভিং) বারবার ঘোষণা করে তারা ম্লান হয়ে যাবে, এবং এটি কিছু দুর্দান্ত আগমনের সংকেত দেয়: 

অতঃপর যখন নক্ষত্রসমুহ নির্বাপিত হবেযখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে,যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং

সুরা আল-মুরসালাত 77:8-10

8 অতঃপর যখন নক্ষত্রসমুহ নির্বাপিত হবে,9 যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে, 10 যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে 

যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে,যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,

সুরা আত-তাকভীর 81:1-3

1 যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,2 যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে, 3 যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,

সুরা আল-ইনফিতার 82:1-3

1 যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, 2 যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,3 যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে

এগুলোর মানে কি? নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ তাঁর শেষ সপ্তাহে ব্যাখ্যা করেন I প্রথমে একটি দ্রুত পর্যালোচনা I  

নবী দানিয়েল এবং সখরিয় অনুসারে রবিবার নীসন 9 তারিখে যিরূশালেমে প্রবেশের পরে, এবং তারপরে সোমবার নীসন 10-তারিখে মন্দিরে প্রবেশ করার পরে, নবী মশির পিবিইউএইচ তাওরাতের নিয়ম অনুসারে আল্লাহর মেষশাবক রূপে মনোনীত হতে, নবী ঈসা আল মসীহ যিহূদি নেতাদের দ্বারা অস্বীকৃত হলেন I আসলে, তিনি যখন মন্দির পরিষ্কার করছিলেন তারা তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করতে আরম্ভ করল I নবী ঈসা আল মসীহ পরে যা করলেন ইঞ্জিল তা লিপিবদ্ধ করে: 

ডুমুর গাছের অভিশাপ

আর তিনি তাদের (মন্দিরে সোমবার দ্বিতীয় দিন, নীসন 10 তারিখে  যিহূদি নেতারা) পরিত্যাগ করলেন এবং নগরের বাইরে চলে গেলেন যেখানে তিনি রাত্রি যাপন করলেন I 

ভোরবেলায় (মঙ্গলবার নীসন 11 তারিখ, তৃতীয় দিন), যীশু নগরে তার ফিরে আসার পথে ক্ষুধার্ত হলেন I রাস্তার ধরে একটি ডুমুর গাছ দেখে, তিনি তার কাছে গেলেন আর পাতা ছাড়া কোনো কিছুই এর উপরে দেখতে পেলেন না I তখন তিনি একে বললেন, “আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক!” তৎক্ষনাত গাছটি শুকিয়ে গেল

মথি 21:17-19

অনেকে আশ্চর্য বোধ করেন কেন ঈসা আল মসীহ বললেন আর ডুমুর গাছটি শুকিয়ে গেল I ইঞ্জিল সরাসরিভাবে ব্যাখ্যা করে না, তবে আদি ভাববাদীরা আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে পারে I এই ভাববাদীরা, আগামী বিচার সম্বন্ধে সতর্ক করার সময়ে প্রায়শই শুকিয়ে যাওয়া একটি ডুমুর গাছের চিত্রকে ব্যবহার করতেন I লক্ষ্য করুন কিভাবে শুকিয়ে যাওয়া ডুমুর গাছের চিত্রকে ভাববাদীদের দ্বারা তাদের সতর্কতার মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে: 

  12 দ্রাক্ষালতা শুকিয়ে গেছে| ডুমুর গাছ মারা গেছে| ডালিম, তাল ও আপেল, এমনকি ক্ষেতের সমস্ত গাছ শুকিয়ে গেছে| সত্যি লোকদের মধ্যে য়ে সুখ ছিল তা শুকিয়ে গেছে|

যোয়েল 11:12

  9 প্রভু এই কথাগুলো বলছেন: “আমি অবশ্যই সোরের লোকদের তাদের বহু দণ্ডার্হ অপরাধের জন্য শাস্তি দেবো| কেন? কারণ তারা একটি সমগ্র জাতিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং এীতদাস হিসেবে তাদের ইদোমে পাঠিয়েছিল| তারা তাদের ভাইদের (ইস্রায়েল) সঙ্গে মিলিত হয়ে য়ে চুক্তি করেছিল তা তারা মনে রাখেনি|

আমোস 4:9

  ভু তাঁর ভাব্বাদী হগযকে সপ্তম মাসের 21 তম দিনে এই বার্তা দিয়েছিলেন|
2 “যিহূদার অধ্যক্ষ শলটীযেলের পুত্র সরুব্বাবিলের সঙ্গে যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়র সঙ্গে এবং সমস্ত লোকের সঙ্গে কথা বল| তাদের বল:
3 “তোমাদের মধ্যে এমন কে রয়েছে য়ে এই মন্দিরকে তার পূর্বের গৌরব মণ্ডিত অবস্থায় দেখেছিলে? তোমাদের কি মনে হয়? প্রথম মন্দিরটির তুলনায় এই মন্দিরটি কি দেখতে কিছুই নয়?
4 কিন্তু এখন, সরুব্বাবিল, প্রভু বলেন, ‘সাহস হারিযো না, শক্ত হও|’ যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়, ‘সাহস হারিযো না, শক্ত হও|’ এই দেশের সমস্ত লোককে প্রভু এই কথা বলেন, ‘সাহস হারিযো না, শক্ত হও|’ এই কাজ করে যাও কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি!’ প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথা বলেন!”
5 প্রভু বলেন, “তোমরা যখন মিশর দেশ ত্যাগ করেছিলে সেই সময় আমি তোমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলাম| আর আমি আমার সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি| আমার আত্মা তোমাদের সঙ্গে রয়েছে| সুতরাং ভয় পেও না|
6 কারণ প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলো বলছেন! কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমি আকাশ ও পৃথিবীকে নাড়া দেব| আমি সমুদ্র ও শুকনো জমিকেও কাঁপিয়ে তুলব|
7 আমি প্রত্যেকটি জাতিকে নাড়া দেব এবং তারা সমস্ত জাতিদের সমস্ত সম্পদ নিয়ে তোমার কাছে আসবে| তখন আমি এই মন্দির মহিমায পূর্ণ করব| প্রভু সর্বশক্তিমান এই সব কথা বলছেন|
8 রূপো আমারই, সোনাও আমার, সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন|
9 এই মন্দিরটির গৌরব প্রথম মন্দিরের গৌরবের চেয়ে অনেক বেশী হবে| সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেছেন| এই স্থানে আমি শান্তি প্রদান করব, সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেছেন|”

হগয় 2:19

4 পাকানো কাগজের মত আকাশ গুটিযে বন্ধ হয়ে যাবে| নক্ষত্ররা মারা যাবে এবং দ্রাক্ষা গাছের পাতা বা ডুমুর পাতার মতো তাদের পতন হবে| আকাশের সব নক্ষত্র নষ্ট হয়ে যাবে|

যিশাইয় 34:4

  13 “তোমাদের ফসল ঘরে তোলার উত্সব আর পালিত হবে না| আমি তোমাদের সমস্ত ফল ও শস্যসমূহ কেড়ে নেব তাই আর ফসল তোলা হবে না|” এই ছিল প্রভুর বার্তা| “দ্রাক্ষা-ক্ষেতে কোন দ্রাক্ষা থাকবে না| থাকবে না কোন ডুমুর গাছ| এমন কি গাছের পাতা পর্য়ন্ত শুকিয়ে যাবে| আমি তোমাদের যা দিয়েছিলাম সব কিছু নিয়ে নেব|”

যিরমিয় 8:13

নবী হোসেয় পিবিইউএইচ ডুমুর গাছকে ইস্রায়েলের একটি রূপক হিসাবে ব্যবহার করেন এবং তারপরে একটি অভিশাপ ঘোষণা করে আরও এগিয়ে গেলেন:

10 য়ে সময় আমি ইস্রায়েলকে পেলাম, সে সময় তারা ছিল মরুভূমিতে পাওয়া টাটকা দ্রাক্ষার মতো| তারা ঋতু সূচনায গাছের প্রথম ডুমুরগুলির মতো ছিল| কিন্তু তারপর তারা বালপিযোরের কাছে এল এবং বদলে গেল, তাই তাদের আমায় পচে যাওয়া ফলের মত ছুঁড়ে ফেলে দিতে হল| তারা সেই ভয়ঙ্কর জিনিসের (মূর্ত্তির) মতোই হয়ে উঠল যাদের তারা ভালবাসত|
11 একটি পাখীর মতোই ইফ্রয়িমের মহিমা উড়ে যাবে| সেখানে আর কেউ গর্ভবতী হবে না| কোন জন্ম হবে না, কোন শিশু থাকবে না|
12 কিন্তু যদি কোন ইস্রায়েলীয়রা তাদের সন্তানদের লালন-পালন করে তাহলেও সে তাদের কোন সাহায্যে আসবে না| আমি তাদের কাছ থেকে শিশুদের নিয়ে নেব| আমি তাদের ত্যাগ করব, এবং ঝামেলা ছাড়া তাদের কাছে আর কিছুই থাকবে না|
13 আমি দেখতে পাচ্ছি য়ে ইফ্রয়িম তার সন্তানদের ফাঁদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে| ইফ্রয়িম তার সন্তানদের হত্যাকারীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে|
14 প্রভু, আপনি যা চান তাই তাদের দিন| তাদের এমন একটি জরাযু দিন যাতে সন্তান ধারণ না করে| তাদের এমন স্তন দিন যা দুধ দিতে পারে না|
15 তাদের সব মন্দতা গিল্গলে রয়েছে| আমি সেখানে তাদের ঘৃণা করতে আরম্ভ করেছি| আমি তাদের আমার বাড়ি ছাড়তে বলপ্রযোগ করব কারণ তারা সব পাপ কাজ করেছে| আমি তাদের আর কখনোই ভালবাসব না| তাদের নেতারা বিদ্রোহী, তারা আমার বিরুদ্ধে গেছে|
16 ইফ্রয়িম শাস্তি পাবে| তাদের মূল শুকিয়ে যাচ্ছে| তাদের আর সন্তান হবে না| সন্তানের জন্ম হয়ত তারা দিতে পারে, কিন্তু তাদের শরীর থেকে য়ে প্রিয সন্তান সৃষ্টি হবে তাদের আমি হত্যা করব|
17 ওই লোকরা আমার ঈশ্বরের কথা শুনবে না| সেজন্য তিনিও তাদের কথা শুনতে অস্বীকার করবেন| তারা গৃহহীন হয়ে অন্য জাতের মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে|

হোসেয় 9:10-12, 16-17; নোট করুন ইফ্রয়িম = ইস্রায়েল

এই অভিশাপগুলো পূর্ণ হয়েছিল যখন যিরূশালেম 586 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে (যিহূদিদের ইতিহাসের জন্য এখানে দেখুন) প্রথমে ধ্বংস হয়েছিল I যখন নবী ঈসা আল মসীহ ডুমুর গাছটিকে শুকিয়ে দিলেন, তিনি যিরূশালেমের আর একটি আসন্ন ধ্বংস এবং দেশ থেকে যিহূদি নির্বাসনের প্রতীকাত্মকরূপে ভবিষ্যদ্বাণী   করছিলেন I     

ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দেওয়ার পরে, ঈসা আল মসীহ মন্দিরে লোকেদের শিক্ষাদান এবং যিহূদি নেতাদের সঙ্গে বিতর্ক চালিয়ে গেলেন I তিনি আল্লাহর বিচার সম্বন্ধে অনেক সতর্কতা দিলেন I ইঞ্জিল শিক্ষাগুলোকে লিপিবদ্ধ করে এবং সেগুলো এখানে পুরোপুরি রয়েছে I

নবী তাঁর প্রত্যাবর্তনের চিহ্নগুলো  সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন

নবী ঈসা আল মসী তখন যিরূশালেমের যিহূদি মন্দিরের এক অন্ধকার ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে শেষ করলেন I সেই সময়ে, মন্দিরটি সমগ্র রোম সাম্রাজ্যের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভবন ছিল I তবে ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে যে তিনি এর ধ্বংস আগে থেকেই দেখতে পান I এটি তাঁর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেছিল, এবং তাঁর প্রত্যাবর্তনের চিহ্ন সমূহ I ইঞ্জিল তার শিক্ষাগুলো লিপিবদ্ধ করে I   

শু মন্দির থেকে যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন, সেইসময়তাঁর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে মন্দিরের বড় বড় দালানের দিকে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন৷
2 এর জবাবে যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা এখন এখানে এসব দেখছ, কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এখানে একটা পাথর আর একটা পাথরের ওপর থাকবে না, এসবই ভুমিস্যাত্ হবে৷’
3 যীশু যখন জৈতুন পর্বতমালার ওপর বসেছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা একান্তে তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, ‘আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটবে, আর আপনার আসার এবং এযুগের শেষ পরিণতির সময় জানার চিহ্নই বা কি হবে?’

মথি 24:1-3

যিহূদি মন্দিরের সম্পূর্ণ ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করে নবী আরম্ভ করলেন I আমরা ইতিহাস থেকে জানি যে এটি 70 খ্রীষ্টাব্দে ঘটেছিল I তখন সন্ধ্যাবেলায় [i] তিনি মন্দির ছেড়ে চলে গেলেন এবং যিরূশালেম নগরের বাইরে জৈতুন পর্বতে রইলেন I যেহেতু সূর্যাস্তে যিহূদি দিন শুরু হতো, এটি বুধবার, নীসন 12 তারিখ, সপ্তাহের চতুর্থ দিনের আরম্ভ ছিল, যখন তিনি তাদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন এবং যুগের শেষ ও তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে শিক্ষা দিলেন I 

  4 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘দেখো! কেউ য়েন তোমাদের না ঠকায়৷
5 আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ অনেকে আমার নামে আসবে আর তারা বলবে, ‘আমি খ্রীষ্ট৷’ আর তারা অনেক লোককে ঠকাবে৷
6 তোমরা নানা যুদ্ধের কথা শুনবে এবং তোমাদের কানে যুদ্ধের গুজব আসেব৷ কিন্তু দেখো, তোমরা ভয় পেও না, কারণ ঐ সব ঘটনা অবশ্যই ঘটবে কিন্তু তখনও শেষ নয়৷
7 হ্যাঁ, এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াইকরবে; আর এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে৷ সর্বত্র দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে৷
8 কিন্তু এসব কেবল যন্ত্রণার আরন্ভ মাত্র৷
9 ‘সেই সময় শাস্তি দেবার জন্য তারা তোমাদের ধরিয়ে দেবে ও হত্যা করবে৷ আমার শিষ্য হয়েছ বলে জগতের সকল জাতির লোকেরা তোমাদের ঘৃণা করবে৷
10 সেই সময় অনেক লোক বিশ্বাস থেকে সরে যাবে৷ তারা একে অপরকে শাসনকর্তাদের হাতে ধরিয়ে দেবে আর তারা পরস্পরকে ঘৃণা করবে৷
11 অনেক ভণ্ড ভাববাদীর আবির্ভাব হবে, যাঁরা বহু লোককে ঠকাবে৷
12 অধর্ম বেড়ে যাওযার ফলে অধিকাংশ লোকদের মধ্য থেকে ভালবাসা কমে যাবে৷
13 কিন্তু শেষ পর্যন্ত য়ে নিজেকে স্থির রাখবে, সে রক্ষা পাবে৷
14 আর রাজ্যের (স্বর্গ) এইসুসমাচার জগতের সর্বত্র প্রচার করা হবে৷ সমস্ত জাতির কাছে তা সাক্ষ্যরূপে প্রচারিত হবে, আর তারপরই উপস্থিত হবে সেই সময়৷
15 ‘তোমরা তখন দেখবে য়ে, ভাববাদী দানিয়েলের মধ্য দিয়ে য়ে ‘সর্বনাশা ঘৃণার বস্তুর’কথা বলা হয়েছিল তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে৷’ য়ে একথা পড়ছে সে বুঝুক এর অর্থ কি৷
16 ‘সেই সময় যাঁরা যিহূদিয়াতে থাকবে, তারা পাহাড় অঞ্চলে পালিয়ে যাক্৷
17 য়ে ছাদে থাকবে, সে য়েন ঘর থেকে তার জিনিস নেবার জন্য নীচে না নামে৷
18 ক্ষেতের মধ্যে য়ে কাজ করবে, সে তার জামা নেবার জন্য ফিরে না আসুক৷
19 হায়! সেই মহিলারা, যাঁরা সেইদিনগুলিতে গর্ভবতী থাকবে, বা যাদের কোলে থাকবে দুধের শিশু৷
20 তাই প্রার্থনা কর য়েন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়৷
21 ‘সেই দিনগুলিতে এমন মহাকষ্ট হবে যা জগতের শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত আর কখনও হয় নি এবং হবে ও না৷
22 আরো বলছি, সেইদিনগুলির সংখ্যা ঈশ্বর যদি কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই অবশিষ্ট থাকত না৷ কিন্তু তাঁর মনোনীত লোকদের জন্য তিনি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে রেখেছেন৷
23 সেই সময় কেউ যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, মশীহ (খ্রীষ্ট)’ এখানে, অথবা ‘দেখ, তিনি ওখানে,’ তাহলে সে কথায় বিশ্বাস করো না৷
24 ‘আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে৷ তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, য়েন লোকদের ঠকাতে পারে৷ যদি সন্ভব হয় এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে৷
25 দেখ, আমি আগে থেকেইতোমাদের এসব কথা বলে রাখলাম৷
26 ‘তাইতারা যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, খ্রীষ্ট প্রান্তরে আছেন!’ তবে তোমরা সেখানে য়েও না, অথবা যদি বলে দেখ, ‘তিনি ভেতরের ঘরে লুকিয়ে আছেন, তাদের কথায় বিশ্বাস করো না৷
27 আকাশে বিদ্য়ুত্ য়েমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চমকে দেয়, তেমনি করেইমানবপুত্রের আবির্ভাব হবে৷
28 য়েখানে শব, সেখানেইশকুন এসে জড় হবে৷
29 মহাক্লেশের সেইদিনগুলির পরই, ‘সূর্য় অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না৷ তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে৷’
30 ‘সেই সময় আকাশে মানবপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে৷ তখন পৃথিবীর সকল গোষ্ঠী হাহুতাশ করবে; আর তারা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রম ও মহিমামণ্ডিত হয়ে আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবে৷
31 খুব জোরে তূরীধ্বনির সঙ্গে তিনি তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠাবেন৷ তাঁরা আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের জড়ো করবেন৷

মথি 24:4-31

এখানে নবী ঈসা আল মসীহ অতীতে মন্দিরের আসন্ন ধ্বংস সম্পর্কে  দেখেছিলেন I তিনি শিক্ষা দিলেন যে মন্দিরের ধ্বংসের সময়কাল থেকে তার প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান মন্দতা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ, এবং তার অনুগামীদের উপর অত্যাচার দ্বারা চিহ্নিত হবে I আবারও, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে যে ইঞ্জিল ‘সারা জগতে প্রচারিত’ হবে (আয়াত 14) I জগত মসীহকে জানার সাথে সাথে, সেখানে তার ও তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে মিথ্যা ভাববাদী এবং মিথ্যা দাবির এক ক্রমবর্ধান সংখ্যা হবে I যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা, এবং বিপর্যয়ের মাঝখানে তাঁর প্রত্যাবর্তনের প্রকৃত চিহ্নটি সূর্য, চন্দ্র এবং নক্ষত্রদের অবিসংবাদিত অশান্তি হবে I একরকম তারা অন্ধকার হয়ে যাবে I   

আমরা দেখতে পারি যে যুদ্ধ, বিপর্যয় এবং ভূমিকম্প বাড়ছে – অতএব তাঁর প্রতাবর্তনের সময় কাছে আসছে I তবে স্বর্গে এখনও কোনো অশান্তি নেই – তাই তাঁর প্রত্যাবর্তন এখনই নয় I কিন্তু আমরা কতটা কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ঈসা আল মসীহ বলতে থাকেন

  32 ‘ডুমুর গাছ দেখে শিক্ষা নাও, তার কচি ডালে পাতা বের হলে জানা যায় গ্রীষ্মকাল কাছে এসে গেছে৷
33 ঠিক সেই রকম, যখন তোমরা দেখবে এসব ঘটছে, বুঝবে মানবপুত্রের পুনরুত্থানের সময় এসে গেছে, তা দরজার গোড়ায় এসে পড়েছে৷
34 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না এসব ঘটছে এই যুগের লোকদের শেষ হবে না৷
35 আকাশ ও সমগ্র পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিন্তু আমার কোন কথা বিলুপ্ত হবে না৷

মথি 24:32-35

ইস্রায়েলের প্রতীকী ডুমুর গাছটিকে স্মরণ করুন, যাকে তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং আগের দিন শুকিয়ে গিয়েছিল? যখন মন্দিরটি 70 খ্রীষ্টাব্দে ধ্বংস হয়েছিল ইস্রায়েলের শুকিয়ে যাওয়া ঘটেছিল এবং এটি কয়েক হাজার বছর ধরে শুকনো ছিল I নবী আমাদের ডুমুর গাছ থেকে বেরিয়ে আসা সবুজ এবং পাতার অঙ্কুরের দিকে দেখতে বললেন – এবং তখন আমরা জানব সময় ‘নিকটস্থ’ হবে I বিগত 70 বছরে আমরা সকলে লক্ষ্য করেছি এই ‘ডুমুর গাছ’ পুনরায় সবুজ এবং পাতাগুলো অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে I এটি ইসরায়েলের আধুনিক পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে আরম্ভ হয়েছিল, এবং যিহূদিদের ইস্রায়েলে ফিরে আসতে শুরু করার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে এবং সেচ ও কৃষিজমি আবার শুরু করেছে I হ্যাঁ, এটি আমাদের সময়ে যুদ্ধ, বিপর্যয় এবং সমস্যাগুলোকে যুক্ত করেছে, তবে এটি আমাদের অবাক করা উচিত নয় যেহেতু নবী তাঁর শিক্ষায় এই সম্বন্ধে সতর্ক করেছেন I বিভিন্ন উপায়ে, এই ‘গাছটির’ মধ্যে এখনও মৃত্যুতা রয়েছে, তবে ডুমুর গাছটির পাতাগুলো সবুজ হতে শুরু করছে I

এটি আমাদের সময়ে আমাদেরকে যত্নশীল এবং সজাগ করা উচিত যেহেতু নবী আমাদেরকে তাঁর প্রত্যাবতন সম্পর্কে অসাবধান এবং উদাসীন হতে সাবধান করেছেন I    

 

36 ‘সেই দিন ও মুহূর্ত্তের কথা কেউ জানে না, এমন কি স্বর্গদূতেরা অথবা পুত্র নিজেও তা জানেন না, কেবলমাত্র পিতা (ঈশ্বর) তা জানেন৷
37 নোহের সময় য়েমন হয়েছিল, মানবপুত্রের আগমনের সময় সেইরকম হবে৷
38 নোহের সময়ে বন্যা আসার আগে, য়ে পর্যন্ত না নোহ সেই জাহাজে ঢুকলেন, লোকেরা সমানে ভোজন পান করেছে, বিয়ে করেছে ও ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছে৷
39 ‘য়ে পর্যন্ত না বন্যা এসে তাদের সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, সে পর্যন্ত তারা কিছুইবুঝতে পারে নি য়ে কি ঘটতে যাচ্ছে৷ মানবপুত্রের আগমনও ঠিক সেই রকমভাবেইহবে৷
40 সেই সময় দুজন লোক মাঠে কাজ করবে৷ তাদের একজনকে নিয়ে যাওযা হবে, অন্য জন পড়ে থাকবে৷
41 দুজন স্ত্রীলোক য়াঁতা পিষবে, তাদের একজনকে নিয়ে যাওযা হবে, আর অন্যজন পড়ে থাকবে৷
42 ‘তাই তোমরা সজাগ থাক, কারণ তোমাদের প্রভু কোন দিন আসবেন, তা তোমরা জানো না৷
43 তবে একথা মনে রেখো, যদি গৃহস্থ জানত রাত্রে কোন সময় চোর আসবে, তবে সে জেগে থাকত৷ সে চোরকে নিজের ঘরের সিঁধ কাটতে দিত না৷
44 তাই তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ তোমরা যখন তাঁর আগমনের বিষয়ে ভাববেও না, মানবপুত্র সেই সময়ই আসবেন৷
45 ‘সেইবিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস তাহলে কে, যার ওপর তার প্রভু তাঁর বাড়ির অন্যান্য দাসদের ঠিক সময়ে খাবার দেবার দাযিত্ব দিয়েছেন?
46 সেই দাস ধন্য যার মনিব ফিরে এসে তাকে তার কর্তব্য করতে দেখবেন৷
47 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি সেই দাসকেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দেখাশোনার ভার দেবেন৷
48 কিন্তু ধর, সেই দাস যদি দুষ্ট হয়, আর মনে মনে বলে, ‘আমার মনিবের ফিরে আসতে অনেক দেরী আছে৷
49 ‘তাই সে তার সঙ্গী দাসদের মারধর করে এবং মাতালদের সঙ্গে খাওযা-দাওযা করতে শুরু করে৷
50 তাহলে য়ে দিন ও য়ে সময়ের কথা সেইদাস ভাবতেও পারবে না বা জানবেও না, সেই দিন ও সেই মুহূর্ত্তেইতার মনিব এসে হাজির হবেন৷
51 তখন তার মনিব তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন, ভণ্ডদের মধ্যে তাকে স্থান দেবেন; য়েখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘসে৷

মথি 24:36-51

ঈসা আল মসীহ ইঞ্জিলের মধ্যে তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে ক্রমাগত শিক্ষা দিতে থাকলেন এবং এর প্রতি লিংকটি এখানে রয়েছে I

তৃতীয় এবং চতুর্থদিনের সংক্ষিপ্তসার

আপডেট করা কালপঞ্জি দেখায় কিভাবে নবী ঈসা আল মসীহ তৃতীয় দিনে ডুমুর গাছ্টিকে অভিশাপ দিলেন – মঙ্গলবারে – যিহূদি নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বিতর্কের আগে I এই কার্যটি ইস্রায়েলের প্রতীকী ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ ছিল I তারপরে, চতুর্থ দিন, বুধবারে, তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তনের চিহ্নগুলো বর্ণনা করলেন – সমস্ত স্বর্গীয় দেহগুলোর সর্বাধিক অন্ধকার হয়ে যাওয়া I

তাওরাতের নিয়মাবলীর তুলনায় তাঁর শেষ সপ্তাহের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনগুলোতে ঈসা আল মসীহর চিহ্ন সমূহ 

তারপরে তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তনের জন্য সতর্কভাবে লক্ষ্য করতে আমাদের সকলকে সাবধান করলেন I যেহেতু আমরা এখন দেখতে পারি ডুমুর গাছটি আবার সবুজ হয়ে উঠছে, আমাদের সাবধানে এবং সজাগ থাকতে হবে I

ইঞ্জিল পরে লিপিবদ্ধ করে কিভাবে শয়তান (ইবলিস) পঞ্চম দিনে নবীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হল, যেটিকে আমরা পরে দেখব I


 [i] ওই সপ্তাহের প্রত্যেক দিনটিকে বর্ণনা কোরে, লুকের পুস্তক সেটিকে সংক্ষিপ্তসার করে:

লুক 21:37

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *